উত্তর দিয়েছেন
ভাই নয়ন চৌধুরী (Nayan Chowdhury)

তার এই দাবী কতটা ভ্রান্ত তার উত্তর দেয়ার জন্যই আমার আজকের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা!
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে সিয়ামের উপকারিতাঃ
পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনায় মানুষের স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি তো হয়ই না বরং চিকিৎসাবিজ্ঞানে
ও তার সহযোগিদের রমজান মাসে মানব শরীরের উপর সিয়ামের প্রভাব সম্পর্কে পরিচালিত গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, সিয়ামের কারণে মানব শরীরের কোন ক্ষতি হয় না।
একাদশ শতাব্দির শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক ইবনে সিনা তাঁর অনেক রুগীদের তিন সপ্তাহ রোজা পালনের উপদেশ দিতেন। আধুনিক বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষ
হার্টের স্বভাবিক কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে চলে, করোনারি ধমনীর মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে রক্ত প্রবাহিত হলে। করোনারি ধমনীর অনেক শাখা-প্রশাখা হৃৎপিন্ডের পেশির ভেতরে বিস্তার লাভ করে এবং কোষগুলোর স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক রাখে। কিন্তু হার্টের কাজকর্মে বিপত্তি ঘটে তখন, যখন করোনারি ধমনীতে জমে যায় টুকরো টুকরো চর্বি। ফলে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। আর এ কারণেই হঠাৎ হার্টফেল করে। কেউ কেউ মারাও যায়। কিন্তু বছরে এক মাস রোজা পালন করার ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই করোনারি ধমনী চর্বিমুক্ত থাকে।
গ্যাসট্রিক রোগীদের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষ
আমেরিকার বিখ্যাত চিকিৎসাবিদ Dr. Dewey এ বিষয়ে গবেষণার রিপোর্ট পেশ করে বলেছেন: ‘
‘ Take the food away from stomach and then you have begun to starve not the sick man but the disease. The digestive organs are given some rest to work with redoubled energy and vigour just as a land which was left without cultivation for one year following or just as a man can work with redoubled vigour after some rest.’
সিয়াম পালনের মাধ্যমে ধূমপান ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করা সম্ভব। ফলে মানুষের দেহে জটিল রোগ যেমন- ক্যান্সার, হার্ট-স্ট্রোক,ব
ডা. এমারসন বলেন, সিয়ামে মানুষের মনের ওপর দারুন প্রভাব পড়ে। যেমন কর্মে মনোযোগ আসে, পশুত্ব দূরিভূত হয়, যা সমাজ গঠনে সহায়তা করে।
আলোচ্য চিকিৎসা বিজ্ঞনীদের আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সিয়াম পালনে মানুষের স্বাস্থ্য গত কোন ক্ষতি হয়না। বরং উপকার হয়।
তথ্যপুঞ্জিঃ ১। আল-কোরআন
২। মাহে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত
-ড. মুহা: নজীবুর রহমান
৩। দৈনিক ইনকিলাব
১৭ আগষ্ট ২০১১
৪। ডায়বেটিস রোগীর রোজা
-ডা. মো: ফরিদ উদ্দিন
৫। ডা. ডিওয়ের গবেষণার রিপোর্ট।
14:00
Share:
0 komentar: