মিথ্যাবাদিরা বলে ইসলামে নাকি পশুকামিতা জায়েজ
😹
👿
জবাব:
ইসলামের সমালোচকরা সবচেয়ে বড় একটি জালিয়াতি করে এই বলে যে, ইসলাম নাকি পশুকামকে হালাল করেছে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না এই একটা বিষয়ই নাস্তিকদের অন্ধবিশ্বাসী প্রমাণ করতে যথেষ্ট। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে তারা যা পড়ে তাই এসে মুমিনদের সামনে বমি করে। এই ভ্রান্তি সর্বপ্রথম খ্রিষ্টানরা ছড়িয়েছে। তারা তাদের দাবির পক্ষে হাদিস দেখায় মাফ করবেন হাদিসের অপব্যাখ্যা দেয়। খুব চাতুরতার সাথে তারা এ বিষয়টি উপস্থাপন করে। একবার ভেবে দেখুন তো, আল্লহ বলছেন যে, ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়োও না। যে ধর্মে হস্তমৈথুনের মতো আত্মকামও জায়েজ নয়, সে ধর্মে কিভাবে পশুর সাথে সঙ্গম হালাল হয়? সামান্য কমন সেন্সও কি এদের ভিতরে কাজ করে না??
স্কিটসটে সবাই ইকটু খেয়াল করুন এই মিথ্যাবাদি ইসলামে পশুকামিতা জায়েজ প্রমান করার জন্য যেই হাদিস দিয়েছে সেই হাদিসটা আমি সম্পূর্ণ এখানে দিচ্ছি দেখেন
আব্দুল্লাহ্ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, পশুর সঙ্গে সঙ্গমকারী হাদ্দের আওতাভুক্ত নয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আত্বা-ও এরূপই বলেছেন। হাকাম বলেন, আমি মনে করি তাকে বেত্রাঘাত করা উচিত; কিন্তু তা হাদ্দের সীমা (১০০ বেত্রাঘাত) পর্যন্ত পৌছা উচিৎ নয়। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, সে যেনাকারীর সমতুল্য। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আসিম কর্তৃক বর্ণিত হাদীস ‘আমা ইবনু আবূ ‘আমর কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকে দুর্বল প্রামাণিত করে।(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৬৫)
এবার আপনারা বিচার করুন এখানে কোথায় পশুকামিতাকে জায়েজ বলা হয়েছে। বরং এখানে পশুকামিতার শাস্তুি কি হবে তা নিয়ে বিদ্যান গনের মতপার্থক্য ফুটে উঠেছে।
এবার আসেন দেখি ইসলামে পশুকামিতার শাস্তি কি?
উপরে যেই হাদিসটা দিলাম ঠিক তার পূর্বের হাদিসে স্পষ্ট করে বলা আছে যারা পুশুকামিতা করবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। কিন্তু এই মিথ্যা বাদিদের নজরে এটা পরলোনা, পরলো একটা অস্পষ্ট হাদিস তাও আবার অপব্যাখ্যা। হাদিসটা হলো এই:
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি পশুর সঙ্গে সঙ্গম করলে তাকে এবং পশুটিকেও তার সঙ্গে হত্যা করো। তিনি (ইকরিমা) বলেন, আমি তাকে (ইবনু আব্বাসকে) বললাম, পশুটির অন্যায় কি? তিনি বলেন, আমার মতে যে পশুর সঙ্গে সঙ্গম করা হয়েছে নিশ্চয়ই তিনি তার গোশত খাওয়া অপছন্দ করেছেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটি তেমন শক্তিশালী হাদীস নয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৬৪
হাদিসের মান: হাসান সহিহ)
এই হাদিসেই স্পষ্ট বলা আছে যারা পশুকামিতা করবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে!
পরিশেষে বলতেচাই তারা তো অন্ধবিশ্বাসী! যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন মিথ্যা অকপটে যারা মেনে নেয় আমি তাদের মুক্তমনা বলতে রাজি নই।ইসলামের বিরুদ্ধে বিপরীত শক্তির এরুপ মিথ্যাচার আগেও চলেছে, এখনো চলছে,হয়তো ভবিষ্যত্বেও চলবে।হয়তো তারা কখনো থামবে না!
ইসলাম কখনোই পশুকামকে হালাল করে নি। নারী ব্যতিত যৌন চাহিদা পূরণের জন্য অন্য কোনো মাধ্যম খোঁজা ধর্মীয় দৃষ্টিতে পাপ।(২৭:৫৫)
অবশেষে শুধু এটুকুই বলতে চাই, এমন কিছু প্রচার করবেন না, যা আপনার মুক্তমনা নামটাকে কলুষিত করে। নিজেদের নামের মর্যাদাটা তো টিকিয়ে রাখুন।
উত্তর দিয়েছেন
শাকিল খান


জবাব:
ইসলামের সমালোচকরা সবচেয়ে বড় একটি জালিয়াতি করে এই বলে যে, ইসলাম নাকি পশুকামকে হালাল করেছে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না এই একটা বিষয়ই নাস্তিকদের অন্ধবিশ্বাসী প্রমাণ করতে যথেষ্ট। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে তারা যা পড়ে তাই এসে মুমিনদের সামনে বমি করে। এই ভ্রান্তি সর্বপ্রথম খ্রিষ্টানরা ছড়িয়েছে। তারা তাদের দাবির পক্ষে হাদিস দেখায় মাফ করবেন হাদিসের অপব্যাখ্যা দেয়। খুব চাতুরতার সাথে তারা এ বিষয়টি উপস্থাপন করে। একবার ভেবে দেখুন তো, আল্লহ বলছেন যে, ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়োও না। যে ধর্মে হস্তমৈথুনের মতো আত্মকামও জায়েজ নয়, সে ধর্মে কিভাবে পশুর সাথে সঙ্গম হালাল হয়? সামান্য কমন সেন্সও কি এদের ভিতরে কাজ করে না??
স্কিটসটে সবাই ইকটু খেয়াল করুন এই মিথ্যাবাদি ইসলামে পশুকামিতা জায়েজ প্রমান করার জন্য যেই হাদিস দিয়েছে সেই হাদিসটা আমি সম্পূর্ণ এখানে দিচ্ছি দেখেন
আব্দুল্লাহ্ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, পশুর সঙ্গে সঙ্গমকারী হাদ্দের আওতাভুক্ত নয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আত্বা-ও এরূপই বলেছেন। হাকাম বলেন, আমি মনে করি তাকে বেত্রাঘাত করা উচিত; কিন্তু তা হাদ্দের সীমা (১০০ বেত্রাঘাত) পর্যন্ত পৌছা উচিৎ নয়। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, সে যেনাকারীর সমতুল্য। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আসিম কর্তৃক বর্ণিত হাদীস ‘আমা ইবনু আবূ ‘আমর কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকে দুর্বল প্রামাণিত করে।(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৬৫)
এবার আপনারা বিচার করুন এখানে কোথায় পশুকামিতাকে জায়েজ বলা হয়েছে। বরং এখানে পশুকামিতার শাস্তুি কি হবে তা নিয়ে বিদ্যান গনের মতপার্থক্য ফুটে উঠেছে।
এবার আসেন দেখি ইসলামে পশুকামিতার শাস্তি কি?
উপরে যেই হাদিসটা দিলাম ঠিক তার পূর্বের হাদিসে স্পষ্ট করে বলা আছে যারা পুশুকামিতা করবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। কিন্তু এই মিথ্যা বাদিদের নজরে এটা পরলোনা, পরলো একটা অস্পষ্ট হাদিস তাও আবার অপব্যাখ্যা। হাদিসটা হলো এই:
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি পশুর সঙ্গে সঙ্গম করলে তাকে এবং পশুটিকেও তার সঙ্গে হত্যা করো। তিনি (ইকরিমা) বলেন, আমি তাকে (ইবনু আব্বাসকে) বললাম, পশুটির অন্যায় কি? তিনি বলেন, আমার মতে যে পশুর সঙ্গে সঙ্গম করা হয়েছে নিশ্চয়ই তিনি তার গোশত খাওয়া অপছন্দ করেছেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটি তেমন শক্তিশালী হাদীস নয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৬৪
হাদিসের মান: হাসান সহিহ)
এই হাদিসেই স্পষ্ট বলা আছে যারা পশুকামিতা করবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে!
পরিশেষে বলতেচাই তারা তো অন্ধবিশ্বাসী! যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন মিথ্যা অকপটে যারা মেনে নেয় আমি তাদের মুক্তমনা বলতে রাজি নই।ইসলামের বিরুদ্ধে বিপরীত শক্তির এরুপ মিথ্যাচার আগেও চলেছে, এখনো চলছে,হয়তো ভবিষ্যত্বেও চলবে।হয়তো তারা কখনো থামবে না!
ইসলাম কখনোই পশুকামকে হালাল করে নি। নারী ব্যতিত যৌন চাহিদা পূরণের জন্য অন্য কোনো মাধ্যম খোঁজা ধর্মীয় দৃষ্টিতে পাপ।(২৭:৫৫)
অবশেষে শুধু এটুকুই বলতে চাই, এমন কিছু প্রচার করবেন না, যা আপনার মুক্তমনা নামটাকে কলুষিত করে। নিজেদের নামের মর্যাদাটা তো টিকিয়ে রাখুন।
উত্তর দিয়েছেন
শাকিল খান
20:00
Share:
0 komentar: