নাস্তিকদের দাবী, হাদিসে নারীদেরকে 'কুকুর,গাধা' বলে গালি দেওয়া হয়েছে!!
জবাবঃ আসুন সেই হাদিসটা পর্যবেক্ষন করি, হাদিসটা হল এইঃ
"যখন ব্যক্তি নামায পড়ে, আর তার সামনে হাওদার পিছনের লাকড়ির মত বা হাওদার মাঝের লাকড়ির মত কোন কিছু না হয়, তখন কালো কুকুর, গাধা, বা মহিলা তার নামায ভেঙ্গে দেয়”। (প্রাসঙ্গিক অংশ)
তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং-৩৩৮, ৩৪৭)
-ব্যাখ্যঃ হাদীছের অর্থ হ’ল- সালাতের নেকী কম হয়, সম্পূর্ণ ছালাত বাতিল হয় না। কারণ এতে ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট হয় (তুহফাতুল আহওয়াযী ২/২৫৯; বলূগুল মারাম হা/২২৮-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
★'নামাজ' হল মুসলমানদের প্রধান ইবাদত। নামাজ একগ্রাতার সাথে আদায় করতে হয়। নামাজে যত গভীর মনোযোগ, গুরুত্ব সহকারে আদায় করা হয় তোতই সওয়াব আর স্বাদ পাওয়া যায়। নামাজের মনোযোগ টা যেন অন্য কোথায় না সরে যায় সেই কারনগুলোর মধ্যে একটা এই হাদিস।
উল্লেখ-' আরেকটা হাদিস আছে যে হাদিাটার মর্ম কথা হল-
"নামাজির ব্যাক্তির সামনে দিয়া অতিক্রম করা নিষিদ্ধ, যদি কেহ করে তাহলে তা কবিরা গুনাহ"।
এই হাদিসে নারী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে প্রযজ্য। এখানেও বিষয় লক্ষ্যনীয়, নামাজের সামনে দিয়ে কেহ গেল নামাজে সমস্য হয়।
★এবার আসি মূল বিষয়ে।
উক্ত হাদিসে 'নারী জাতিকে' খাটো করা হয়নি। গাধা ও কুকুরের সাথে তুলনাও করা হয়নি। বরং তাদের স্বাতন্ত্রতা এবং আকর্ষনীয়তার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। উক্ত হাদিসে মূলনীতি শিখানো হয়েছে যে, কি কি বিষয় নামায ব্যাঘাত ঘটাতে পারে? তিনটি বিষয় নামাযের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে হাদিসে উদ্ধৃত হয়েছে। এই তিনটি বিষয় ভিন্ন তিনটি কারণে নামাযের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তিনটির কোনটিই একটি আরেকটির মত নয়। সম্পূর্ণই আলাদা।
১/ কালো কুকুর,
কালো কুকুর দেখতে ভয়ংকর। অর্থাৎ এটি দেখলে ভীতির সঞ্চার হয়। ভীত হয়ে গেলে মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করে। এ কারণে একে নামায ভঙ্গের কারণ হয়। তাছারা দূর্গন্ধ, হাক-ডাকের কারনেও ডিস্টার্ব হতে পারে।
২/ গাধা,গাধা হল ঘৃণার বস্তু এবং গাধার শব্দটাও ভয়ংকর। ঘৃণিত বস্তু দেখলেও মানুষের মাঝে মনযোগিতা হ্রাস পায়। এবং শব্দর কারনেও সমস্যা হয়; তাই এটিও নামায বিনষ্টের কারণ হয়।
৩/ 'নারী, নারী হল আকর্ষনীয়। তারপ্রতি মানুষের স্বভাবজাত আকর্ষন থাকে। নারীর কোমনীয়তা, স্বাতন্ত্র সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করে। আর আকৃষ্ট করে এমন চমকপ্রদ বস্তুও মানুষকে গাফেল করে দেয়। এ কারণে নারীর সামনে আগমণকেও নামায ভঙ্গের কারণ হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। এটা চিরো সত্য যে, নারী প্রাকিতৃক ভাবেই হল সৌন্দর্য্যের 'প্রতিক'। প্রাকৃতিক ভাবেই পুরুষ মাত্র, মেয়েলি এনার্জির প্রতি আকৃষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। আজকের বিজ্ঞানও তাই বলছে-' পুরুষরা 'নারীদের' প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়, মোহিত হয়, দূর্বল হয়ে পরে। এটা চির সত্য; বিধায় হাদিসে বলা হয়েছে নারীদের দেখলে পুরুরষদের নামাজে সমস্যা হতে পারে। কারন তার সৌন্দর্য্যর প্রতি তার মনোযোগ চলে যাবে এতে নামজের একগ্রতা কমে যাবে।
এখানে লক্ষণীয় হল-'কুকুরকে' ভয়ের কারণে আর 'গাধাকে' ঘৃণার কারণে, আর 'নারীকে' সৌন্দর্য ও আকর্ষনীয়তার কারণে নামায ব্যাঘাতের কারণ বলা হয়েছে। নারীকে আকর্ষনীয়, সৌন্দর্যমন্ডিত বলে উপস্থাপন করাটা কি নারীকে খাটো করা? -অবশ্যই নয়। বরং এটা তাকে সম্মান জানানো। আর তার অনুপম বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা।
★উল্লেখ্য এই হাদিসটা 'মা' আয়েশা (রাঃ) সামনে বর্ননা করা হলে তিনি আপত্তি তুলে বলেনঃ
"আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি, সালাত আদায় করছেন আর আমি তাঁর ও কিবলাহর মাঝে চৌকির উপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতাম"। (প্রাসঙ্গিক অংশ)
অর্থাৎ নবী সাঃ এর নামজে কোন সমস্যা হত না।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৮/ সলাত৫১১.)(৩৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৭)
এথেকে আর একটা বিষয় বেড় হয়-' এটা সবার জন্য, সর্ববস্হায় পর্যজ্য নয়; অবস্হার আর ব্যাক্তি অবস্হান বুঝে বিবেচ্য হবে। বিষেশ করে "স্বামি স্ত্রীর" ক্ষেত্রে সমস্য হওয়ার কথা নয়। যা, আয়েশা (রাঃ) স্পষ্ট করেছেন। কারন এমনো হয়েছে -'আয়েশা (রাঃ) পা লম্বা করে শুয়ে থাকতেন। এবং নবী সাঃ তার পা বরাবর নামাজ আদায় করতেন, যখন সেজদার সময় হত, তখন নবী সাঃ আয়েশা রাঃ কে খোচা দিতেন অমনি তিনি পা সরিয়ে ফেলতেন।
-এখানে তিনটা বিষয় সাতন্ত্র ভিন্ন। যেমন ধরুনঃ কোন মেয়েকে জিজ্ঞাষা করা হল-' তুৃমি কাকে ভয় পাও? জবাবে সে বলল-' আমার আব্বু, কুকুর, এবং তেলাপোক।
তাহলে কি সে তার 'বাবা'কে কুকুর,তেলাপোকা বলল? -না, বরং তিনটা ভিন্ন সতন্ত্র বিষয়ে বলেছে; বাবাকে সম্মানের জন্য।
কুকুরকে ভয়ের জন্য, এবং তেলাপোকাকে ঘৃনার জন্য বলা হয়েছে।
সুতরাং নারীকে অপমান করা হয়নি; বরং তার সৌন্দর্যের প্রতি ইংগীত করা হয়েছে।
আশা করি উত্তর পাওয়া গেছে।
উত্তর দিয়েছেন
সাদ্দাম হোসাইন পাভেল
জবাবঃ আসুন সেই হাদিসটা পর্যবেক্ষন করি, হাদিসটা হল এইঃ
"যখন ব্যক্তি নামায পড়ে, আর তার সামনে হাওদার পিছনের লাকড়ির মত বা হাওদার মাঝের লাকড়ির মত কোন কিছু না হয়, তখন কালো কুকুর, গাধা, বা মহিলা তার নামায ভেঙ্গে দেয়”। (প্রাসঙ্গিক অংশ)
তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং-৩৩৮, ৩৪৭)
-ব্যাখ্যঃ হাদীছের অর্থ হ’ল- সালাতের নেকী কম হয়, সম্পূর্ণ ছালাত বাতিল হয় না। কারণ এতে ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট হয় (তুহফাতুল আহওয়াযী ২/২৫৯; বলূগুল মারাম হা/২২৮-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
★'নামাজ' হল মুসলমানদের প্রধান ইবাদত। নামাজ একগ্রাতার সাথে আদায় করতে হয়। নামাজে যত গভীর মনোযোগ, গুরুত্ব সহকারে আদায় করা হয় তোতই সওয়াব আর স্বাদ পাওয়া যায়। নামাজের মনোযোগ টা যেন অন্য কোথায় না সরে যায় সেই কারনগুলোর মধ্যে একটা এই হাদিস।
উল্লেখ-' আরেকটা হাদিস আছে যে হাদিাটার মর্ম কথা হল-
"নামাজির ব্যাক্তির সামনে দিয়া অতিক্রম করা নিষিদ্ধ, যদি কেহ করে তাহলে তা কবিরা গুনাহ"।
এই হাদিসে নারী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে প্রযজ্য। এখানেও বিষয় লক্ষ্যনীয়, নামাজের সামনে দিয়ে কেহ গেল নামাজে সমস্য হয়।
★এবার আসি মূল বিষয়ে।
উক্ত হাদিসে 'নারী জাতিকে' খাটো করা হয়নি। গাধা ও কুকুরের সাথে তুলনাও করা হয়নি। বরং তাদের স্বাতন্ত্রতা এবং আকর্ষনীয়তার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। উক্ত হাদিসে মূলনীতি শিখানো হয়েছে যে, কি কি বিষয় নামায ব্যাঘাত ঘটাতে পারে? তিনটি বিষয় নামাযের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে হাদিসে উদ্ধৃত হয়েছে। এই তিনটি বিষয় ভিন্ন তিনটি কারণে নামাযের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তিনটির কোনটিই একটি আরেকটির মত নয়। সম্পূর্ণই আলাদা।
১/ কালো কুকুর,
কালো কুকুর দেখতে ভয়ংকর। অর্থাৎ এটি দেখলে ভীতির সঞ্চার হয়। ভীত হয়ে গেলে মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করে। এ কারণে একে নামায ভঙ্গের কারণ হয়। তাছারা দূর্গন্ধ, হাক-ডাকের কারনেও ডিস্টার্ব হতে পারে।
২/ গাধা,গাধা হল ঘৃণার বস্তু এবং গাধার শব্দটাও ভয়ংকর। ঘৃণিত বস্তু দেখলেও মানুষের মাঝে মনযোগিতা হ্রাস পায়। এবং শব্দর কারনেও সমস্যা হয়; তাই এটিও নামায বিনষ্টের কারণ হয়।
৩/ 'নারী, নারী হল আকর্ষনীয়। তারপ্রতি মানুষের স্বভাবজাত আকর্ষন থাকে। নারীর কোমনীয়তা, স্বাতন্ত্র সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করে। আর আকৃষ্ট করে এমন চমকপ্রদ বস্তুও মানুষকে গাফেল করে দেয়। এ কারণে নারীর সামনে আগমণকেও নামায ভঙ্গের কারণ হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। এটা চিরো সত্য যে, নারী প্রাকিতৃক ভাবেই হল সৌন্দর্য্যের 'প্রতিক'। প্রাকৃতিক ভাবেই পুরুষ মাত্র, মেয়েলি এনার্জির প্রতি আকৃষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। আজকের বিজ্ঞানও তাই বলছে-' পুরুষরা 'নারীদের' প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়, মোহিত হয়, দূর্বল হয়ে পরে। এটা চির সত্য; বিধায় হাদিসে বলা হয়েছে নারীদের দেখলে পুরুরষদের নামাজে সমস্যা হতে পারে। কারন তার সৌন্দর্য্যর প্রতি তার মনোযোগ চলে যাবে এতে নামজের একগ্রতা কমে যাবে।
এখানে লক্ষণীয় হল-'কুকুরকে' ভয়ের কারণে আর 'গাধাকে' ঘৃণার কারণে, আর 'নারীকে' সৌন্দর্য ও আকর্ষনীয়তার কারণে নামায ব্যাঘাতের কারণ বলা হয়েছে। নারীকে আকর্ষনীয়, সৌন্দর্যমন্ডিত বলে উপস্থাপন করাটা কি নারীকে খাটো করা? -অবশ্যই নয়। বরং এটা তাকে সম্মান জানানো। আর তার অনুপম বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা।
★উল্লেখ্য এই হাদিসটা 'মা' আয়েশা (রাঃ) সামনে বর্ননা করা হলে তিনি আপত্তি তুলে বলেনঃ
"আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি, সালাত আদায় করছেন আর আমি তাঁর ও কিবলাহর মাঝে চৌকির উপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতাম"। (প্রাসঙ্গিক অংশ)
অর্থাৎ নবী সাঃ এর নামজে কোন সমস্যা হত না।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৮/ সলাত৫১১.)(৩৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৭)
এথেকে আর একটা বিষয় বেড় হয়-' এটা সবার জন্য, সর্ববস্হায় পর্যজ্য নয়; অবস্হার আর ব্যাক্তি অবস্হান বুঝে বিবেচ্য হবে। বিষেশ করে "স্বামি স্ত্রীর" ক্ষেত্রে সমস্য হওয়ার কথা নয়। যা, আয়েশা (রাঃ) স্পষ্ট করেছেন। কারন এমনো হয়েছে -'আয়েশা (রাঃ) পা লম্বা করে শুয়ে থাকতেন। এবং নবী সাঃ তার পা বরাবর নামাজ আদায় করতেন, যখন সেজদার সময় হত, তখন নবী সাঃ আয়েশা রাঃ কে খোচা দিতেন অমনি তিনি পা সরিয়ে ফেলতেন।
-এখানে তিনটা বিষয় সাতন্ত্র ভিন্ন। যেমন ধরুনঃ কোন মেয়েকে জিজ্ঞাষা করা হল-' তুৃমি কাকে ভয় পাও? জবাবে সে বলল-' আমার আব্বু, কুকুর, এবং তেলাপোক।
তাহলে কি সে তার 'বাবা'কে কুকুর,তেলাপোকা বলল? -না, বরং তিনটা ভিন্ন সতন্ত্র বিষয়ে বলেছে; বাবাকে সম্মানের জন্য।
কুকুরকে ভয়ের জন্য, এবং তেলাপোকাকে ঘৃনার জন্য বলা হয়েছে।
সুতরাং নারীকে অপমান করা হয়নি; বরং তার সৌন্দর্যের প্রতি ইংগীত করা হয়েছে।
আশা করি উত্তর পাওয়া গেছে।
উত্তর দিয়েছেন
সাদ্দাম হোসাইন পাভেল
16:00
Share:
0 komentar: