রাসূল সাঃ এর বহু বিবাহ নিয়ে নাস্তিকদের প্রশ্নের কঠিন জবাব

Posted by Adam Simon  |  2 comments

 

রাসুল(সাঃ) এর বহুবিবাহঃ
*****************************
আমি জানি অনেকের মনে এই ব্যপারে প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন গ্রুপে বারবার ইসলাম বিরধীরা এ ব্যপারে প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। তাই এখানে বিশদভাবে বিষয়টি নিয়ে আলচনা করব যেন আমাদের মনে আর কোন সংশয় না থাকে।আর আমরা যেন আমাদওর প্রিয় নবী কে ভুল না বুঝি।

সাধারনত প্রশ্ন গুলো যেভাবে করা হয়--
নবী সা কেন এত গুলো বিয়ে করেছিলেন?

তিনি কেন মাত্র ৯ বছরে আয়েশা কে বিয়ে করেছিলেন?

তিনি কি শিশু প্রবঞ্চনাকারী (child abuser) ছিলেন?

নিজের জন্য ১৩ টা আর উম্মতের জন্য মাত্র ৪ টা ?

প্রথমেই দেখা যাক তৎকালীন সমাজে বহু বিবাহকে কেমন ভাবে দেখা হত এ ব্যপারে তৎকালীন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কি ছিল।সত্যকারঅর্থে তখন কার সমাজে বহুবিবাহ ছিল একটি সাধারন ব্যপার।
শুধু আরবেই নয় বরং আরব পার্শবতী সকল দেশ এবং প্রচ্যেও বহুবিবাহ প্রথা চালু ছিল।আর তাই প্রিয়নবীমুহাম্মদ (সাঃ) ১৩ টি বিয়ে করলেও এ ব্যপারে তখন কেও প্রশ্ন তোলেনি।
সময়ের আবর্তনে সমাজ থেকে ধীরে ধী্রে বহুবিবাহ প্রথা কমে আসতে থাকে।আমরাও বর্তমানে খুব বেশী কাউকে একের অধিক বিয়ে করতে দেখি না ।আর তাই আমাদের মনে এ ব্যপারে প্রশ্ন যাগে কেন তিনি এত বিয়ে করেছিলেন।আমাদের বর্তমান সমাজে যারা অধিক বিয়ে করেন তাদেরকে আমরা একটু বাকা চোখেই দেখে থাকি।

মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিবাহঃ

১/ মুহাম্মদ (সাঃ) ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত কোন বিয়ে করেন নি!
২/ ২৫ বছর বয়সে মুহাম্মদ (সাঃ)খাদিজা (রাঃ) কে বিয়ে করেন। এ সময় খাদিজা (রাঃ)এর বয়স ছিল ৪০ বছর এবং ইতিপুর্বে খাদিজা (রাঃ)এর দু দুবার অন্যত্র বিয়ে হ ইয়েছিল।এবং পুর্বের কয়েকজন সন্তান ও ছিল
৩/ ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত নবী (সাঃ)বিবি খাদিজার (রাঃ) সাথে সংসার করেন এবং এ সময়ের মধ্যে তিনি আর কোন বিয়ে করেন নি।
৪/ বিবি খাদিজার (রাঃ)এর ইন্তেকালের ২ বছর পর ৫৩ বছর বয়সে ২য় বিয়ে করেন।
অর্থাৎ--
--- ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত নবী সা অবিবাহিত ছিলেন
--- ২৫ থেকে ৫৩ বছর বয়স পর্যন্ত নবী সা: এর মাত্র একজন স্ত্রী ছিলেন
--- ৫৩ থেকে ৬৩ বছর বয়সের মধ্যে নবীর সা: বাকি বিয়ে গুলো সম্পন্ন হয়।
৫/ মুহাম্মদ (সাঃ)এর স্ত্রীগনের মধ্যে একমাত্র আয়েশা (রাঃ)কুমারী ছিলেন এছাড়া সবাই ছিলেন বিধবা অথবা তালাক প্রাপ্তা ।
৬/ আয়েশা (রাঃ) ছিলেন মুহাম্মদ (সাঃ)বন্ধু হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কন্যা।বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ছিল মাত্র ৬ অথবা ৯ বছ র।তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী। আয়েশার স্মরন শক্তিও ছিল অসাধারন।হযরতআয়েশা (রাঃ)হুযুর সাঃ মৃত্যুর প র সবচেয়ে বেশী দিন বেচে ছিলেন এবং তিনিই স্ত্রীগনেরমধ্যে সবচেয়ে বেশী হাদীস বর্ননা ক রে গেছেন।


এখন প্রশ্ন হল মুহাম্মদ কেন মাত্র ৬ অথবা ৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন?
মুহাম্মদ সাঃ আয়েশা রাঃ কে প্রাথমিক যে তিন কারণের জন্য বিয়ে করেছিলেনঃ
 আবু বকর রাঃ সাথের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আত্মীয়তার মজবুত বাঁধনে পর্যবেশিত করে রাখা।
 আয়েশা রাঃ ইসলামের বিধি বিধান শিক্ষা এবং তৈরী করা যাতে তিনি ইসলামের বিধি বিধানকে সংরক্ষণ, (বিশেষ করে নারীদের জন্য একান্ত বিষয়াদি) রাসুল সাঃ জীবন ইতিহাস, আল কোরআনের আয়াতের নাজিলের কারণ এবং মানুষকে তাঁর সঠিক শিক্ষাদান করতে পারেন।
 উনাকে সে ভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল যাতে তিনি উনার সম্পূর্ণ সক্ষমতাকে ইসলামের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
হাদিস বর্ণনাকারীদের অন্যতম চারজনের ( আবু হুরাইয়াহ রাঃ, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ, আনাস ইবনে মালিক রাঃ) মধ্যে আয়েশা রাঃ একজন ছিলেন। যিনি একাই ২০০০ হাজারের বেশি হাদিস বর্ণনা করে গেছেন। উনার ২২১০টি হাদিসের মধ্যে থেকে ১৭৪টি হাদিস বুখারী আর মুসলিমে স্থান পেয়েছে।
উরওয়া বিন জুবায়ের বলেছেন-“ আমি কখনও কাউকে পাই নাই যিনি আল কোরআন, হালাল এবং হারামের আদেশ নিষেধ, ইলমুল আনসাব বা নসব-শাস্ত্র এবং আরবি কবিতায় আয়েশা রাঃ এর চেয়ে বেশি ওয়াকিবহাল ছিলেন। সেই কারণে অনেক বয়োজৈষ্ঠ সাহাবিয়ে কেরামগণ জটিল কোন বিষয় নিরসনে আয়েশা নিরসনে সাহায্য গ্রহণ করতেন। দেখুন- ইবনে কাইম ও ইবনে সা’দ কর্তৃক জালা-উল- আফহাম ভল্যুম ২ এর ২৬ পৃষ্ঠা।


আবু মুসা আল আশারী রাঃ বলেনঃ- আয়েশা রাঃ নিকট নিয়ে যাওয়া কোন সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের কখনো কোন অসুবিধা হয় নাই। দেখুনঃ- সীরাত-ই-আয়েশা, তিরমিজি পৃঃ ১৬৩।





আসুন আমরা উপরে বর্ণিত আলোচনার আলোকে ব্যক্তি মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনকে যাচাই-বাছাই করে দেখি- 

স্ত্রীর নাম 

খাদিজা বিনত খাওয়ালাত (রা) বয়স ৪০ ---- দুই বারের বিধবা
সাওদা বিনত যা’মা (রা) বয়স ৫০ ---------- বিধবা
আয়েশা বিনত আবু বকর সিদ্দিক (রা) বয়স ৯ (!) -------------- কথিত যে তিনি ৯ বছর বয়স থেকে
রাসুল (সাঃ) এঁর ঘরে আসেন
হাফসা বিনত উমর বিন খাত্তাব (রা) বয়স ২২ --------------- বিধবা
যায়নাব বিনত খুযাইমাহ (রা) বয়স ৩০ ---------------- বিধবা
উম্ম সালমা বিনত আবু উমাইয়া (রা) বয়স ২৯ ---------------- বিধবা
যায়নাব বিনত জাহাশ (রা) বয়স ৩৮ ---------------------- তালাকপ্রাপ্তা
জুয়াইরিয়া বিনত হারিস (রা) বয়স ২০ --------------------- বিধবা
উম্ম হাবিবা বিনত আবু সুফিয়ান (রা) বয়স ৩৬ --------------- বিধবা
রায়হানা বিনত উমরু বিন হানাফা (রা) সঠিক বয়স জানা যায় নাই------------ বিধবা
সাফিয়া বিনত হুবাই বিন আখতাব (রা) বয়স ১৭ ----------------২ বারের বিধবা
মারিয়া কিবতিয়া বিনত শামুন (রা) সঠিক বয়স জানা যায় নাই ------ অবিবাহিতা মিশর থেকে আসা
মায়মুনা বিনত হারিস (রা) বয়স ৩৬ -------------------------- বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা
.

নবী মোহাম্মাদ(ছ)এর স্ত্রীর সংখা ছিল ১১ আরএই নিয়ে বিরুদ্ধবাদিরা নানান মন্তব্য করেন।তাঁর একাধিক বিয়ের কারন হল রাজনৈতিক ও সমাজ সংস্কার।প্রতিটি বিয়ের কারন নিম্নে বর্ননা করা হল।তাঁর চার সহচর আবু বকর(রা),ওমর(রা),উসমান(রা),আলি(রা),তাঁর সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলেন ফলে নবী মহঃ(ছ)নিজের দুই মেয়েকে উসমান(রা) ও আলি(রা)এর সঙ্গে বিয়ে দিলেনএবং আবু বকর(রা)ও ওমর(রা)এর দুই মেয়েআয়েষা(রা) ও হাফসা(রা)কে বিয়ে করেন।


তৎকালিন আরবে জামাতর সন্মান ও গুরুত্ব ছিল চরম পর্যায় এবং জামাতর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা ছিল অত্যন্ত লজ্জা জনক।কোরেয়েস নেতা আবু সুফিয়ান যিনি বদর,ওহুদ ও খন্দক যুদ্ধকরে ছিলেন তিনি অস্ত্র ত্যাগ করেন যখন আল্লাহর রসুল(ছ)তাঁর কন্যা হাবিবা কে বিয়ে করেন।ঠিক একই ভাবেউম্মে সালমা রাঃ কে বিয়ে করার পর বনু মাখজুমের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।হযরত জোওয়ায়রিয়া রাঃ এবং হযরত সাফিয় রাঃ কে বিয়ে করার পর বনু মোস্তালিক ও বনু নাযির গোত্র মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ত্যাগ করে।যয়নাব বিনতে জাহাসরাঃ কে বিয়ে করেন মুতাবান্না-পৌষ্য পুত্রের বিতন্ডা মিমাংসা করার জন্য।
এছাড়া দিনের খুটিনাটি বিষয় প্রচার করার জন্য চারটির অধিক স্ত্রী গ্রহনের জন্য আল্লাহ পাক নির্দেশ দিয়ে ছিলেন।শরিয়তের হুকুম আহকাম মসলা মাসায়েল স্ত্রীলোকদের গোপন বিষয় নবী পত্নীগন প্রচার করতেন।


যদি তিনি সেক্সের জন্য বিয়ে করতেন তাহলে যুবক বয়সে করতে পারতেন।কারন তৎকালিন আরবে দশ বিশ টা বিয়ে করা সমাজের চোখে কোন বাঁধা ছিল না।কিন্তু তিনি একজন বিধবা ও বয়স্ক স্ত্রী নিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দেন।বিদ্ধ বয়সে(৫২-৫৫)তিন বছরের মধ্যে আল্লাহ পাকের নির্দেশে একাধিক বিয়ে করে ছিলেন।

পাঠক এবার আপনারাই বলুন নবী সা : এর বিয়ে সংক্রান্ত ব্যপারে কোন অপবাদ আরোপ করা কি ঠিক?


উত্তর দিয়েছেন

ভাই নয়ন চৌধুরী  Nayan Chowdhury 

16:00 Share:
About Naveed Iqbal

Nulla sagittis convallis arcu. Sed sed nunc. Curabitur consequat. Quisque metus enim venenatis fermentum mollis. Duis vulputate elit in elit. Follow him on Google+.

2 comments:

  1. একদেশে এক লোক ছিলো। তিনি এক
    ধন্যাঢ্য মহিলাকে বিয়ে করলেন। ঐ মহিলা
    স্বর্গবাসী হওয়ার পর তিনি একের পর এক
    বিয়ে করলেন, যেখানে খুবই অল্পবয়সী মেয়েও বিয়ে করলেন, বর্তমান সমাজে যাকে বাল্য বিবাহ বলে, এমনকি দাসীদের
    সাথেও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলেন, সেই
    দাসীর গর্ভে ঐ লোকটির বাচ্চাও হল।
    প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি কেন একাধিক
    বিয়ে করা শুরু করলে তার পক্ষে সাফাই
    গাইতে অনেকে যুক্তি তুলেন যে তখন
    সমাজে অনেক অসহায় ও বিধবা নারী
    ছিলো তাই তিনি তাদের রক্ষা করেছেন।
    কিন্তু ধনী প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকা সত্ত্বেও
    তিনি কেন আর দ্বিতীয় বিয়ে করলেন না?
    তার ধন্যাঢ্য প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকাকালীন
    সময়ে কি ঐ দেশে কোন অসহায়
    বিধবা নারী ছিলো না নাকি? এটাই এখন
    সুধী জনদের আলোচনার বিষয়বস্তু আর
    ফেবুজাতিও সেটা জানতে আগ্রহী।।

    ReplyDelete
    Replies
    1. রাসূল সল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম ইসলামের কল্যানের জন্য সব কিছু করেছে।

      Delete

Get updates in your email box
Complete the form below, and we'll send you the best coupons.

Deliver via FeedBurner

Labels

Contact Form

Name

Email *

Message *

Text Widget

Recent News

About Us

Your Ads Here
back to top