উত্তর দিয়েছেন
ভাই নয়ন চৌধুরী (Chayan Chowdhury)
Share করে রাসূলের (সাঃ) জন্ম নিয়ে ভয়ংকর অপপ্রচারের ব্যাপারে সকলকে সচেতন করুন!বিতর্ক করছিলাম! হঠাত এক নাস্তিক বলল
"////
চরম ভাবে চমকে উঠলাম! বললাম প্রমাণ পেশ করুন ৷ সে এই ভিডিও টি দিল ৷
আমি বিস্মিত হলাম, হতবাক হয়ে গেলাম! মিথ্যাচারের সীমা কত নিকৃষ্টতম পদ্ধতিতে ছাড়িয়ে যাওয়া যায় বক্তা তা প্রমাণ করেছে ৷
রাসূলের (সাঃ)চাচা, হামজা (রাঃ) এর সম্ভাব্য জন্ম এবং মৃত্যু তারিখ দেখিয়ে সে প্রমাণ করতে চেয়েছে যে রাসূলের (সাঃ)জন্মের চার বছর পূর্বেই উনার বাবা মারা যান ৷ ( নাউযুবিল্লাহ) (হামজা রাঃ এর মৃত্যুর বহু বছর পর কিছু লোক ধারনা করল যে উনি রাসূলের ( সাঃ) চেয়ে কয়েক বছরের বড় ছিলেন,যদিও তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণও ছিলনা ৷ আর তা শুনেই নাস্তিক মশায়ের লাফালাফি! )
কিন্তু একটি বারও রাসূলের (সাঃ) বাবার মৃত্যু তারিখ এবং রাসূলের (সাঃ) জন্ম তারিখ উল্লেখ করে নাই ৷ প্রকৃতপক্ষে তারা ভাল ভাবেই জানে যে উনাদের জন্ম এবং মৃত্যু তারিখ উল্লেখ করলেই মিথ্যাতথ্যের প্রমাণ হয়ে যাবে ৷
শুধু তাই নয় এই আয়াতের অদ্ভুত ব্যাখ্যা করল ৷
اللّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنثَى وَمَا تَغِيضُ الأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ وَكُلُّ شَيْءٍ عِندَهُ بِمِقْدَارٍ (8
আল্লাহ জানেন প্রত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা সঙ্কুচিত ও বর্ধিত হয়। এবং তাঁর কাছে প্রত্যেক বস্তুরই একটা পরিমাণ রয়েছে।
এই আয়াতে নাকি লেখা আছে একজন নারীর গর্ভধারণের সময় কাল সর্বোচ্চ 5 বছর!!এবং এই আয়াতের মাধ্যমে নাকি রাসূলের সাঃ পিতার মৃত্যুর 4 বছর পর রাসূলের সাঃ জন্মকে বৈধতা দেয়া হয়েছে!!! কত বড় মূর্খ হলে এমন ব্যাখ্যা করতে পারে??? এখানে 5 বছর লেখা আছে??
মূলত সারা পৃথিবীর প্রতিটি লোক জানে যে রাসূলের সাঃ বাবার মৃত্যু হয় 570 খ্রিষ্টাব্দে এবং রাসূলের সাঃ জন্মও হয় 570 খ্রিষ্টাব্দে ৷
তাহলে নাস্তিকরা 4 বছর পেল কোথায়? কতটা নোংড়া মানসিকতার হলে এ ধরনের অপপ্রচার করতে পারে তারা???
(রাসূলের (সাঃ) বাবার জন্ম এবং মৃত্যু তারিখ)
(রাসূলের সাঃ জন্ম তারিখ)
বন্ধুগণ,
ইন্টারনেটের প্রসার ঘটায় জনসাধারণের নাগালের বাইরে এক শ্রেণীর নাস্তিক চক্র গড়ে উঠেছে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে উদ্বেগজনক ও কুৎসিত অপপ্রচার শুরু করেছে, তা পূর্ববর্তী নাস্তিকদের সকল অপতৎরতাকে বহুগুণে ছাড়িয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ কোন প্রতিরোধ গড়ে উঠেনি। এর কারণ হল এদের অবস্থান সমাজে নয় বরং ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতে। প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেটে এ যারা নিয়মিত চোখ রাখে না, তারা কল্পনাও করতে পারবেন না যে, কতটা জঘন্য অপপ্রচারে লিপ্ত এই নাস্তিকের দল! এই নাস্তিক চক্রের ভয়াবহ অপতৎপরতা সকলের সামনে প্রকাশ না করলে তারা হয়ত আরো একদিন সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে ধর্মের বারটা বাজিয়ে ছাড়বে!
আজ নাস্তিকতার যে ভয়াল চিত্র উন্মোচিত হচ্ছে , তা সমগ্র বিশ্ববাসীকে স্তম্ভিত করতে বাধ্য! নাস্তিকতা যে কত নিকৃষ্ট হতে পারে, ধর্মহীনতা যে মানুষকে পশুত্বের ও নৈতিক অবক্ষয়ের কোন অতলে নিক্ষেপ করতে পারে, তথাকথিত ‘মুক্তবুদ্ধি’র চর্চার আড়ালে ইসলাম-বিদ্বেষের
এই ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক চক্রটি দিনে দিনে শক্তিশালী হয়ে দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্য
আমাদের অবশ্যই এ থেকে সাবধান হতে হবে ৷ নাস্তিকদের তথ্যগুলো হাজারবার যাচাই না করে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না!
হে আল্লাহ আপনি এদের অপপ্রচার হতে আমাদের রাসূলকে সাঃ রক্ষা করুন ৷
14:00
Share:

About 

0 komentar: