নাস্তিকের প্রশ্নঃ
কুরআন বলছে, সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায়। এটা চরম অবৈজ্ঞানিক কথা। বিজ্ঞান কি কুরআনকে ভুল প্রমাণ করছে না?
জবাব:
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
পবিত্র কুরআনে সুরা কাহাফে জুল্কারনাইন এর ঘটনা বর্ণনা করার সময় এ কথাটা এসেছে। আসুন আমরা আয়াতটা দেখি।
"অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। " [১৮:৮৬]
খেয়াল করে দেখুন, এখানে বলাই আছে "তিনি দেখলেন"। অর্থাৎ জুল্কারনাইন দেখলেন যে সূর্য ডুবছে পানিতে।
আমরা সবাই সমুদ্র সৈকতে দেখতে পাই সাগরে ডুবে যায় সূর্য। কিন্তু আসলে যে ডুবে না সেটাও আমরা জানি। এটা কেবল চোখের দেখা। তেমনই এখানে জুল্কারনাইন এর দেখার কথা বলা হয়েছে। আরবি শব্দ "ওয়াজাদা"--> দেখেছিল।
এখানে কুরআন বলছে না সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায়। এখনে জুল্কারনাইন এর চোখে মনে হয়েছিল সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায় সেটাই বলা হচ্ছে। যেমন আমরা কোনও উঁচু জাইগাই উঠলে, ফাঁকা মাঠে মধ্যে থাকলে আমাদের কাছে মনে হয় বা আমারা দেখি আকাশ মাটিতে মিশেছে। যদিও আকাশ মাটিতে মিশেনা, কিন্তু আমার এমনটাই দেখি ঠিক যেমন জুল্কারনাইন দেখেছিলান পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্য যায়া।
"অবশেষে তিনি যখন সূর্যের উদয়াচলে পৌছলেন, তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যাদের জন্যে সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি। " {১৮:৯০}
এখানে সূর্যাস্তের দেশ বা সূর্যোদয়ের দেশ কথার ব্যাখ্যা এক একজন এক একভাবে দিয়েছেন। এখানে আরবি "বালাগা" শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। যেটা ঘড়ি আবিস্কারের আগে টাইম মিন করত। এ আয়াত দুটোতেও বালাগা আছে। তাই এখানে এমন হতে পারে, সূর্য উদয়ের সময় পৌঁছালেন বা সূর্য ডোবার সময় পৌঁছালেন।
আরেকটা ব্যাখ্যা আছে, যেটা বেশি প্রচলিত। আমরা জানি, জাপানকে বলা হয় সূর্যোদয়ের দেশ। এটা রূপক। তাছাড়া সূর্য আসলে অস্তও যায় না, উদয়ও হয় না। তারপরেও আমরা আমাদের হিসাবের সুবিধার্থে এগুলো বলি। পত্র পত্রিকা আর আবহাওয়া অধিদপ্তর কি মিথ্যে বলছে?
তেমনই তৎকালীন সময়ের জানা পৃথিবীর সবচেয়ে পূর্বদিকের অঞ্চলকে বলা হত সূর্যোদয়ের দেশ। আর সবচেয়ে পশ্চিমের অঞ্চল হল সূর্যাস্তের দেশ। এখানে জানা ভূমির দুদিকের সবচেয়ে দূরের দু দেশে জুল্কারনাইন ভ্রমণ করেছিলেন- এমনটাই বলা হয়েছে।
আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।
উত্তর দিয়েছেন
ভাই নয়ন চৌধুরী
কুরআন বলছে, সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায়। এটা চরম অবৈজ্ঞানিক কথা। বিজ্ঞান কি কুরআনকে ভুল প্রমাণ করছে না?
জবাব:
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
পবিত্র কুরআনে সুরা কাহাফে জুল্কারনাইন এর ঘটনা বর্ণনা করার সময় এ কথাটা এসেছে। আসুন আমরা আয়াতটা দেখি।
"অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। " [১৮:৮৬]
খেয়াল করে দেখুন, এখানে বলাই আছে "তিনি দেখলেন"। অর্থাৎ জুল্কারনাইন দেখলেন যে সূর্য ডুবছে পানিতে।
আমরা সবাই সমুদ্র সৈকতে দেখতে পাই সাগরে ডুবে যায় সূর্য। কিন্তু আসলে যে ডুবে না সেটাও আমরা জানি। এটা কেবল চোখের দেখা। তেমনই এখানে জুল্কারনাইন এর দেখার কথা বলা হয়েছে। আরবি শব্দ "ওয়াজাদা"--> দেখেছিল।
এখানে কুরআন বলছে না সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায়। এখনে জুল্কারনাইন এর চোখে মনে হয়েছিল সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায় সেটাই বলা হচ্ছে। যেমন আমরা কোনও উঁচু জাইগাই উঠলে, ফাঁকা মাঠে মধ্যে থাকলে আমাদের কাছে মনে হয় বা আমারা দেখি আকাশ মাটিতে মিশেছে। যদিও আকাশ মাটিতে মিশেনা, কিন্তু আমার এমনটাই দেখি ঠিক যেমন জুল্কারনাইন দেখেছিলান পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্য যায়া।
"অবশেষে তিনি যখন সূর্যের উদয়াচলে পৌছলেন, তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যাদের জন্যে সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি। " {১৮:৯০}
এখানে সূর্যাস্তের দেশ বা সূর্যোদয়ের দেশ কথার ব্যাখ্যা এক একজন এক একভাবে দিয়েছেন। এখানে আরবি "বালাগা" শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। যেটা ঘড়ি আবিস্কারের আগে টাইম মিন করত। এ আয়াত দুটোতেও বালাগা আছে। তাই এখানে এমন হতে পারে, সূর্য উদয়ের সময় পৌঁছালেন বা সূর্য ডোবার সময় পৌঁছালেন।
আরেকটা ব্যাখ্যা আছে, যেটা বেশি প্রচলিত। আমরা জানি, জাপানকে বলা হয় সূর্যোদয়ের দেশ। এটা রূপক। তাছাড়া সূর্য আসলে অস্তও যায় না, উদয়ও হয় না। তারপরেও আমরা আমাদের হিসাবের সুবিধার্থে এগুলো বলি। পত্র পত্রিকা আর আবহাওয়া অধিদপ্তর কি মিথ্যে বলছে?
তেমনই তৎকালীন সময়ের জানা পৃথিবীর সবচেয়ে পূর্বদিকের অঞ্চলকে বলা হত সূর্যোদয়ের দেশ। আর সবচেয়ে পশ্চিমের অঞ্চল হল সূর্যাস্তের দেশ। এখানে জানা ভূমির দুদিকের সবচেয়ে দূরের দু দেশে জুল্কারনাইন ভ্রমণ করেছিলেন- এমনটাই বলা হয়েছে।
আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।
উত্তর দিয়েছেন
ভাই নয়ন চৌধুরী
16:00
Share:
0 komentar: