কোরআন অনুযায়ী পৃথিবী স্থির। পৃথিবী আসলে স্থির নয় এটা ঘুর্নায়মান,

Posted by Adam Simon  |  No comments

বিজ্ঞানময় কোরআন ও এর সত্যতা নিরূপণঃ পৃথিবীর আবর্তন
****************************************
পবিত্র কোরআন মহাবিশ্বের বিস্ময়!
অনেকেই আছেন যারা অজ্ঞতাবশত বলেন - মুহাম্মদ(সাঃ) এর নিজের লেখা কোরআন আর এজন্যই কোরআন এ চন্দ্র ও সূর্যের আবর্তনের কথা বলা হয়েছে কিন্তু পৃথিবীর আবর্তনের কথা বলা নাই! কারন খালি চোখে আমরা শুধু চন্দ্র ও সূর্যের আবর্তন দেখি আর এটাই কোরআন এ এসেছে! পৃথিবীর আবর্তন দেখিনা তাই সেটি আসেনি। প্রকৃতপক্ষে কোরআন এ পৃথিবীর আবর্তনের কথাও বলা হয়েছে!
(33)
وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।
It is He Who created the Night and the Day, and the sun and the moon: all (the celestial bodies) swim along, each in its rounded course.
এখানে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে-
১) দিন ও রাত্রি(যার সাথে পৃথিবী সম্পৃক্ত, আগের আয়াতে পৃথিবী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে! উল্লেখ্য যে আহ্নিকগতির ফলেই দিন- রাত হয়)
২) সূর্য
৩) চাঁদ
এর পরে বলেছে" সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরন করে"!
অর্থাৎ পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরন করে!
যদি সবাই না বলে শুধু চাঁদ ও সূর্য বলত তবে বিষয়টা ভিন্নহত!
বিশ্বখ্যাত মুফাসসীরে কুরআন, বিজ্ঞানী আল্লামা ত্বানত্ববী আল জাওহারী রহ. স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে সূরা আম্বিয়ার ৩৩নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, উক্ত আয়াতটি ব্যাপক অর্থ সম্বলিত। অর্থাৎ সূর্য, চন্দ্র, তারকা ও পৃথিবী, মোটকথা প্রত্যেকটি নক্ষত্র নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরছে। [আল জাওয়াহিরু ফী তাফসীরিল কুরআনিল কারীম : ১০/১৯৯]
প্রখ্যাত তাফসীরকারক আল্লামা আহমদ মোস্তফা মারাগী রহ. স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে সূরা ইয়াসীনের ৪০নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, প্রত্যেকটি গ্রহ-নক্ষত্র অর্থাৎ পৃথিবী, সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটছে (ঘুরছে)। যেভাবে মাছ পানিতে সাঁতার কাটে। সূর্য ঘুরছে নিজ কক্ষপথে। নিজ অক্ষে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে একদিন ও একরাত(২৪ ঘন্টা)। পক্ষান্তরে “পৃথিবী”-কে একবার প্রদক্ষিণ করতে চন্দ্রের সময় লাগে একমাস। [আত তাফসীরুল মারাগী : ২৩/১০]
বিশ্বনন্দিত মুফাস্সীরে কুরআন আল্লামা মাহমুদ হিজাযী রহ. স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে সূরা আম্বিয়ার ৩৩নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, আল্লাহ পাক পৃথিবীর বুকে পাহাড়সমূহের বোঝা রেখে দিয়েছেন; যাতে করে পৃথিবী মানব মণ্ডলীকে নিয়ে ঝুঁকে না পড়ে। পৃথিবী নিজ কক্ষে ঘুরে এবং সুর্যকে প্রদক্ষিণ করে। (আল্লাহ্) সূর্য ও চন্দ্রকে সৃষ্টি করেছেন যেন প্রত্যেকটি নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরে। [আত তাফসীরুল ওয়াজেহ : ১৭/৫২৮]
কুরআন বলছে,
“তারা কি সতর্কতার সাথে কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না, যদি এটা আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছ থেকে হতো, তারা এতে বহু অসামঞ্জস্য খুঁজে পেতো।কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ এর অসংগতি খুঁজে পায়নি এবং পাবেও না!
এটা এজন্যই যে কোরআন কোন মানব রচিত গ্রন্থ নয় বরং এটি একটি ঐশি গ্রন্থ।


প্রমান: https://bn.m.wikipedia.org/wik 

উত্তর দিয়েছেন 
নয়ন চৌধুরী

14:00 Share:
About Naveed Iqbal

Nulla sagittis convallis arcu. Sed sed nunc. Curabitur consequat. Quisque metus enim venenatis fermentum mollis. Duis vulputate elit in elit. Follow him on Google+.

0 komentar:

Get updates in your email box
Complete the form below, and we'll send you the best coupons.

Deliver via FeedBurner

Labels

Contact Form

Name

Email *

Message *

Text Widget

Recent News

About Us

Your Ads Here
back to top