হাদিস হচ্ছে যে দান করে ফিরিয়ে নেয় সে বমি করে তা কুকুরের মত গিলে খায়। এই কাজটিই করেছিল মুহাম্মদ(সাঃ)। দাহিয়াকে দান করে সাফিয়া(রাঃ) এর রুপ দেখে আবার ফিরিয়ে নিয়েছেন সাফিয়া(রাঃ) কে।

Posted by Adam Simon  |  No comments

উত্তর দিয়েছেন

ভাই নয়ন চৌধুরী  (Nayan Chowdhury)

 


নাস্তিক গ্রুপের এডমিন পোষ্ট করেছেন রাসুল(সাঃ) কে কটুক্তি করে!!
তার বক্তব্য হচ্ছে হাদিসে বলা হয়েছে --
" যে ব্যাক্তি দান করে তা ফিরিয়ে নেয় সে ঐ কুকুরের ন্যায় যে বমি করে আবার তা খায়"! আর রাসুল(সাঃ) খায়বার যুদ্ধের পরে দাহিয়া কলবী (রাঃ) কে দান করে ছিলেন সাফিয়া(রাঃ) কে!
তারপরে আবার তার রুপ দেখে সাফিয়া(রাঃ) কে ফিরিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন!!
অর্থাৎ তিনি প্রথম হাদিসের নিষিদ্ধ ও নিকৃষ্ট কাজ করেছেন!!

উত্তরঃ
উত্তর দেয়ার আগে ক্লিয়ার করা দরকার গনিমত এবং উপহার ও দান কাকে বলে!!
গনিমতঃ আল্লাহ্‌ বলেন--
يَسۡـَٔلُوۡنَكَ عَنِ الۡاَنۡفَالِ‌ؕ قُلِ الۡاَنۡفَالُ لِلّٰهِ وَالرَّسُوۡلِ‌ۚ فَاتَّقُوۡا اللّٰهَ وَاَصۡلِحُوۡا ذَاتَ بَيۡنِكُمۡ‌ وَاَطِيۡعُوۡا اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗۤ اِنۡ كُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِيۡنَ‏﴾
আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে, গনীমতের হুকুম। বলে দিন, গণীমতের মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক।সূরা আনফাল ৮:০১
﴿ فَكُلُوۡا مِمَّا غَنِمۡتُمۡ حَلٰلاً طَيِّبًا‌‌‌ ‌ۖوَاتَّقُوۡا اللّٰهَ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِيۡمٌ‏﴾
সুতরাং তোমরা খাও গনীমত হিসাবে তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন করেছ তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান।সূরা আনফাল ৮:৬৯
অর্থাৎ বুঝাগেল গনিমত হল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যুদ্ধার বৈধ হক/অধিকার!!
যিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন যুদ্ধজয়ের পরে তিনি নির্ধারিত পরিমানে তার প্রাপ্য পাবেন যুদ্ধলব্ধ মাল থেকে!! এটাকে অনেকটা পারিশ্রমিকের সাথে তুলনা করা যেতে পারে!!
অর্থাৎ এটা তার বৈধ প্রাপ্য হক/অধিকার!!


উপহারঃ
যেকোন ব্যাক্তিকে খুশি হয়ে কিছু প্রদান করাকে উপহার বলে! উপহার ব্যাক্তির প্রাপ্য হক বা অধিকার নয়! এটা প্রদানকারীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে!

দানঃ
যখন কোন অসহায় কে তার অসহায়ত্বের প্রতি দয়া পরবশে কেউ কিছু প্রদান করে তখন তাকে দান বলে!! এটা সম্পূর্ণ রুপে প্রদানকারীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে!!
এখন উল্লেখিত হাদিস দুটি দেখুন যেখানে একস্থানে দিহাহা (রাঃ) বলছেন যে উনাকে গনিমত থেকে একটি দাসী দেয়ার জন্য!!
এখানে "গণিমত" শব্দটি আসার মানে হচ্ছে এটি উনার প্রাপ্য হক!!
আর দ্বিতীয় হাদিসে বলা হয়েছে দান বা উপহারের কথা!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে দান/উপহার আর প্রাপ্য হক কি একই অর্থ বহন করে?
বস্তুত এটা পোষ্ট প্রদানকারীর স্বল্প জ্ঞানের তথ্যই স্পষ্ট করে দেয়!! যে কিনা দান আর প্রাপ্য অধিকারের মাঝে যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে তাই বুঝেন না!


সাফিয়া(রাঃ) এর রুপ দেখে বিয়ে করতে চেয়েছেন এটা ও একটি চরম মিথ্যাচার:
*********************************************************
সাফিয়া(রাঃ) কে নিয়ে মিথ্যাচারের জন্য ইসলাম-বিদ্বেষীরা বুখারী শরীফের একটি হাদীস প্রায়ই ব্যবহার করে থাকে। হাদীসটিতে সামান্য কিছু কথা যোগ করলে আর প্রসঙ্গ বাদ দিলে রাসূল ﷺ খুব সহজেই একজন নিষ্ঠুর মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করা যায় বলে এটি ইসলাম-বিদ্বেষী মহলে খুব জনপ্রিয় একটি হাদীসঃ
আনাস ইবনে মালিক(রাঃ) থেকে বর্ণিত, “আমরা খায়বার জয় করলাম। তখন যুদ্ধবন্দীদের সমবেত করা হল। দিহয়া এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর নবী ﷺ! বন্দীদের মধ্যে থেকে আমাকে একটি দাসী দিন।’ তিনি বললেন, ‘যাও তুমি একটি দাসী নিয়ে যাও।’ তিনি সাফিয়া বিনত হুয়াই(রাঃ) কে নিলেন।তখন এক ব্যক্তি নবী(সাঃ) এর কাছে এসে বললঃ ইয়া নবী! বনু কোরাইজা ও বনু নাযীরের অন্যতম নেত্রী সাফিয়্যা বিনত হুয়াইকে আপনি দিহয়াকে দিচ্ছেন? তিনি তো একমাত্র আপনারই যোগ্য। তিনি বললেনঃ দিহয়াকে সাফিয়াসহ ডেকে আন। তিনি সাফিয়াসহ উপস্থিত হলেন। যখন নবী ﷺ সাফিয়াকে দেখলেন তিনি(দিহয়াকে)বললেনঃ তুমি বন্দীদের মধ্যে অন্য একজন দাসীকে বেছে নাও। রাবী বলেনঃ নবী ﷺ সাফিয়া(রাঃ) কে আযাদ করে দিলেন এবং তাঁকে বিয়ে করলেন। রাবী সাবিত(রাঃ) আনাস(রা:) কে জিজ্ঞেস করলেনঃ তিনি তাঁকে কি মোহর দিয়েছিলেন? আনাস(রাঃ) জবাব দিলেনঃ তাঁকে আযাদ করাই তাঁর মাহর। এর বিনিময়ে তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন।


মুহম্মাদ ﷺ কি সাফিয়া(রাঃ) এর রুপে আসক্ত হয়ে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন?
অনেকে বলতে চান যে, হাদিসটিতে বলা আছে, রাসূল ﷺ সাফিয়া(রাঃ) কে দেখে নিজের জন্য পছন্দ করেছেন, অর্থাৎ রূপ দেখে পাগল হয়েছেন। কিন্তু আরেকটু পিছনে পড়লেই আমরা দেখতে পারি এটা কোন কারণই ছিল না। এক ব্যক্তি যখন রাসূল ﷺ এর কাছে এসে বলল, ‘বনূ কুরাইযা ও বনূ নাযীরের অন্যতম নেত্রী সাফিয়্যা বিনত হুয়াইকে আপনি দিহয়াকে দিচ্ছেন’-তখন রাসূল ﷺ সাফিয়া(রাঃ) কে ডেকে পাঠান। গোত্র প্রধানের মেয়ে এবং নেত্রী হিসেবে তিনি মুসলিমদের নেতার সাথেই বিয়ের জন্য সবচেয়ে বেশী উপযুক্ত। তাই রাসূল(সাঃ) তাকে বিয়ে করেন। যদি এই ব্যক্তিটি এসে এমনটা বলত, ‘বনূ কুরাইযা ও বনূ নাযীরের সবচেয়ে সুন্দরী নারীকে আপনি দিহয়াকে দিচ্ছেন’ আর এরপর রাসূল ﷺ সাফিয়া(রাঃ) কে ডেকে নিয়ে এসে বিয়ে করতেন, তাহলে মুহাম্মদ ﷺ এর দিকে এই অভিযোগ তোলা যেত।


এছাড়া আরবে একটি রীতি ছিল শত্রু যদি গোত্রের কোন মেয়েকে বিয়ে করত তবে তার সাথে তারা শত্রুতা শেষ করে ফেলত। এ কারণেই আবু সুফিয়ানের মেয়ে উম্মে হাবীবাহ(রাঃ) কে রাসূল ﷺ বিয়ে করার কারণে তাঁর সাথে আবু সুফিয়ানের শত্রুতা শেষ হয়ে যায়। রাসূল ﷺ এই বিয়ের মাধ্যমে ইহুদীদের সাথে শত্রুতা শেষ করার জন্য একটি হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। 


আর বিয়ের আগে সব মুসলিমই তার হবু বধূকে দেখে। এটা রাসূল ﷺ এর নির্দেশ। এর ফলে পুরুষের হৃদয়ে স্ত্রীর জন্য ভালবাসা সৃষ্টি হয়। শুধু ইসলাম না বরং সব ধর্ম আর সংস্কৃতিতে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে এতো লাফালাফি করার কারণ আমার নিকট পরিষ্কার না।
আফসোস হয় এসব জ্ঞানপাপীদের জন্য!! যারা চোখ থাকতে ও অন্ধ আর কান থাকতে ও বধির!!

12:00 Share:
About Naveed Iqbal

Nulla sagittis convallis arcu. Sed sed nunc. Curabitur consequat. Quisque metus enim venenatis fermentum mollis. Duis vulputate elit in elit. Follow him on Google+.

0 komentar:

Get updates in your email box
Complete the form below, and we'll send you the best coupons.

Deliver via FeedBurner

Labels

Contact Form

Name

Email *

Message *

Text Widget

Recent News

About Us

Your Ads Here
back to top