একটা মিথ্যাচারের জবাব।
অভিযোগ সূরা আম্বিয়ার ৯৮ আয়াতে আল্লাহ্ কাফেরদের উদ্যেশ্যে বলেন "তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের পুজা কর, সেগুলো দোযখের ইন্ধন। তোমরাই তাতে প্রবেশ করবে।"
এই আয়াতের প্রেক্ষাপটে ঈসা (আ) জাহান্নামি হবে(নাউযুবিল্লা হ্)।যুক্তি
হিসাবে দেখানো যায় আরবের নাসারারা (খ্রীষ্টানরা) আল্লাহকে বাদ দিয়ে ঈসা
(আ) এর পুজা করতো। আল্লাহ্ বলেছেন কাফেরেরা এবং তারা যাদের ইবাদাত করতো
তারাও জাহান্নামে জাবে।
জবাব : আসলে ইসলাম বিদ্বেষীরা কোরান সুন্নার সঠিক জ্ঞান না রাখার কারনেই ইসলাম বিদ্বেষী হয়।
এই আয়াত মূলত নাযিল হয়েছে কাফেরদের উদ্দ্যেশ্যে যারা আল্লাহর পরিবর্তে বিভিন্ন দেব দেবীর ইবদাত করতো তাদের জন্য।
এবেপারে প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর আগেই নবী( সা) সমাধান দিয়ে গেছেন।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,'যখন এ আয়াত নাযিল হয় যে,"তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া যাদের পূজা করছ তারা এবং তোমরা জাহান্নামের ইন্ধন হবে" তখন কাফেরদের কাছে ব্যাপারটি বেশ গুরুতর ও আপত্তিকর মনে হয়। তারা আহলে কিতাবি আলেম ইবনুয যাবারির কাছে এসে এই ঘটনা জানায়।সে বলে, আমি সেখানে থাকলে এর সমুচিত জবাব দিতাম। তারা জিজ্ঞেস করল কি বলতেন আপনি? সে বলল, নাসারারা ঈসা (আঃ) এর পূজা করে,ইহুদিরা উযায়ের (আঃ) এর পূজা করে, তবে কি তারা উভয়েও জাহান্নামে জ্বলবে(নাউজুবিল ্লাহ্)? কুরাইশদের কাছে এ কথা বেশ মনপূত হয়।তাই তারা রাসূল (সঃ) এর কাছে এসে এ বিষয়ে বিতন্ডা শুরু করে দেয়।
তখন রছুল (স) জাবাবে বলেন। "এমন প্রত্যেক ব্যক্তি যে নিজে একথা পছন্দ করে যে, আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার বন্দেগী করা হোক সে তাদেরই সাথে মানে কাফেরদের সাথে জাহান্নামে যাবে। আর এই বযুর্গরা( ঈশা (আ),উজায়ের (আ)) তাদের নিজের ইবাদাত করাননি। কাফেরেরা মূলত তাদের নয় বরং শয়তানদের ইবাদাত করছে, শয়তানই তাদেরকে তাদের ইবাদাতের পন্থা হিসাবে বাতলিয়ে দিয়েছে"। রছুল (সা) এর জবাবের সাথে সাথে আল্লাহ্ এই সূরার ১০১ নং আয়াত নাযিল করেন যেখানে আল্লাহ্ বলেন,
আল-আম্বিয়া ২১:১০১যাদের জন্য প্রথম থেকেই আমার পক্ষ থেকে কল্যাণ নির্ধারিত হয়েছে তারা এই জাহান্নামে জাবেনা।
এ থেকে পরিষ্কার জানা যায়, যারা দুনিয়ায় মানুষকে আল্লাহর বন্দেগী করার শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং লোকেরা তাদেরকেই উপাস্যে পরিণত করে অথবা যারা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ বেখবর যে, দুনিয়ায় তাদের বন্দেগী ও পূজা করা হচ্ছে এবং এ কর্মে তাদের ইচ্ছা ও আকাংখার কোন দখল নেই, তাদের জাহান্নামে যাবার কোন কারণ নেই। কারণ, তারা এ শিরকের জন্য দায়ী নয়। তবে যারা নিজেরাই উপাস্য ও পূজনীয় হবার চেষ্টা করে এবং মানুষের এ শিরকে যাদের সত্যি সত্যিই দখল আছে তারা সবাই নিজেদের পূজারী ও উপাসকদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
এবার দেখবো খ্রীষ্টানদের ঈসা (আ) কে ইবাদাতের জন্য ঈসা (আ) দায়ী নয়। কোরানে খ্রীষ্টানদের ইবাদাতের বিপক্ষে ঈসা (আ) এর সাক্ষ।
আল-মা’ইদাহ ৫:১ِ যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত।
এবার দেখবো ঈসা(আ) আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণ প্রাপ্ত ছিলেন কিনা।
আল-আন‘আম ৬:৮৫: আর ও যাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ঈসা এবং ইলিয়াসকে। তারা সবাই পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আলি ‘ইমরান ৩:৪৫যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-মারইয়াম-তন য় ঈসা, দুনিয়া ও আখেরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভূক্ত।
উপরের আলোচনা থেকে প্রমানিত হয় যে ঈসা (আ) ছিলেন এক জন নবী ও রছুল।এবং তিনি ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যান প্রাপ্তদের একজন।এবং সূরা আম্বিয়ার ৯৮নং আয়াতের হুকুমের সাথে ন্যাক লোকদের কোনো সম্পর্ক নাই।
বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।" (আল-কোরআন ১৭:৮১
বিস্তারিত জানতে দেখুন।
তাফসিরে ইবনে কাসীর: খন্ড:১৪-৩৯৫ পৃষ্ঠা থেকে ৪০০ পৃষ্ঠা।
তাফছিরে মাআারেফুল কোরআন: খন্ড:৬- ২২৫ পৃষ্ঠা থেকে ২২৭ পৃষ্ঠা।
তফছিরে তাফহীমুল কোরন: সূরা নং ২১, আয়াত নং ৯৮, টিকা নং ৯৫.
তাফছিরে আহসানুল বাইয়ান:সূরা নং ২১, আয়াত নং৯৮, টিকা নং ১০৩.
Answered By Shakil Khan
অভিযোগ সূরা আম্বিয়ার ৯৮ আয়াতে আল্লাহ্ কাফেরদের উদ্যেশ্যে বলেন "তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের পুজা কর, সেগুলো দোযখের ইন্ধন। তোমরাই তাতে প্রবেশ করবে।"
এই আয়াতের প্রেক্ষাপটে ঈসা (আ) জাহান্নামি হবে(নাউযুবিল্লা
জবাব : আসলে ইসলাম বিদ্বেষীরা কোরান সুন্নার সঠিক জ্ঞান না রাখার কারনেই ইসলাম বিদ্বেষী হয়।
এই আয়াত মূলত নাযিল হয়েছে কাফেরদের উদ্দ্যেশ্যে যারা আল্লাহর পরিবর্তে বিভিন্ন দেব দেবীর ইবদাত করতো তাদের জন্য।
এবেপারে প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর আগেই নবী( সা) সমাধান দিয়ে গেছেন।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,'যখন এ আয়াত নাযিল হয় যে,"তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া যাদের পূজা করছ তারা এবং তোমরা জাহান্নামের ইন্ধন হবে" তখন কাফেরদের কাছে ব্যাপারটি বেশ গুরুতর ও আপত্তিকর মনে হয়। তারা আহলে কিতাবি আলেম ইবনুয যাবারির কাছে এসে এই ঘটনা জানায়।সে বলে, আমি সেখানে থাকলে এর সমুচিত জবাব দিতাম। তারা জিজ্ঞেস করল কি বলতেন আপনি? সে বলল, নাসারারা ঈসা (আঃ) এর পূজা করে,ইহুদিরা উযায়ের (আঃ) এর পূজা করে, তবে কি তারা উভয়েও জাহান্নামে জ্বলবে(নাউজুবিল
তখন রছুল (স) জাবাবে বলেন। "এমন প্রত্যেক ব্যক্তি যে নিজে একথা পছন্দ করে যে, আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার বন্দেগী করা হোক সে তাদেরই সাথে মানে কাফেরদের সাথে জাহান্নামে যাবে। আর এই বযুর্গরা( ঈশা (আ),উজায়ের (আ)) তাদের নিজের ইবাদাত করাননি। কাফেরেরা মূলত তাদের নয় বরং শয়তানদের ইবাদাত করছে, শয়তানই তাদেরকে তাদের ইবাদাতের পন্থা হিসাবে বাতলিয়ে দিয়েছে"। রছুল (সা) এর জবাবের সাথে সাথে আল্লাহ্ এই সূরার ১০১ নং আয়াত নাযিল করেন যেখানে আল্লাহ্ বলেন,
আল-আম্বিয়া ২১:১০১যাদের জন্য প্রথম থেকেই আমার পক্ষ থেকে কল্যাণ নির্ধারিত হয়েছে তারা এই জাহান্নামে জাবেনা।
এ থেকে পরিষ্কার জানা যায়, যারা দুনিয়ায় মানুষকে আল্লাহর বন্দেগী করার শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং লোকেরা তাদেরকেই উপাস্যে পরিণত করে অথবা যারা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ বেখবর যে, দুনিয়ায় তাদের বন্দেগী ও পূজা করা হচ্ছে এবং এ কর্মে তাদের ইচ্ছা ও আকাংখার কোন দখল নেই, তাদের জাহান্নামে যাবার কোন কারণ নেই। কারণ, তারা এ শিরকের জন্য দায়ী নয়। তবে যারা নিজেরাই উপাস্য ও পূজনীয় হবার চেষ্টা করে এবং মানুষের এ শিরকে যাদের সত্যি সত্যিই দখল আছে তারা সবাই নিজেদের পূজারী ও উপাসকদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
এবার দেখবো খ্রীষ্টানদের ঈসা (আ) কে ইবাদাতের জন্য ঈসা (আ) দায়ী নয়। কোরানে খ্রীষ্টানদের ইবাদাতের বিপক্ষে ঈসা (আ) এর সাক্ষ।
আল-মা’ইদাহ ৫:১ِ যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত।
এবার দেখবো ঈসা(আ) আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণ প্রাপ্ত ছিলেন কিনা।
আল-আন‘আম ৬:৮৫: আর ও যাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ঈসা এবং ইলিয়াসকে। তারা সবাই পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আলি ‘ইমরান ৩:৪৫যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-মারইয়াম-তন
উপরের আলোচনা থেকে প্রমানিত হয় যে ঈসা (আ) ছিলেন এক জন নবী ও রছুল।এবং তিনি ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যান প্রাপ্তদের একজন।এবং সূরা আম্বিয়ার ৯৮নং আয়াতের হুকুমের সাথে ন্যাক লোকদের কোনো সম্পর্ক নাই।
বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।" (আল-কোরআন ১৭:৮১
বিস্তারিত জানতে দেখুন।
তাফসিরে ইবনে কাসীর: খন্ড:১৪-৩৯৫ পৃষ্ঠা থেকে ৪০০ পৃষ্ঠা।
তাফছিরে মাআারেফুল কোরআন: খন্ড:৬- ২২৫ পৃষ্ঠা থেকে ২২৭ পৃষ্ঠা।
তফছিরে তাফহীমুল কোরন: সূরা নং ২১, আয়াত নং ৯৮, টিকা নং ৯৫.
তাফছিরে আহসানুল বাইয়ান:সূরা নং ২১, আয়াত নং৯৮, টিকা নং ১০৩.
Answered By Shakil Khan
09:47
Share:
0 komentar: