নবীজি বলেন,"তোমরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় নামায আদায় করোনা,কারণ সুর্য শয়তানের মাথার দুইপ্রান্তের মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়(বুখারী৪:৫৪:৪৯৪)

Posted by Adam Simon  |  No comments

হাদিসের সৌন্দর্য দেখুনঃ
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে একটি হাদিস এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন, "যখন সূর্য গোলক উদিত হয় তখন সালাত ত্যাগ করবে, যে পর্যন্ত সূর্য বেশ স্পষ্ট হয়ে না উঠবে। ঠিক এভাবে আবার যখন সূর্য গোলক ডুবতে থাকে তখন সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকবে, যে পর্যন্ত সূর্য সম্পূর্ণভাবে ডুবে না যায়। আর সূর্য উঠার ও অস্ত যাওয়ার সময় সালাতের ইচ্ছা করবে না। কারন সূর্য শয়তানের দু' সিং এর মধ্যখান দিয়ে উদয় হয়। (সহীহঃ বুখারি ৫৮৫, ৩২৮৩, মুসলিম ৮২৮)
এ হাদীসে শয়তানের দুই সিং এর মর্মার্থ নিয়ে আলিমদের মাঝে মতের অমিল রয়েছে। সূর্য গোলকের উপরিভাগকে হাজিবুস শামস বলা হয়। অনেকের মতে সূর্যোদয়ের সময় এটা প্রথম প্রকাশ পায় তাই তাকে মানুষের ভ্রুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, সূর্যোদয়ের সময় শয়তান তার বরাবর দাড়িয়ে থাকে। সূর্য পূজারিরা সূর্যোদয়কালে যখন সূর্যকে সাজদাহ (সিজদা/ সেজদা) করে তখন ঐ সাজদাহ শয়তানের জন্যই হয়ে থাকে। যাতে মুমিনদের ইবাদত সূর্য পূজারিদের সাথে সাদৃশ্য না হয়, এজন্য উক্ত সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যেহেতু আমরা জীন শয়তান দেখতে পাই না, তাই আমরা সেগুলো খালি চোখে যাচাই করতে পারি না। কি অর্থে বলা হয়েছে সেটা আল্লাহ এবং তার রাসুল ই সবচেয়ে ভাল জানেন। ব্যাপারটি রূপক অর্থে ব্যাবহার করা হতে পারে। তবে অন্য একটি বিষয়ের সাথে ব্যাপারটি খুব মিলে গেছে। আর তা হল আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
শয়তান ও তার দল সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
[58,19] اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَأَنْسَاهُمْ ذِكْرَ اللَّهِ ۚ أُولَٰئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ ۚ أَلَا إِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُونَ
শয়তান তাদেরকে বশীভূত করে নিয়েছে, অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভূলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।
জীন শয়তানের পাশাপাশি মানব শয়তানের এর কথা বলা আছে। অর্থাৎ আমরা জীন শয়তান দেখতে না পেলেও মানব শয়তান এর দল সহজেই চিহ্নিত করতে পারি। একটু খোলা মন নিয়ে চিন্তা করুন তো শয়তানের দল কে বা কারা হতে পারে, যাদের আল্লাহর স্মরণ ভূলে গিয়েছে পুরোপুরি? আরেকটু সহজ করে দেই তারা নিরীহ মানুষ মেরে সম্পদ লুট করতে পছন্দ করে, তবে সন্ত্রাসী দেশ নামে পরিচিত সোমালিয়া আক্রমণ করে না। নিরপেক্ষ ভাবে জবাব আসতে পারে আমেরিকা ও রাশিয়া। কেনোনা ওদের প্রত্যেকের হাতে পৃথিবী পুরোপুরি ধংস করার মরনাস্ত্র রয়েছে। তো সে হিসেবে তাদেরকে যদি উক্ত আয়াতের শয়তানের দল মনে করা হয় তবে বলা যায় যে ব্যাপারটি খুব সহজে মিলে যাবে।
পৃথিবীর মানচিত্র নিন, আর দেখুন দেশদুটির একটি কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শিং এর মত আকার আছে। আর এই দুটি শিং এর ঠিক মাঝবরাবর কল্পনা করা হয় আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে। আমরা জানি সূর্য আসলে পৃথিবীতে কখনই উদিত হওয়া অর্থ বলতে যা বোঝায় সেভাবে উদিত হয় না। একপ্রান্তে আলো তো অন্য প্রান্তে আধার। কিন্তু আমরা তো প্রতিদিন সূর্যের উদয় দেখতে পাই। তো সেই হিসেবে কেউ যদি বলে সূর্য পৃথিবীর অমুক জায়গায় প্রথম উদিত হয়, তবে সেই কথাটি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভুল। কিন্তু তারপরও জাপানকে এখনও সূর্য উদয়ের দেশ বলা হয়ে থাকে।
অতএব এটা থেকে বলা যায় যে, পৃথিবীতে সূর্য উদয় বলতে কেউ যদি তারিখ রেখাকে নির্দিষ্ট করতে চান তবে যেহেতু দেশের নাম পরিবর্তন হতে পারে, তাই মানচিত্রের শিং এর মত আকারের মধ্যবর্তী স্থানের কথা বলে যাওয়া সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত মনে করি।

Answered By Didar

09:40 Share:
About Naveed Iqbal

Nulla sagittis convallis arcu. Sed sed nunc. Curabitur consequat. Quisque metus enim venenatis fermentum mollis. Duis vulputate elit in elit. Follow him on Google+.

0 komentar:

Get updates in your email box
Complete the form below, and we'll send you the best coupons.

Deliver via FeedBurner

Labels

Contact Form

Name

Email *

Message *

Text Widget

Recent News

About Us

Your Ads Here
back to top