মোহাম্মদ-এর কাছেই ওই কুরআনের সব বাণীর কোন দাম ছিল না তাই কোরআণ সংরক্ষণ করেননি!!!

Posted by Adam Simon  |  No comments

উত্তর দিয়েছেন

ভাই নয়ন চৌধুরী  (Nayan Chowdhury) 

 
কোরআন সংকলনের ইতিহাসঃ-
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
কোরআন এর সংকলন ইতিহাস নিয়ে নতুন করে কিছু লেখার নাই কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে তা লিখতে বাধ্য হয়েছি। 


কোরআন এর ভুল ধরতে ব্যার্থ হয়ে নাস্তিক, ইসলাম বিরোধিরা এখন এর সংকল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে! তারা বলে সঠিকভাবে সংকল হয়নি!! অনেক আয়াতই বাদ পরে গেছে!
অথচ আল্লাহ্‌ বলেছেন-
﴿اِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا الذِّكۡرَ وَاِنَّا لَهٗ لَحٰفِظُوۡنَ‏﴾
আর এই বাণী, একে তো আমিই অবতীর্ণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।


এবার আসা যাক মূল আলোচনায়!
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::.......
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর আমলেই প্রচুর সংখ্যক সাহাবী কুরআনে হাফিজ ছিলেন। মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জামানায় কুরআনে হাফেজদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন জায়েদ ইবনে সাবিত, উবাই ইবনে কা'ব, মুআ'য ইবনে জাবাল, আবু যায়েদ প্রমুখ সাহাবা (রাঃ).
তাছাড়া হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) -এর আমলে যখন কোরআন নাজিল হত তখনই কয়েকজন সাহাবা সেটা লিখে রাখতেন নবী কারীম (সাঃ) এর ডিকটেশান থেকেই।হুজুর (সাঃ) প্রতিটি আয়াত নাজিলের পরেই সেটি কোন সুরার কত নম্বর আয়াত হবে বলে দিতেন! কাতিবে ওহীগন তা সে অনুযায়ী লিখে রাখতেন!


এরকম সম্মানিত সাহাবা (রাঃ) দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জায়েদ ইবনে সাবিত, উবাইয়া ইবনে কা'ব, ইবনে মাসুদ, মুআ'বিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান, খালিদ ইবনে ওয়ালিদ, জুবায়ের ইবনে আওয়াম (রাঃ) প্রমুখ । এগুলো সাধারণত লেখা হত লেদার, পার্চমেন্ট ইত্যাদিতে।
ইয়ামামার যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক কুরআনে হাফিজ শহীদ হন। তাতে কুরআনকে সম্পূর্ণভাবে লেখ্য আকারে সংরক্ষণ করা জরুরী হয়ে পড়ে। তখন হযরত আবু বকর সিদ্দিকী (রাঃ) এর শাসনামল ছিল। হযরত উমর (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) কে অনুরোধ করেন যেন লিখিত ফর্মে কুরআন সংরক্ষণ করা হয়।


হযরত আবু বকর (রাঃ) হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) কে প্রধান করে একটা কমিটি করেন যারা বিচ্ছিন্নভাবে ছড়ানোছিটানো সংরক্ষিত কুরআনের একটা অথরিটেটিভ কপি করবেন। এই কপিটাকে "মুশাফ"( loose sheets which bore the entire revelation on them) বলা হত।


মুশাফটা যাতে কোনরকম ভুলভ্রান্তি না থাকে সেজন্য যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) এর কমিটি লেখা গ্রহণ করার জন্য দু'টা শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেনঃ-
i) শুধুমাত্র সেসব কপিই গ্রহণ করা হবে যা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপস্থিতিতেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। (এবং)
ii) কমপক্ষে দুজন বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী এই মর্মে ঘোষণা দিবেন যে তারা রাসুল (সাঃ) কে এই আয়াত আবৃত্তি করতে নিজের কানে শুনেছেন।
কমিটির সবাই কোরআন এর হাফিজ ছিলেন তাই উনারা নিজেরাও তিলাওয়াত করেও তার সত্যতা যাচাই করে নিতেন!
রাসুল(সাঃ) এর ঘরে সংরক্ষিত কোরআন এর আয়াতের কপিগুলো তারা সংগ্রহ করেন।



অত্যন্ত কঠিন যাচাই বাছাইয়ের পর হাফিজে কোরআনদের তত্তাবধানে লিখিত কোরআন শরীফের প্রথম কপিটি প্রস্তুত করা হয়।
(যারা কোরআন এ হাফিজদের বিভিন্ন পরিক্ষা বা প্রতিযোগিতা দেখেছেন তারা অবশ্যই জানেন যে হাফিজদের কাছ থেকে একটি জের-জবর ও লুকানো সম্ভব নয়! যদি বর্তমান সময়ে এমন হয় তবে রাসুলের(সাঃ) যুগের হাফিজরা কত দক্ষ ছিলেন তা সহজেই অনুমেয়!)
মুসহাফ খানা যখন সম্পন্ন করা হয়েছে আর সাহাবা আকরাম (রাঃ) দের দ্বারা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে তখন তা হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কাছে ছিল, তার মৃত্যুর পর হযরত উমর (রাঃ)-এর কাছে এবং তার মৃত্যুর পর উমর (রাঃ) এর কন্যা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বিধবা স্ত্রী হযরত হাফসা (রাঃ) এর কাছে ছিল।


হরকতের সংযোজনঃ
::::::::::::::::::::::::::::::::::
আরবরা কোন হরকত বা যের-যবর বা স্বরবর্ণ ছাড়াই আরবী পড়ত যেহেতু এটা তাদের মাতৃভাষা ছিল। উল্লেখ্য এখনও শিক্ষিত আরবরা হরকত ছাড়া আরবী পড়তে পারে।
হযরত ওমর (রাঃ)-এর আমলে ইসলাম ব্যাপক প্রসার লাভ করে। অনেক অনারবরাও ইসলামের আওতায় আসে। তাছাড়া ইংরেজীর মত উচ্চারণেও আরবের বিভিন্ন রিজিয়নের মধ্যে পার্থক্য ছিল। হযরত ওসমান (রাঃ) এর আমলে দেখা গেল দুরবর্তী এলাকার অনেকেই রাসুল (সাঃ) যেরকম উচ্চারণ শিখিয়েছিলেন সেরকম উচ্চারণ করতেছেনা। (এক্সেন্টের কথা বলা হচ্ছেনা, উচ্চারণের কথা বলা হচ্ছে) তাতে অনেক অর্থেরই বিকৃতি হয়ে যাচ্ছিল।

হযরত ওসমান (রাঃ)
উচ্চারণে ইউনিফরমিটি আনার জন্য হযরত হাফসা (রাঃ)-এর নিকট সংরক্ষিত মুশাফ থেকে অনেক কপি করলেন। এই কাজে তিনি হযরত আবু বকর (রাঃ) এর আমলে মুশাফ কমিটির হেড যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) সহ আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, সায়ীদ ইবনে আ'স, আব্দুর রহমান ইবনে হারিস প্রমুখ সাহাবা (রাঃ) কে দায়িত্ব দেন। 


আসল ম্যানুস্ক্রিপ্ট হাফসা (রাঃ) কে ফেরত দিয়ে তিনি বাকি কপিগুলো মেজর ইস্লামিক প্রভিন্সে পাঠান। তাছাড়া যাতে পরবর্তীতে কোন কনফিউশন তৈরী নাহয় সেজন্য তিনি অন্য সকল কপি যা ব্যাক্তি উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল যাচাই বাছাই ছাড়া, সেগুলো পুড়িয়ে ফেলার আদেশ জারি করেন।


উল্লেখ্য হযরত ওসমান (রাঃ) এর করা কপি এখনও উযবেকিস্তানের তাশকেন্ত মিউজিয়ামে আছে।

UNESCO-র Memory of the World Program মতে "it is the definitive version, known as the Mushaf of Uthman."

16:00 Share:
About Naveed Iqbal

Nulla sagittis convallis arcu. Sed sed nunc. Curabitur consequat. Quisque metus enim venenatis fermentum mollis. Duis vulputate elit in elit. Follow him on Google+.

0 komentar:

Get updates in your email box
Complete the form below, and we'll send you the best coupons.

Deliver via FeedBurner

Labels

Contact Form

Name

Email *

Message *

Text Widget

Recent News

About Us

Your Ads Here
back to top