স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ কি? (জবাব-২)

Posted by Adam Simon  |  No comments

উত্তর দিয়েছেন

ভাই নয়ন চৌধুরী      (Chayan Chowdhury)

 সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য এই post টি যথেষ্ট!!!

বিশ্বজগতে যত প্রকারের আলো রয়েছে, তার খুব কমই আমরা দেখতে পাই!
এক্স রে, গামা রশ্মি তার সবচেয়ে উত্তম উদাহরণ! 


গামা রশ্মি বা গামা বিকিরণ (প্রতীক γ) একপ্রকার উচ্চ কম্পাঙ্কের খুব ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ। ইহা বিভিন্ন সাব-এটমিক কণার মিথষ্ক্রিয়া, যেমন ইলেক্ট্রন-পজিট্রন অবলুপ্ত প্রক্রিয়া, পাইয়ন আবক্ষয়,তেজস্ক্রিয় আবক্ষয়, ফিউসান, ফিসান, বিপরীত কম্পটন বিচ্ছুরণ ইত্যাদির মাধ্যমে তৈরি হয়। গামা রশ্মির কম্পাংক সাধারণতঃ ১০ টুদি পাওয়ার ১৯ হার্জ এর উপরে, তাই এর শক্তি ১০০ কিলো ইলেকট্রন-ভোল্ট উপরে এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০ পিকোমিটার চেয়ে ছোট, যা প্রায়শঃ অণুর আয়তনের তুলনায় অনেক ছোট। ফরাসি রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী পল ভিলার্ড ১৯০০ সালে রেডিয়াম বিকিরণ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় গামা রশ্মি আবিষ্কার করেন। ইতিপূর্বে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড আলফা রশ্মি এবং বিটা রশ্মি নামের দুই প্রকার বিকিরণ ১৮৯৯ এবং ১৯০৩ সালে আবিষ্কার কারেন। রাদারফোর্ড ভিলার্ডের এই নতুন আবিষ্কৃত বিকিরণের নাম দেন গামা রশ্মি। ১৮৯৫ সালে এক্স রে আবিষ্কৃত হয় ৷ 


১৮৯৫ সালের পূর্বে কানার ভাই আন্ধা ও জানত যে আলোর কারনেই সব দেখা যায় ৷
এমন আলো আছে যা দেখা যায় না , তা কখনও মানুষ চিন্তাও করত না ৷
তারচেয়েও বড় বিস্ময় হল আলোর গতি৷ বিজ্ঞান বলছে, আলো প্রতি সেকেন্ড ৩০০,০০০ কিলোমিটার এবং ঘণ্টায় ১,০৭৯,০০০,০০০ কিলোমিটার যেতে পারে ৷


বিস্ময়কর ব্যাপার হল, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 1400 বছর পূর্বে বলেছেনঃ ফেরেশতাদেরকে নূর বা আলো দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে আর জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে নির্ধুম অগ্নিশিখা হতে ৷ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২২৫, ইসলামিক সেন্টার ৭২৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) 



শুধু তাই নয় ফেরেশতাদের চলার গতির ব্যাপারে কোরআনে বলা হয়েছে
[4] تَعرُجُ المَلٰئِكَةُ وَالرّوحُ إِلَيهِ فى يَومٍ كانَ مِقدارُهُ خَمسينَ أَلفَ سَنَةٍ
[4] ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
(সূরা আল মায়ারিজ)
দেখুন, সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ বলছেন যে আলোর তৈরি ফেরেশতা একদিনে যে দুরত্ব অতিক্রম করে তা অতিক্রম করতে আমাদের পঞ্চাশ হাজার বছর লাগবে ৷


নাস্তিকদের প্রতি প্রশ্ন হল,
(1) এত কিছু থাকতে রাসূল সাঃ কেন বললেন ফেরেশতা আলোর তৈরি? 1400 বছর পূর্বে আলো দেখা যায় না বলার মত সাহস এবং জ্ঞান তিনি কোথায় পেলেন?
(2 ) 1400 বছর পূর্বে রাসূল সাঃ কিভাবে জানলেন যে এমন আলো রয়েছে যা স্বাভাবিক ভাবে মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়?
(3) কোরআনে আলোর তৈরি ফেরেশতাদের প্রচন্ড এবং অকল্পনীয় গতি সম্পন্ন বলা হয়েছে ৷ এখন বিজ্ঞান বলছে সবচেয়ে গতি সম্পন্ন হল আলো!
কিভাবে দুটি ব্যাপার মিলে গেল?
(4) না দেখা যাওয়ার মত আলো রয়েছে এবং আলোর অকল্পনীয় গতিতে চলার কথা রাসূল সাঃ কার কাছ থেকে জানলেন???
মূল কথায় আসি, 1400 বছর পূর্বে রাসূল সাঃ যখন জানিয়ে দিলেন যে ফেরেশতা আলোর তৈরি তখন সাহাবিরা ফেরেশতা দেখতে পায়নি ৷
উনারা কিন্তু বলেনি, " আলোর তৈরি হলে আমরা কেন দেখিনা? " বরং তারা বিশ্বাস করেছে ৷ এবং 1895 সালে প্রথম প্রমাণিত হয়েছে যে খালি চোখে দেখা না যাবার মত অনেক আলো রয়েছে! যদি উনারা তখনকার বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে ঈমান আনতে চাইত, তবে কি সত্যকে মেনে নিত? ঠিক তেমনি ভাবে আজ বিজ্ঞান অনেক কিছু উল্টাপাল্টা বলছে কিন্তু ভবিষ্যতে অবশ্যই ইনশাআল্লাহ কোরআনের সাথে কন্ঠ মেলাবে এবং স্বীকার করবে যে সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন ৷ তখন নাস্তিকদের আফসোস ছাড়া করার কিছুই থাকবেনা!

12:00 Share:
About Naveed Iqbal

Nulla sagittis convallis arcu. Sed sed nunc. Curabitur consequat. Quisque metus enim venenatis fermentum mollis. Duis vulputate elit in elit. Follow him on Google+.

0 komentar:

Get updates in your email box
Complete the form below, and we'll send you the best coupons.

Deliver via FeedBurner

Labels

Contact Form

Name

Email *

Message *

Text Widget

Recent News

About Us

Your Ads Here
back to top