আমরা জানি মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। অথচ কুরান বলছে মৌমাছি ফল থেকে মধু সংগ্রহ করে। এটা কুরানের সাইণ্টিফিক ভুল।

Posted by Adam Simon  |  No comments

বিজ্ঞানময় কোরআন ও এর সত্যতা নিরূপণ:


আজ সকালে একজনকে সুরা নাহল এর ৬৯ নম্বর আয়াতটি নিয়ে বিদ্রুপ করতে দেখলাম। তার বক্তব্য হচ্ছে আয়াতটিতে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে! কারন মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। কিন্তু কোরআনে বলা হয়েছে ফলের রসের কথা!!

বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা ছিলনা কিন্তু বিশ্বাস ছিল কোরআন ভুল হতে পারেনা! পড়া শুরু করলাম এবিষয়ে!
তাহলে দেখি কোরআনে দেয়া তথ্যটি ভুল নাকি সঠিক!! 


আয়াতটি হচ্ছে--
﴿ وَاَوۡحٰى رَبُّكَ اِلَى النَّحۡلِ اَنِ اتَّخِذِىۡ مِنَ الۡجِبَالِ بُيُوۡتًا وَّمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعۡرِشُوۡنَۙ‏﴾
৬৮.) আর দেখো তোমার রব মৌমাছিদেরকে একথা অহীর মাধ্যমে বলে দিয়েছেনঃ৫৬ তোমরা পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ও মাচার ওপর ছড়ানো লতাগুল্মে নিজেদের চাক নির্মাণ করো।
﴿ ثُمَّ كُلِىۡ مِنۡ كُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسۡلُكِىۡ سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلاً‌ؕ يَخۡرُجُ مِنۡۢ بُطُوۡنِهَا شَرَابٌ مُّخۡتَلِفٌ اَلۡوٰنُهٗ فِيۡهِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ‌ؕ اِنَّ فِىۡ ذٰلِكَ لَاَيَةً لِّقَوۡمٍ يَّتَفَكَّرُوۡنَ﴾
৬৯.) তারপর সব রকমের ফলের রস চোসো এবং নিজের রবের তৈরি করা পথে চলতে থাকো।৫৭ এ মাছির ভেতর থেকে একটি বিচিত্র রংগের শরবত বের হয়, যার মধ্যে রয়েছে নিরাময় মানুষের জন্য।৫৮ অবশ্যি এর মধ্যেও একটি নিশানী রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা-ভাবনা করে।৫৯


মধু উৎপাদনঃ
মধু একান্তভাবে মৌমাছির তৈরী এক প্রকার উপাদেয় খাদ্য। শ্রমিক মৌমাছিরা ফুল থেকে মিষ্টি রস শুষে নেয় এবং তা জমা করে পাকস্থলীর উপরে এক বিশেষ অঙ্গে যাকে মধুথলি বলে। ফুলের মিষ্টি রস মধুথলিতে জমা করার সময় এর সঙ্গে লালা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন উৎসেচক মেশায়। এর ফলে মিষ্টি রস পরিবর্তিত হয়ে আংশিক মধু তৈরী হয়, যা চাকে এনে ঢেলে দেয় মধু রাখার খোপগুলোতে। তরুণ শ্রমিক মৌমাছিরা এ সময় ছুটে এসে ঐ মধু আবার মুখে ভরে এবং তাদের লালার সংগে মিশিয়ে তৈরী করে আসল মধু এবং তা জমা করে খোপে। শ্রমিক মৌমাছিরা জোরে ডানা নেড়ে খোপে রক্ষিত মধু থেকে বাড়তি পানি সরিয়ে দেয়। ফলে এক সময় ফুলের মিষ্টি রস হয়ে যায় ঘন মধু, যা জমা রাখে নিজেদের ও বাচ্চাদের খাবার হিসাবে। 


২১ দিন বয়সের শ্রমিক মৌমাছিরা বিভিন্ন ফুল থেকে নেকটার বা মৌ রস সংগ্রহ করে ১৭-১৯ দিন বয়সের শ্রমিক মৌমাছির মুখে তুলে দেয়। তা শ্রমিক মৌমাছিরা গিলে ফেলে মধু থলিতে জমা করে এবং সেখান থেকে ইনভারটেজ, ডায়াসটোজ, গ্লুকোজ অক্সিডেজ ইত্যাদি এনজাইমের সাহায্যে সরল চিনিতে পরিণত করে মৌচাকের বিভিন্ন কোষে জমা করে। এ সময় মধুতে পানির পরিমাণ ৫০-৬০ ভাগ থাকে। তখন অন্যান্য শ্রমিক মৌমাছি পাখার সাহায্যে দ্রুত বাতাস করে জলীয় অংশের পরিমাণ ১৮-২০ ভাগে নিয়ে আসে। এরপর মোম দিয়ে মৌচাকের খোপের ভেতর দিয়ে মধুকে ঢেলে ফেলে। এভাবেই সঠিক ঘনত্বের মধু তৈরি হয়। এ মধু দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়!


আমরা আগে জানতাম মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে বিভিন্ন ফুল থেকে অত:পর তা মৌচাকে মজুদ রাখে সরাসরি। আসলে তা নয়, বিজ্ঞান কিছুদিন আগে প্রমাণ করেছে মৌমাছির শরীর থেকে মধু বের হয়!
ঠিক তাই ! মৌমাছিরা ফুলের মধুগ্রন্থি থেকে যা সংগ্রহ করে তা মোটেও মধু না ,তা দেখতে অনেকটা সাদা আঠালো রসের মত যাকে নেকটার বলে ! আর তখন তারা সেইটা তাদের শরীরে নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মধু তৈরী করে মৌচাকে জমা রাখে ! সত্যি কথা বলতেকি যদি মৌমাছি এরকম ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করতে পারত তাহলে, এর জন্য আমাদের মৌমাছির অপেক্ষায় বসে থাকতে হতনা ,বিজ্ঞানীরাই হয়ত একটা উপায় বের করে ফেলত ! তবে, মৌমাছি কিভাবে সেই রসটাকে মধুতে রুপান্তরিত করে তা এখনো অজানা ! হয়ত অদূর ভবিষ্যতে তাও আবিষ্কার হয়ে যাবে আর এর জন্য তখন হয়ত আমাদের সেই ক্ষুদ্র মৌমাছির আশায় বসে থাকতে হবেনা ,নিজেরাই বাসায় একটা ল্যাবরেটরি বানিয়ে মধু তৈরী করে ফেলবো !


ঠিক একথাটাই বলা হয়েছে কোরআনুল করিমে! সুবাহানাল্লাহ!!
কোরআন আরো বলেছে মধুর ওষুধীগুনের কথা। আজ আমরা জেনেছি মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুন! আছে প্রচুর ভিটামিন কে আর ফ্রুক্টোজ। আরো আছে মাঝারি এন্টিসেপ্টিক গুন। কেটে যাওয়া জায়গায় মধু লাগিয়ে রাখলে কোনরকম ইফেকশান হয়না।
এখন প্রশ্নহচ্ছে মৌমাছি ফুলের কোন অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে?
উত্তর ঃ ফুলের গর্ভাশয় থেকে! 


তাহলে দেখাযাক উদ্ভিদ বিজ্ঞানিরা গর্ভাশয় সম্পর্কে কিবলে------
Q অংশটি হলো ফুলের গর্ভাশয়। ফুলের গর্ভাশয় পরিবর্তিত হয়ে ফলে রূপান্তরিত হয়। এই ফলের অভ্যন্তরে বীজ থাকে। এই ফল ও বীজের বিস্তরণ ঘটে এবং অঙ্কুরিত হয়ে নতুন উদ্ভিদের
সৃষ্টি হয়। এই নতুন উদ্ভিদ থেকে পুনরায় ফুল, ফল ও বীজ উ ৎপন্ন হয়। এতে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি ঘটে, উদ্ভিদ সম্প্রদায় দীর্ঘদিন পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে এবং উদ্ভিদ প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার
সম্ভাবনা কমে যায়। কাজেই Q অংশটি যদি ফলে পরিবর্তিত না হয়, তবে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি হবে না এবং উদ্ভিদ প্রজাতি একসময় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে
প্রতীয়মান হয় যে Q অংশটির (গর্ভাশয়) পরিবর্তিত অবস্থা উদ্ভিদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


অর্থাৎ গর্ভাশয় মূলত ফুল নয় ফলের প্রাথমিক অবস্থা!!
সুবাহানাল্লাহ! ১৫০০ বছর আগে কি দেখা যেত স্বাভাবিক ভাবে? তখনতো দেখা যেত মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে! কিন্তু এটা যে মূলত ফলেরই রস তা কি কেউ কল্পনাও করতে পেরেছিল সে সময়? প্রশ্নই আসেনা!! তাহলে কিভাবে কোরআনে ফুল না বলে ফলের রস বলা হল?


কারন এটা তখন কেউ না জানলেও মাওলা জানতেন যে মৌমাছি প্রকৃতপক্ষে ফুল নয় ফলের রস সংগ্রহ করে!! আর তাই শুধু যদি এই একটা আয়াতের দিকে তাকাই তাহলেই ক্লিয়ার হয়ে যায় যে কোরআন কোন মানব রচিত গ্রন্থ নয় বরং এটা একটি ঐশি গ্রন্থ!! শুধু অবিশ্বাসীরাই তা বুঝতে পারেনা।


কেননা, তারা অন্ধ বোধির ,দেখেও দেখেনা শুনেও শুনেনা আল্লা বুদ্ধিমত্তায় মোহর এটে দিয়েছেন তাদের সেইদিন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে | যতদিন তাদের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে অবশেষে তারি দিকে তাদের প্রত্যাবর্তন।


উল্লেখ্য যে মৌমাছি পাকা ফল যেমন- আপেল,আংগুর,খেজুর,পাম ইত্যাদি থেকেও রস সংগ্রহ করে থাকে।

08:47 Share:
About Naveed Iqbal

Nulla sagittis convallis arcu. Sed sed nunc. Curabitur consequat. Quisque metus enim venenatis fermentum mollis. Duis vulputate elit in elit. Follow him on Google+.

0 komentar:

Get updates in your email box
Complete the form below, and we'll send you the best coupons.

Deliver via FeedBurner

Labels

Contact Form

Name

Email *

Message *

Text Widget

Recent News

About Us

Your Ads Here
back to top