বিজ্ঞানময় কোরআন ও এর সত্যতা নিরূপণ:


আজ সকালে একজনকে সুরা নাহল এর ৬৯ নম্বর আয়াতটি নিয়ে বিদ্রুপ করতে দেখলাম। তার বক্তব্য হচ্ছে আয়াতটিতে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে! কারন মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। কিন্তু কোরআনে বলা হয়েছে ফলের রসের কথা!!

বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা ছিলনা কিন্তু বিশ্বাস ছিল কোরআন ভুল হতে পারেনা! পড়া শুরু করলাম এবিষয়ে!
তাহলে দেখি কোরআনে দেয়া তথ্যটি ভুল নাকি সঠিক!! 


আয়াতটি হচ্ছে--
﴿ وَاَوۡحٰى رَبُّكَ اِلَى النَّحۡلِ اَنِ اتَّخِذِىۡ مِنَ الۡجِبَالِ بُيُوۡتًا وَّمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعۡرِشُوۡنَۙ‏﴾
৬৮.) আর দেখো তোমার রব মৌমাছিদেরকে একথা অহীর মাধ্যমে বলে দিয়েছেনঃ৫৬ তোমরা পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ও মাচার ওপর ছড়ানো লতাগুল্মে নিজেদের চাক নির্মাণ করো।
﴿ ثُمَّ كُلِىۡ مِنۡ كُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسۡلُكِىۡ سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلاً‌ؕ يَخۡرُجُ مِنۡۢ بُطُوۡنِهَا شَرَابٌ مُّخۡتَلِفٌ اَلۡوٰنُهٗ فِيۡهِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ‌ؕ اِنَّ فِىۡ ذٰلِكَ لَاَيَةً لِّقَوۡمٍ يَّتَفَكَّرُوۡنَ﴾
৬৯.) তারপর সব রকমের ফলের রস চোসো এবং নিজের রবের তৈরি করা পথে চলতে থাকো।৫৭ এ মাছির ভেতর থেকে একটি বিচিত্র রংগের শরবত বের হয়, যার মধ্যে রয়েছে নিরাময় মানুষের জন্য।৫৮ অবশ্যি এর মধ্যেও একটি নিশানী রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা-ভাবনা করে।৫৯


মধু উৎপাদনঃ
মধু একান্তভাবে মৌমাছির তৈরী এক প্রকার উপাদেয় খাদ্য। শ্রমিক মৌমাছিরা ফুল থেকে মিষ্টি রস শুষে নেয় এবং তা জমা করে পাকস্থলীর উপরে এক বিশেষ অঙ্গে যাকে মধুথলি বলে। ফুলের মিষ্টি রস মধুথলিতে জমা করার সময় এর সঙ্গে লালা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন উৎসেচক মেশায়। এর ফলে মিষ্টি রস পরিবর্তিত হয়ে আংশিক মধু তৈরী হয়, যা চাকে এনে ঢেলে দেয় মধু রাখার খোপগুলোতে। তরুণ শ্রমিক মৌমাছিরা এ সময় ছুটে এসে ঐ মধু আবার মুখে ভরে এবং তাদের লালার সংগে মিশিয়ে তৈরী করে আসল মধু এবং তা জমা করে খোপে। শ্রমিক মৌমাছিরা জোরে ডানা নেড়ে খোপে রক্ষিত মধু থেকে বাড়তি পানি সরিয়ে দেয়। ফলে এক সময় ফুলের মিষ্টি রস হয়ে যায় ঘন মধু, যা জমা রাখে নিজেদের ও বাচ্চাদের খাবার হিসাবে। 


২১ দিন বয়সের শ্রমিক মৌমাছিরা বিভিন্ন ফুল থেকে নেকটার বা মৌ রস সংগ্রহ করে ১৭-১৯ দিন বয়সের শ্রমিক মৌমাছির মুখে তুলে দেয়। তা শ্রমিক মৌমাছিরা গিলে ফেলে মধু থলিতে জমা করে এবং সেখান থেকে ইনভারটেজ, ডায়াসটোজ, গ্লুকোজ অক্সিডেজ ইত্যাদি এনজাইমের সাহায্যে সরল চিনিতে পরিণত করে মৌচাকের বিভিন্ন কোষে জমা করে। এ সময় মধুতে পানির পরিমাণ ৫০-৬০ ভাগ থাকে। তখন অন্যান্য শ্রমিক মৌমাছি পাখার সাহায্যে দ্রুত বাতাস করে জলীয় অংশের পরিমাণ ১৮-২০ ভাগে নিয়ে আসে। এরপর মোম দিয়ে মৌচাকের খোপের ভেতর দিয়ে মধুকে ঢেলে ফেলে। এভাবেই সঠিক ঘনত্বের মধু তৈরি হয়। এ মধু দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়!


আমরা আগে জানতাম মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে বিভিন্ন ফুল থেকে অত:পর তা মৌচাকে মজুদ রাখে সরাসরি। আসলে তা নয়, বিজ্ঞান কিছুদিন আগে প্রমাণ করেছে মৌমাছির শরীর থেকে মধু বের হয়!
ঠিক তাই ! মৌমাছিরা ফুলের মধুগ্রন্থি থেকে যা সংগ্রহ করে তা মোটেও মধু না ,তা দেখতে অনেকটা সাদা আঠালো রসের মত যাকে নেকটার বলে ! আর তখন তারা সেইটা তাদের শরীরে নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মধু তৈরী করে মৌচাকে জমা রাখে ! সত্যি কথা বলতেকি যদি মৌমাছি এরকম ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করতে পারত তাহলে, এর জন্য আমাদের মৌমাছির অপেক্ষায় বসে থাকতে হতনা ,বিজ্ঞানীরাই হয়ত একটা উপায় বের করে ফেলত ! তবে, মৌমাছি কিভাবে সেই রসটাকে মধুতে রুপান্তরিত করে তা এখনো অজানা ! হয়ত অদূর ভবিষ্যতে তাও আবিষ্কার হয়ে যাবে আর এর জন্য তখন হয়ত আমাদের সেই ক্ষুদ্র মৌমাছির আশায় বসে থাকতে হবেনা ,নিজেরাই বাসায় একটা ল্যাবরেটরি বানিয়ে মধু তৈরী করে ফেলবো !


ঠিক একথাটাই বলা হয়েছে কোরআনুল করিমে! সুবাহানাল্লাহ!!
কোরআন আরো বলেছে মধুর ওষুধীগুনের কথা। আজ আমরা জেনেছি মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুন! আছে প্রচুর ভিটামিন কে আর ফ্রুক্টোজ। আরো আছে মাঝারি এন্টিসেপ্টিক গুন। কেটে যাওয়া জায়গায় মধু লাগিয়ে রাখলে কোনরকম ইফেকশান হয়না।
এখন প্রশ্নহচ্ছে মৌমাছি ফুলের কোন অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে?
উত্তর ঃ ফুলের গর্ভাশয় থেকে! 


তাহলে দেখাযাক উদ্ভিদ বিজ্ঞানিরা গর্ভাশয় সম্পর্কে কিবলে------
Q অংশটি হলো ফুলের গর্ভাশয়। ফুলের গর্ভাশয় পরিবর্তিত হয়ে ফলে রূপান্তরিত হয়। এই ফলের অভ্যন্তরে বীজ থাকে। এই ফল ও বীজের বিস্তরণ ঘটে এবং অঙ্কুরিত হয়ে নতুন উদ্ভিদের
সৃষ্টি হয়। এই নতুন উদ্ভিদ থেকে পুনরায় ফুল, ফল ও বীজ উ ৎপন্ন হয়। এতে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি ঘটে, উদ্ভিদ সম্প্রদায় দীর্ঘদিন পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে এবং উদ্ভিদ প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার
সম্ভাবনা কমে যায়। কাজেই Q অংশটি যদি ফলে পরিবর্তিত না হয়, তবে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি হবে না এবং উদ্ভিদ প্রজাতি একসময় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে
প্রতীয়মান হয় যে Q অংশটির (গর্ভাশয়) পরিবর্তিত অবস্থা উদ্ভিদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


অর্থাৎ গর্ভাশয় মূলত ফুল নয় ফলের প্রাথমিক অবস্থা!!
সুবাহানাল্লাহ! ১৫০০ বছর আগে কি দেখা যেত স্বাভাবিক ভাবে? তখনতো দেখা যেত মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে! কিন্তু এটা যে মূলত ফলেরই রস তা কি কেউ কল্পনাও করতে পেরেছিল সে সময়? প্রশ্নই আসেনা!! তাহলে কিভাবে কোরআনে ফুল না বলে ফলের রস বলা হল?


কারন এটা তখন কেউ না জানলেও মাওলা জানতেন যে মৌমাছি প্রকৃতপক্ষে ফুল নয় ফলের রস সংগ্রহ করে!! আর তাই শুধু যদি এই একটা আয়াতের দিকে তাকাই তাহলেই ক্লিয়ার হয়ে যায় যে কোরআন কোন মানব রচিত গ্রন্থ নয় বরং এটা একটি ঐশি গ্রন্থ!! শুধু অবিশ্বাসীরাই তা বুঝতে পারেনা।


কেননা, তারা অন্ধ বোধির ,দেখেও দেখেনা শুনেও শুনেনা আল্লা বুদ্ধিমত্তায় মোহর এটে দিয়েছেন তাদের সেইদিন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে | যতদিন তাদের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে অবশেষে তারি দিকে তাদের প্রত্যাবর্তন।


উল্লেখ্য যে মৌমাছি পাকা ফল যেমন- আপেল,আংগুর,খেজুর,পাম ইত্যাদি থেকেও রস সংগ্রহ করে থাকে।

আমরা জানি মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। অথচ কুরান বলছে মৌমাছি ফল থেকে মধু সংগ্রহ করে। এটা কুরানের সাইণ্টিফিক ভুল।

Posted by Adam Simon  |  No comments

বিজ্ঞানময় কোরআন ও এর সত্যতা নিরূপণ:


আজ সকালে একজনকে সুরা নাহল এর ৬৯ নম্বর আয়াতটি নিয়ে বিদ্রুপ করতে দেখলাম। তার বক্তব্য হচ্ছে আয়াতটিতে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে! কারন মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। কিন্তু কোরআনে বলা হয়েছে ফলের রসের কথা!!

বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা ছিলনা কিন্তু বিশ্বাস ছিল কোরআন ভুল হতে পারেনা! পড়া শুরু করলাম এবিষয়ে!
তাহলে দেখি কোরআনে দেয়া তথ্যটি ভুল নাকি সঠিক!! 


আয়াতটি হচ্ছে--
﴿ وَاَوۡحٰى رَبُّكَ اِلَى النَّحۡلِ اَنِ اتَّخِذِىۡ مِنَ الۡجِبَالِ بُيُوۡتًا وَّمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعۡرِشُوۡنَۙ‏﴾
৬৮.) আর দেখো তোমার রব মৌমাছিদেরকে একথা অহীর মাধ্যমে বলে দিয়েছেনঃ৫৬ তোমরা পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ও মাচার ওপর ছড়ানো লতাগুল্মে নিজেদের চাক নির্মাণ করো।
﴿ ثُمَّ كُلِىۡ مِنۡ كُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسۡلُكِىۡ سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلاً‌ؕ يَخۡرُجُ مِنۡۢ بُطُوۡنِهَا شَرَابٌ مُّخۡتَلِفٌ اَلۡوٰنُهٗ فِيۡهِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ‌ؕ اِنَّ فِىۡ ذٰلِكَ لَاَيَةً لِّقَوۡمٍ يَّتَفَكَّرُوۡنَ﴾
৬৯.) তারপর সব রকমের ফলের রস চোসো এবং নিজের রবের তৈরি করা পথে চলতে থাকো।৫৭ এ মাছির ভেতর থেকে একটি বিচিত্র রংগের শরবত বের হয়, যার মধ্যে রয়েছে নিরাময় মানুষের জন্য।৫৮ অবশ্যি এর মধ্যেও একটি নিশানী রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা-ভাবনা করে।৫৯


মধু উৎপাদনঃ
মধু একান্তভাবে মৌমাছির তৈরী এক প্রকার উপাদেয় খাদ্য। শ্রমিক মৌমাছিরা ফুল থেকে মিষ্টি রস শুষে নেয় এবং তা জমা করে পাকস্থলীর উপরে এক বিশেষ অঙ্গে যাকে মধুথলি বলে। ফুলের মিষ্টি রস মধুথলিতে জমা করার সময় এর সঙ্গে লালা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন উৎসেচক মেশায়। এর ফলে মিষ্টি রস পরিবর্তিত হয়ে আংশিক মধু তৈরী হয়, যা চাকে এনে ঢেলে দেয় মধু রাখার খোপগুলোতে। তরুণ শ্রমিক মৌমাছিরা এ সময় ছুটে এসে ঐ মধু আবার মুখে ভরে এবং তাদের লালার সংগে মিশিয়ে তৈরী করে আসল মধু এবং তা জমা করে খোপে। শ্রমিক মৌমাছিরা জোরে ডানা নেড়ে খোপে রক্ষিত মধু থেকে বাড়তি পানি সরিয়ে দেয়। ফলে এক সময় ফুলের মিষ্টি রস হয়ে যায় ঘন মধু, যা জমা রাখে নিজেদের ও বাচ্চাদের খাবার হিসাবে। 


২১ দিন বয়সের শ্রমিক মৌমাছিরা বিভিন্ন ফুল থেকে নেকটার বা মৌ রস সংগ্রহ করে ১৭-১৯ দিন বয়সের শ্রমিক মৌমাছির মুখে তুলে দেয়। তা শ্রমিক মৌমাছিরা গিলে ফেলে মধু থলিতে জমা করে এবং সেখান থেকে ইনভারটেজ, ডায়াসটোজ, গ্লুকোজ অক্সিডেজ ইত্যাদি এনজাইমের সাহায্যে সরল চিনিতে পরিণত করে মৌচাকের বিভিন্ন কোষে জমা করে। এ সময় মধুতে পানির পরিমাণ ৫০-৬০ ভাগ থাকে। তখন অন্যান্য শ্রমিক মৌমাছি পাখার সাহায্যে দ্রুত বাতাস করে জলীয় অংশের পরিমাণ ১৮-২০ ভাগে নিয়ে আসে। এরপর মোম দিয়ে মৌচাকের খোপের ভেতর দিয়ে মধুকে ঢেলে ফেলে। এভাবেই সঠিক ঘনত্বের মধু তৈরি হয়। এ মধু দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়!


আমরা আগে জানতাম মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে বিভিন্ন ফুল থেকে অত:পর তা মৌচাকে মজুদ রাখে সরাসরি। আসলে তা নয়, বিজ্ঞান কিছুদিন আগে প্রমাণ করেছে মৌমাছির শরীর থেকে মধু বের হয়!
ঠিক তাই ! মৌমাছিরা ফুলের মধুগ্রন্থি থেকে যা সংগ্রহ করে তা মোটেও মধু না ,তা দেখতে অনেকটা সাদা আঠালো রসের মত যাকে নেকটার বলে ! আর তখন তারা সেইটা তাদের শরীরে নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মধু তৈরী করে মৌচাকে জমা রাখে ! সত্যি কথা বলতেকি যদি মৌমাছি এরকম ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করতে পারত তাহলে, এর জন্য আমাদের মৌমাছির অপেক্ষায় বসে থাকতে হতনা ,বিজ্ঞানীরাই হয়ত একটা উপায় বের করে ফেলত ! তবে, মৌমাছি কিভাবে সেই রসটাকে মধুতে রুপান্তরিত করে তা এখনো অজানা ! হয়ত অদূর ভবিষ্যতে তাও আবিষ্কার হয়ে যাবে আর এর জন্য তখন হয়ত আমাদের সেই ক্ষুদ্র মৌমাছির আশায় বসে থাকতে হবেনা ,নিজেরাই বাসায় একটা ল্যাবরেটরি বানিয়ে মধু তৈরী করে ফেলবো !


ঠিক একথাটাই বলা হয়েছে কোরআনুল করিমে! সুবাহানাল্লাহ!!
কোরআন আরো বলেছে মধুর ওষুধীগুনের কথা। আজ আমরা জেনেছি মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুন! আছে প্রচুর ভিটামিন কে আর ফ্রুক্টোজ। আরো আছে মাঝারি এন্টিসেপ্টিক গুন। কেটে যাওয়া জায়গায় মধু লাগিয়ে রাখলে কোনরকম ইফেকশান হয়না।
এখন প্রশ্নহচ্ছে মৌমাছি ফুলের কোন অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে?
উত্তর ঃ ফুলের গর্ভাশয় থেকে! 


তাহলে দেখাযাক উদ্ভিদ বিজ্ঞানিরা গর্ভাশয় সম্পর্কে কিবলে------
Q অংশটি হলো ফুলের গর্ভাশয়। ফুলের গর্ভাশয় পরিবর্তিত হয়ে ফলে রূপান্তরিত হয়। এই ফলের অভ্যন্তরে বীজ থাকে। এই ফল ও বীজের বিস্তরণ ঘটে এবং অঙ্কুরিত হয়ে নতুন উদ্ভিদের
সৃষ্টি হয়। এই নতুন উদ্ভিদ থেকে পুনরায় ফুল, ফল ও বীজ উ ৎপন্ন হয়। এতে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি ঘটে, উদ্ভিদ সম্প্রদায় দীর্ঘদিন পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে এবং উদ্ভিদ প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার
সম্ভাবনা কমে যায়। কাজেই Q অংশটি যদি ফলে পরিবর্তিত না হয়, তবে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি হবে না এবং উদ্ভিদ প্রজাতি একসময় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে
প্রতীয়মান হয় যে Q অংশটির (গর্ভাশয়) পরিবর্তিত অবস্থা উদ্ভিদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


অর্থাৎ গর্ভাশয় মূলত ফুল নয় ফলের প্রাথমিক অবস্থা!!
সুবাহানাল্লাহ! ১৫০০ বছর আগে কি দেখা যেত স্বাভাবিক ভাবে? তখনতো দেখা যেত মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে! কিন্তু এটা যে মূলত ফলেরই রস তা কি কেউ কল্পনাও করতে পেরেছিল সে সময়? প্রশ্নই আসেনা!! তাহলে কিভাবে কোরআনে ফুল না বলে ফলের রস বলা হল?


কারন এটা তখন কেউ না জানলেও মাওলা জানতেন যে মৌমাছি প্রকৃতপক্ষে ফুল নয় ফলের রস সংগ্রহ করে!! আর তাই শুধু যদি এই একটা আয়াতের দিকে তাকাই তাহলেই ক্লিয়ার হয়ে যায় যে কোরআন কোন মানব রচিত গ্রন্থ নয় বরং এটা একটি ঐশি গ্রন্থ!! শুধু অবিশ্বাসীরাই তা বুঝতে পারেনা।


কেননা, তারা অন্ধ বোধির ,দেখেও দেখেনা শুনেও শুনেনা আল্লা বুদ্ধিমত্তায় মোহর এটে দিয়েছেন তাদের সেইদিন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে | যতদিন তাদের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে অবশেষে তারি দিকে তাদের প্রত্যাবর্তন।


উল্লেখ্য যে মৌমাছি পাকা ফল যেমন- আপেল,আংগুর,খেজুর,পাম ইত্যাদি থেকেও রস সংগ্রহ করে থাকে।

08:47 Share:

বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করা কি ইসলামে অবৈধ???? 

সূরা মায়েদাহর 51 নাম্বার আয়াত দেখিয়ে নাস্তিক এবং ইসলাম বিদ্বেষীরা সব সময় বলে কোরআনে নাকি বিধর্মীদের সাথে ভাল আচরন ও বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছে এবং তাদের বিশ্রি ভাষায় গালাগালি করতে নির্দেশ দিয়েছে ! আসলেই কি তাই????
সম্পূর্ন মিথ্যা অপবাদ এটা ৷ 

সূরা মায়েদাহর 51 নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহন না করার জন্য
51] ۞ يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا لا تَتَّخِذُوا اليَهودَ وَالنَّصٰرىٰ أَولِياءَ ۘ بَعضُهُم أَولِياءُ بَعضٍ ۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِنكُم فَإِنَّهُ مِنهُم ۗ إِنَّ اللَّهَ لا يَهدِى القَومَ الظّٰلِمينَ
[51] হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
এবং 57 নাম্বার আয়াতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কোন কোন লোকের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না ৷
[57] يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا لا تَتَّخِذُوا الَّذينَ اتَّخَذوا دينَكُم هُزُوًا وَلَعِبًا مِنَ الَّذينَ أوتُوا الكِتٰبَ مِن قَبلِكُم وَالكُفّارَ أَولِياءَ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِن كُنتُم مُؤمِنينَ
[57] হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও।( সূরা মায়েদাহ) 

দেখুন, যারা ধর্মকে উপহাস করে এবং খেলা মনে করে তাদের সাথে বন্ধুত্ব না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে! এখন আমার ধর্মকে যে উপহাস করে তাকে কি আমি বন্ধু বানাব??? আপনাকে, আপনার মা,বাবা, পরিবারকে নিয়ে যদি আমি সবসময় উপহাস করি তবে কি আপনি আমাকে বন্ধু বানাবেন?? পৃথিবীর এমন কোন ব্যাক্তি কি আছে যে তার উপহাস কারীর সাথে বন্ধুত্ব করে???

Answered By
Chayan Chowdhury

কোরআন অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষধ করে!

Posted by Adam Simon  |  No comments

বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করা কি ইসলামে অবৈধ???? 

সূরা মায়েদাহর 51 নাম্বার আয়াত দেখিয়ে নাস্তিক এবং ইসলাম বিদ্বেষীরা সব সময় বলে কোরআনে নাকি বিধর্মীদের সাথে ভাল আচরন ও বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছে এবং তাদের বিশ্রি ভাষায় গালাগালি করতে নির্দেশ দিয়েছে ! আসলেই কি তাই????
সম্পূর্ন মিথ্যা অপবাদ এটা ৷ 

সূরা মায়েদাহর 51 নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহন না করার জন্য
51] ۞ يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا لا تَتَّخِذُوا اليَهودَ وَالنَّصٰرىٰ أَولِياءَ ۘ بَعضُهُم أَولِياءُ بَعضٍ ۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِنكُم فَإِنَّهُ مِنهُم ۗ إِنَّ اللَّهَ لا يَهدِى القَومَ الظّٰلِمينَ
[51] হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
এবং 57 নাম্বার আয়াতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কোন কোন লোকের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না ৷
[57] يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا لا تَتَّخِذُوا الَّذينَ اتَّخَذوا دينَكُم هُزُوًا وَلَعِبًا مِنَ الَّذينَ أوتُوا الكِتٰبَ مِن قَبلِكُم وَالكُفّارَ أَولِياءَ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِن كُنتُم مُؤمِنينَ
[57] হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও।( সূরা মায়েদাহ) 

দেখুন, যারা ধর্মকে উপহাস করে এবং খেলা মনে করে তাদের সাথে বন্ধুত্ব না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে! এখন আমার ধর্মকে যে উপহাস করে তাকে কি আমি বন্ধু বানাব??? আপনাকে, আপনার মা,বাবা, পরিবারকে নিয়ে যদি আমি সবসময় উপহাস করি তবে কি আপনি আমাকে বন্ধু বানাবেন?? পৃথিবীর এমন কোন ব্যাক্তি কি আছে যে তার উপহাস কারীর সাথে বন্ধুত্ব করে???

Answered By
Chayan Chowdhury

08:45 Share:
একটা মিথ্যাচারের জবাব।
অভিযোগ সূরা আম্বিয়ার ৯৮ আয়াতে আল্লাহ্‌ কাফেরদের উদ্যেশ্যে বলেন "তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের পুজা কর, সেগুলো দোযখের ইন্ধন। তোমরাই তাতে প্রবেশ করবে।"
এই আয়াতের প্রেক্ষাপটে ঈসা (আ) জাহান্নামি হবে(নাউযুবিল্লাহ্)।যুক্তি হিসাবে দেখানো যায় আরবের নাসারারা (খ্রীষ্টানরা) আল্লাহকে বাদ দিয়ে ঈসা (আ) এর পুজা করতো। আল্লাহ্ বলেছেন কাফেরেরা এবং তারা যাদের ইবাদাত করতো তারাও জাহান্নামে জাবে।
জবাব : আসলে ইসলাম বিদ্বেষীরা কোরান সুন্নার সঠিক জ্ঞান না রাখার কারনেই ইসলাম বিদ্বেষী হয়।
এই আয়াত মূলত নাযিল হয়েছে কাফেরদের উদ্দ্যেশ্যে যারা আল্লাহর পরিবর্তে বিভিন্ন দেব দেবীর ইবদাত করতো তাদের জন্য।
এবেপারে প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর আগেই নবী( সা) সমাধান দিয়ে গেছেন।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,'যখন এ আয়াত নাযিল হয় যে,"তোমরা আল্লাহ্‌ ছাড়া যাদের পূজা করছ তারা এবং তোমরা জাহান্নামের ইন্ধন হবে" তখন কাফেরদের কাছে ব্যাপারটি বেশ গুরুতর ও আপত্তিকর মনে হয়। তারা আহলে কিতাবি আলেম ইবনুয যাবারির কাছে এসে এই ঘটনা জানায়।সে বলে, আমি সেখানে থাকলে এর সমুচিত জবাব দিতাম। তারা জিজ্ঞেস করল কি বলতেন আপনি? সে বলল, নাসারারা ঈসা (আঃ) এর পূজা করে,ইহুদিরা উযায়ের (আঃ) এর পূজা করে, তবে কি তারা উভয়েও জাহান্নামে জ্বলবে(নাউজুবিল্লাহ্)? কুরাইশদের কাছে এ কথা বেশ মনপূত হয়।তাই তারা রাসূল (সঃ) এর কাছে এসে এ বিষয়ে বিতন্ডা শুরু করে দেয়।
তখন রছুল (স) জাবাবে বলেন। "এমন প্রত্যেক ব্যক্তি যে নিজে একথা পছন্দ করে যে, আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার বন্দেগী করা হোক সে তাদেরই সাথে মানে কাফেরদের সাথে জাহান্নামে যাবে। আর এই বযুর্গরা( ঈশা (আ),উজায়ের (আ)) তাদের নিজের ইবাদাত করাননি। কাফেরেরা মূলত তাদের নয় বরং শয়তানদের ইবাদাত করছে, শয়তানই তাদেরকে তাদের ইবাদাতের পন্থা হিসাবে বাতলিয়ে দিয়েছে"। রছুল (সা) এর জবাবের সাথে সাথে আল্লাহ্‌ এই সূরার ১০১ নং আয়াত নাযিল করেন যেখানে আল্লাহ্ বলেন,
আল-আম্বিয়া ২১:১০১যাদের জন্য প্রথম থেকেই আমার পক্ষ থেকে কল্যাণ নির্ধারিত হয়েছে তারা এই জাহান্নামে জাবেনা।
এ থেকে পরিষ্কার জানা যায়, যারা দুনিয়ায় মানুষকে আল্লাহর বন্দেগী করার শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং লোকেরা তাদেরকেই উপাস্যে পরিণত করে অথবা যারা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ বেখবর যে, দুনিয়ায় তাদের বন্দেগী ও পূজা করা হচ্ছে এবং এ কর্মে তাদের ইচ্ছা ও আকাংখার কোন দখল নেই, তাদের জাহান্নামে যাবার কোন কারণ নেই। কারণ, তারা এ শিরকের জন্য দায়ী নয়। তবে যারা নিজেরাই উপাস্য ও পূজনীয় হবার চেষ্টা করে এবং মানুষের এ শিরকে যাদের সত্যি সত্যিই দখল আছে তারা সবাই নিজেদের পূজারী ও উপাসকদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
এবার দেখবো খ্রীষ্টানদের ঈসা (আ) কে ইবাদাতের জন্য ঈসা (আ) দায়ী নয়। কোরানে খ্রীষ্টানদের ইবাদাতের বিপক্ষে ঈসা (আ) এর সাক্ষ।
আল-মা’ইদাহ ৫:১ِ যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত।
এবার দেখবো ঈসা(আ) আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণ প্রাপ্ত ছিলেন কিনা।
আল-আন‘আম ৬:৮৫: আর ও যাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ঈসা এবং ইলিয়াসকে। তারা সবাই পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আলি ‘ইমরান ৩:৪৫যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-মারইয়াম-তনয় ঈসা, দুনিয়া ও আখেরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভূক্ত।
উপরের আলোচনা থেকে প্রমানিত হয় যে ঈসা (আ) ছিলেন এক জন নবী ও রছুল।এবং তিনি ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যান প্রাপ্তদের একজন।এবং সূরা আম্বিয়ার ৯৮নং আয়াতের হুকুমের সাথে ন্যাক লোকদের কোনো সম্পর্ক নাই।
বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।" (আল-কোরআন ১৭:৮১

বিস্তারিত জানতে দেখুন।
তাফসিরে ইবনে কাসীর: খন্ড:১৪-৩৯৫ পৃষ্ঠা থেকে ৪০০ পৃষ্ঠা।
তাফছিরে মাআারেফুল কোরআন: খন্ড:৬- ২২৫ পৃষ্ঠা থেকে ২২৭ পৃষ্ঠা।
তফছিরে তাফহীমুল কোরন: সূরা নং ২১, আয়াত নং ৯৮, টিকা নং ৯৫.
তাফছিরে আহসানুল বাইয়ান:সূরা নং ২১, আয়াত নং৯৮, টিকা নং ১০৩.

Answered By Shakil Khan

কোরআন অনুযায়ী ঈসা(আঃ) জাহান্নামী।কারন কোরআন বলে আল্লাহর পরিবর্তে যাদের উপাসনা কর তারা জাহান্নামী।

Posted by Adam Simon  |  No comments

একটা মিথ্যাচারের জবাব।
অভিযোগ সূরা আম্বিয়ার ৯৮ আয়াতে আল্লাহ্‌ কাফেরদের উদ্যেশ্যে বলেন "তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের পুজা কর, সেগুলো দোযখের ইন্ধন। তোমরাই তাতে প্রবেশ করবে।"
এই আয়াতের প্রেক্ষাপটে ঈসা (আ) জাহান্নামি হবে(নাউযুবিল্লাহ্)।যুক্তি হিসাবে দেখানো যায় আরবের নাসারারা (খ্রীষ্টানরা) আল্লাহকে বাদ দিয়ে ঈসা (আ) এর পুজা করতো। আল্লাহ্ বলেছেন কাফেরেরা এবং তারা যাদের ইবাদাত করতো তারাও জাহান্নামে জাবে।
জবাব : আসলে ইসলাম বিদ্বেষীরা কোরান সুন্নার সঠিক জ্ঞান না রাখার কারনেই ইসলাম বিদ্বেষী হয়।
এই আয়াত মূলত নাযিল হয়েছে কাফেরদের উদ্দ্যেশ্যে যারা আল্লাহর পরিবর্তে বিভিন্ন দেব দেবীর ইবদাত করতো তাদের জন্য।
এবেপারে প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর আগেই নবী( সা) সমাধান দিয়ে গেছেন।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,'যখন এ আয়াত নাযিল হয় যে,"তোমরা আল্লাহ্‌ ছাড়া যাদের পূজা করছ তারা এবং তোমরা জাহান্নামের ইন্ধন হবে" তখন কাফেরদের কাছে ব্যাপারটি বেশ গুরুতর ও আপত্তিকর মনে হয়। তারা আহলে কিতাবি আলেম ইবনুয যাবারির কাছে এসে এই ঘটনা জানায়।সে বলে, আমি সেখানে থাকলে এর সমুচিত জবাব দিতাম। তারা জিজ্ঞেস করল কি বলতেন আপনি? সে বলল, নাসারারা ঈসা (আঃ) এর পূজা করে,ইহুদিরা উযায়ের (আঃ) এর পূজা করে, তবে কি তারা উভয়েও জাহান্নামে জ্বলবে(নাউজুবিল্লাহ্)? কুরাইশদের কাছে এ কথা বেশ মনপূত হয়।তাই তারা রাসূল (সঃ) এর কাছে এসে এ বিষয়ে বিতন্ডা শুরু করে দেয়।
তখন রছুল (স) জাবাবে বলেন। "এমন প্রত্যেক ব্যক্তি যে নিজে একথা পছন্দ করে যে, আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার বন্দেগী করা হোক সে তাদেরই সাথে মানে কাফেরদের সাথে জাহান্নামে যাবে। আর এই বযুর্গরা( ঈশা (আ),উজায়ের (আ)) তাদের নিজের ইবাদাত করাননি। কাফেরেরা মূলত তাদের নয় বরং শয়তানদের ইবাদাত করছে, শয়তানই তাদেরকে তাদের ইবাদাতের পন্থা হিসাবে বাতলিয়ে দিয়েছে"। রছুল (সা) এর জবাবের সাথে সাথে আল্লাহ্‌ এই সূরার ১০১ নং আয়াত নাযিল করেন যেখানে আল্লাহ্ বলেন,
আল-আম্বিয়া ২১:১০১যাদের জন্য প্রথম থেকেই আমার পক্ষ থেকে কল্যাণ নির্ধারিত হয়েছে তারা এই জাহান্নামে জাবেনা।
এ থেকে পরিষ্কার জানা যায়, যারা দুনিয়ায় মানুষকে আল্লাহর বন্দেগী করার শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং লোকেরা তাদেরকেই উপাস্যে পরিণত করে অথবা যারা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ বেখবর যে, দুনিয়ায় তাদের বন্দেগী ও পূজা করা হচ্ছে এবং এ কর্মে তাদের ইচ্ছা ও আকাংখার কোন দখল নেই, তাদের জাহান্নামে যাবার কোন কারণ নেই। কারণ, তারা এ শিরকের জন্য দায়ী নয়। তবে যারা নিজেরাই উপাস্য ও পূজনীয় হবার চেষ্টা করে এবং মানুষের এ শিরকে যাদের সত্যি সত্যিই দখল আছে তারা সবাই নিজেদের পূজারী ও উপাসকদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
এবার দেখবো খ্রীষ্টানদের ঈসা (আ) কে ইবাদাতের জন্য ঈসা (আ) দায়ী নয়। কোরানে খ্রীষ্টানদের ইবাদাতের বিপক্ষে ঈসা (আ) এর সাক্ষ।
আল-মা’ইদাহ ৫:১ِ যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত।
এবার দেখবো ঈসা(আ) আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণ প্রাপ্ত ছিলেন কিনা।
আল-আন‘আম ৬:৮৫: আর ও যাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ঈসা এবং ইলিয়াসকে। তারা সবাই পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আলি ‘ইমরান ৩:৪৫যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-মারইয়াম-তনয় ঈসা, দুনিয়া ও আখেরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভূক্ত।
উপরের আলোচনা থেকে প্রমানিত হয় যে ঈসা (আ) ছিলেন এক জন নবী ও রছুল।এবং তিনি ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যান প্রাপ্তদের একজন।এবং সূরা আম্বিয়ার ৯৮নং আয়াতের হুকুমের সাথে ন্যাক লোকদের কোনো সম্পর্ক নাই।
বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।" (আল-কোরআন ১৭:৮১

বিস্তারিত জানতে দেখুন।
তাফসিরে ইবনে কাসীর: খন্ড:১৪-৩৯৫ পৃষ্ঠা থেকে ৪০০ পৃষ্ঠা।
তাফছিরে মাআারেফুল কোরআন: খন্ড:৬- ২২৫ পৃষ্ঠা থেকে ২২৭ পৃষ্ঠা।
তফছিরে তাফহীমুল কোরন: সূরা নং ২১, আয়াত নং ৯৮, টিকা নং ৯৫.
তাফছিরে আহসানুল বাইয়ান:সূরা নং ২১, আয়াত নং৯৮, টিকা নং ১০৩.

Answered By Shakil Khan

09:47 Share:
জংগীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
★আল্লাহ্‌তায়ালা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-কে দুনিয়ার বুকে প্রেরণ করেছেন বিশ্ব জাহানের রহমতস্বরূপ (রাহমাতুল্লিল আল-আমীন)। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানব কল্যাণই হচ্ছে ইসলামের শাশ্বত সৌন্দর্য ও অন্যতম ভিত্তি।
★বেশ কিছুদিন যাবত কিছু "মুসলিম নামধারী " পাপীস্ঠ জংগীরা ইসলামের নাম ভাংগীয়ে দেশে এবং দেশের বাহিরে, জুলুম অত্যচার, ফেতনা ফাসাদ - সন্ত্রাসী সৃষ্টি করছে এবং নিরীহ মানুষকে (মুসলিম -অমুসলিম) সহ হত্যা করে চলেছে! যার সিংহ ভাগই মুসলিম!!
-মূলত এদের উদ্দেশ্য ইসলামকে ধংষ করা,
এই জংগীরা' মুসলমানদের মসজিদে হামলা করছে।
নামাজরত অবসস্হায় মুসলিম পর্যন্ত এদের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছেনা।
এমনকি কিছুদিন আগে - "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম" এর
রওজা মুবারকের সামনেও তথা- মদিনা শরীফও বোমা হামলা চালিয়েছে।
মুসলিমদের সবচেয়ে সম্মানিত -পবিত্র 'ক্বাবাগৃহে' বোমা হামলা করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।
এসব কর্মকাণ্ড থেকে স্পষ্টয় বুঝা যায় এদের উদ্দেশ্য কি এবং এরা কারা।
★জংগীরা এহেন ঘৃনীত মূলক কাজ করে-
যার ছিটে ফোটাও ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত নাই।
তারা নিজেকে হত্যা করে এবং নীরীহ মানুষকে হত্যা করে।
ইসলামে আত্বহত্যা করা জঘন্য অপরাধ, এ প্রসংগে আয়াত-
আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যইআমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো, আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।'{সূরা আন-নিসা, আয়াত : ২৯-৩০}
★নিরিহ মানুষকে হত্যা -দাংগা হাংগামা সৃষ্টি করা নিষিদ্ধ।
-যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল’। {সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৩২}
-হাদিসে এসেছে..
‘কবীরা গুনাহগুলোর মধ্যে সবচে বড় গুনাহ হলো আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা কথা বলা।’ (বুখারী : ৬৮৭১; মুসলিম : ৮৮)
- মুমিন তার দীনের ব্যাপারে সর্বদা অবকাশের মধ্যেই থাকে যাবৎ না সে নিষিদ্ধ রক্তপাত ঘটায়।’ [বুখারী : ৬৮৬২]
"অর্থাৎ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করলে, সে আর মুমিন থাকেনা"
বিদ্রঃ যারা অপরাধী' তাদেরকে রাস্ট্রের আইন শাস্তি দিবে, কোন ব্যক্তির হাতে এই ক্ষমতা ইসলাম দেয়নি।
★ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান নেই: ফিতনা-সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বিশৃঙ্খলা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌তায়ালা বলেন, ‘ফিতনা বা সন্ত্রাস হত্যার চেয়েও ভয়াবহ’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৯১)।
- যারা পৃথিবীতে দাঙ্গা, অশান্তি, জনমনে ভীতি, আতঙ্ক ও বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে, তাদের সম্পর্কে ইসলামের স্পষ্ট নির্দেশ হচ্ছে, ‘যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং আল্লাহর জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তাদের জন্য নির্দিষ্ট শাস্তি হচ্ছে, তাদের হত্যা করা হবে কিংবা তাদের শূলবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত-পা কেটে ফেলা হবে কিংবা দেশ থেকে তাদের নির্বাসিত করা হবে, এ অপমানজনক শাস্তি তাদের দুনিয়ার জীবনের জন্য, তাছাড়া পরকালে তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ আজাব।’ (সূরা মায়িদা : ৩৩)।
-যে মুসলিম কর্তৃক নিরাপত্তা প্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ তার ঘ্রাণ পাওয়া যায় চল্লিশ বছরের পথের দূরত্ব থেকে’। [বুখারী : ৩১৬৬]
- সাবধান! যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, তার ক্ষমতার বাইরে কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব।’ [আবূ দাঊদ : ৩০৫২]
কাজেই জংগীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
★সম্প্রতি আমাদের ১লক্ষ আলেম লিখিত আকারে ঘোষনা -প্রতিবাদ করেছেন যে কথিত ইসলামি নাম ধারী জংগীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
★মূলত পৃথিবীর নানা দেশে যুগে যুগে মানুষ ইসলামের এই সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে -নিচ্ছে বিশেষ করে ইউরোপসহ পাশ্চাত্য বিশ্বে মুসলমানদের সংস্পর্শে এসে এবং ইসলামের দাওয়াতের ফলে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ইসলাম বিদ্বেষীরা রীতিমতো আতঙ্কিত। সমিক্ষা বলছে ২০৫০ সালে ইসলাম হবে সবচেয়ে বড় ধর্ম! তাই-
ইসলামের দাওয়াতের পথ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র: ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্বের মানুষকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী হওয়ার গতিকে রুদ্ধ করার জন্য ইসলাম বিদ্বেষীরা নানামুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও ষড়যন্ত্র করছে।
এবং ইসলামের অপব্যাখ্যা করে ব্রেন ওয়াস করছে-
যেমন -Center For American Progress রিপোর্ট মতে আমেরিকায় অনেকগুলো সংগঠন মিলে গত দশ বছরে প্রায় ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যায় করে মুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষী কর্ম কান্ডের জন্য- এদের মূল কাজ হলো ইসলামের অপব্যাখ্যায়া-মিশগাইড তৈরী করা।
https://www.americanprogress.org/issues/religion/reports/2011/08/26/10165/fear-inc/
-তাছারা আইএস নামের জংগী সংগঠন' ইহুদিদের সৃষ্টি, তা ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসী জেনে গেছে।
এবং সম্প্রতি তা আরেক বার প্রমানিত হয়েছে..
কয়েকদিন আগে ইসারাইলে আইএস বাহেনি সামথিং হামলা করেছিল, পরবর্তিতে আইএস তাদের কাছে ক্ষমা প্রাথনা করেছে!! এবং বলেছে ভুলে হামলা করেছে।
চিন্তা করুন-আইএস আজ পর্যন্ত কারো কাছে খমা চেয়েছে? কত নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করল ক্ষমা চায় নি' কিন্তু ইসরাইলেরর কাছে ক্ষমা চেয়েছে। সুতরাং এ থেকে আবার প্রমানিত হলো আইএস কোন মুসলিন সংগঠন নয়।
http://www.bd-pratidin.com/international-news/2017/04/27/226985
★কাজেই জংগীরা ইসলামের শত্রু ও মুসলমানদের শত্রু, তথা বিশ্বমানবতার শত্রু। এদেরকে দমন করার জন্য সকলকেই আপন আপন স্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ দায়িত্ব এককভাবে সরকার বা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ছেড়ে দিলে হবে না।
এটি দেশের সকল মানুষের সমস্যা।
কাজেই দেশের-বিশ্বের সকল নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।
এবং ইসলামের সত্য -সুন্দর সঠিক শিক্ষায় সকলকে শিক্ষিত করতে হবে, যাতে করে জংগীবাদকে সঠিক মনে করে কেউ যেন ভুল ঢুকে না পরে।
"জংগীবাদ নির্মূল হোক এবং ইসলাম সদূর হোক"
সুতরাং- যারা দাংগা -হাংগামা' জংগীকর্ম কান্ন্ড করে চলেছে তাদের আমরা ঘৃনা করি।
এবং তাদেরকে সরল পথে ফিরে আসার আহবান করছি।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সঠিক ইসলাম জানার এবং সে মোতাবেক জিবন পরিচালিত করার তৌফীক দান করুক -
এবং এহেন ফেতনা থেকে সমগ্র মুসলিম জাতিকে রক্ষা করুন- আমিন।

Answered By Saddam Hossain Pavel

কুরআন সন্ত্রাসমূলক কাজের অনুমতি দেয়।

Posted by Adam Simon  |  No comments

জংগীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
★আল্লাহ্‌তায়ালা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-কে দুনিয়ার বুকে প্রেরণ করেছেন বিশ্ব জাহানের রহমতস্বরূপ (রাহমাতুল্লিল আল-আমীন)। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানব কল্যাণই হচ্ছে ইসলামের শাশ্বত সৌন্দর্য ও অন্যতম ভিত্তি।
★বেশ কিছুদিন যাবত কিছু "মুসলিম নামধারী " পাপীস্ঠ জংগীরা ইসলামের নাম ভাংগীয়ে দেশে এবং দেশের বাহিরে, জুলুম অত্যচার, ফেতনা ফাসাদ - সন্ত্রাসী সৃষ্টি করছে এবং নিরীহ মানুষকে (মুসলিম -অমুসলিম) সহ হত্যা করে চলেছে! যার সিংহ ভাগই মুসলিম!!
-মূলত এদের উদ্দেশ্য ইসলামকে ধংষ করা,
এই জংগীরা' মুসলমানদের মসজিদে হামলা করছে।
নামাজরত অবসস্হায় মুসলিম পর্যন্ত এদের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছেনা।
এমনকি কিছুদিন আগে - "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম" এর
রওজা মুবারকের সামনেও তথা- মদিনা শরীফও বোমা হামলা চালিয়েছে।
মুসলিমদের সবচেয়ে সম্মানিত -পবিত্র 'ক্বাবাগৃহে' বোমা হামলা করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।
এসব কর্মকাণ্ড থেকে স্পষ্টয় বুঝা যায় এদের উদ্দেশ্য কি এবং এরা কারা।
★জংগীরা এহেন ঘৃনীত মূলক কাজ করে-
যার ছিটে ফোটাও ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত নাই।
তারা নিজেকে হত্যা করে এবং নীরীহ মানুষকে হত্যা করে।
ইসলামে আত্বহত্যা করা জঘন্য অপরাধ, এ প্রসংগে আয়াত-
আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যইআমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো, আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।'{সূরা আন-নিসা, আয়াত : ২৯-৩০}
★নিরিহ মানুষকে হত্যা -দাংগা হাংগামা সৃষ্টি করা নিষিদ্ধ।
-যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল’। {সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৩২}
-হাদিসে এসেছে..
‘কবীরা গুনাহগুলোর মধ্যে সবচে বড় গুনাহ হলো আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা কথা বলা।’ (বুখারী : ৬৮৭১; মুসলিম : ৮৮)
- মুমিন তার দীনের ব্যাপারে সর্বদা অবকাশের মধ্যেই থাকে যাবৎ না সে নিষিদ্ধ রক্তপাত ঘটায়।’ [বুখারী : ৬৮৬২]
"অর্থাৎ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করলে, সে আর মুমিন থাকেনা"
বিদ্রঃ যারা অপরাধী' তাদেরকে রাস্ট্রের আইন শাস্তি দিবে, কোন ব্যক্তির হাতে এই ক্ষমতা ইসলাম দেয়নি।
★ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান নেই: ফিতনা-সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বিশৃঙ্খলা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌তায়ালা বলেন, ‘ফিতনা বা সন্ত্রাস হত্যার চেয়েও ভয়াবহ’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৯১)।
- যারা পৃথিবীতে দাঙ্গা, অশান্তি, জনমনে ভীতি, আতঙ্ক ও বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে, তাদের সম্পর্কে ইসলামের স্পষ্ট নির্দেশ হচ্ছে, ‘যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং আল্লাহর জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তাদের জন্য নির্দিষ্ট শাস্তি হচ্ছে, তাদের হত্যা করা হবে কিংবা তাদের শূলবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত-পা কেটে ফেলা হবে কিংবা দেশ থেকে তাদের নির্বাসিত করা হবে, এ অপমানজনক শাস্তি তাদের দুনিয়ার জীবনের জন্য, তাছাড়া পরকালে তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ আজাব।’ (সূরা মায়িদা : ৩৩)।
-যে মুসলিম কর্তৃক নিরাপত্তা প্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ তার ঘ্রাণ পাওয়া যায় চল্লিশ বছরের পথের দূরত্ব থেকে’। [বুখারী : ৩১৬৬]
- সাবধান! যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, তার ক্ষমতার বাইরে কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব।’ [আবূ দাঊদ : ৩০৫২]
কাজেই জংগীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
★সম্প্রতি আমাদের ১লক্ষ আলেম লিখিত আকারে ঘোষনা -প্রতিবাদ করেছেন যে কথিত ইসলামি নাম ধারী জংগীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
★মূলত পৃথিবীর নানা দেশে যুগে যুগে মানুষ ইসলামের এই সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে -নিচ্ছে বিশেষ করে ইউরোপসহ পাশ্চাত্য বিশ্বে মুসলমানদের সংস্পর্শে এসে এবং ইসলামের দাওয়াতের ফলে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ইসলাম বিদ্বেষীরা রীতিমতো আতঙ্কিত। সমিক্ষা বলছে ২০৫০ সালে ইসলাম হবে সবচেয়ে বড় ধর্ম! তাই-
ইসলামের দাওয়াতের পথ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র: ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্বের মানুষকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী হওয়ার গতিকে রুদ্ধ করার জন্য ইসলাম বিদ্বেষীরা নানামুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও ষড়যন্ত্র করছে।
এবং ইসলামের অপব্যাখ্যা করে ব্রেন ওয়াস করছে-
যেমন -Center For American Progress রিপোর্ট মতে আমেরিকায় অনেকগুলো সংগঠন মিলে গত দশ বছরে প্রায় ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যায় করে মুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষী কর্ম কান্ডের জন্য- এদের মূল কাজ হলো ইসলামের অপব্যাখ্যায়া-মিশগাইড তৈরী করা।
https://www.americanprogress.org/issues/religion/reports/2011/08/26/10165/fear-inc/
-তাছারা আইএস নামের জংগী সংগঠন' ইহুদিদের সৃষ্টি, তা ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসী জেনে গেছে।
এবং সম্প্রতি তা আরেক বার প্রমানিত হয়েছে..
কয়েকদিন আগে ইসারাইলে আইএস বাহেনি সামথিং হামলা করেছিল, পরবর্তিতে আইএস তাদের কাছে ক্ষমা প্রাথনা করেছে!! এবং বলেছে ভুলে হামলা করেছে।
চিন্তা করুন-আইএস আজ পর্যন্ত কারো কাছে খমা চেয়েছে? কত নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করল ক্ষমা চায় নি' কিন্তু ইসরাইলেরর কাছে ক্ষমা চেয়েছে। সুতরাং এ থেকে আবার প্রমানিত হলো আইএস কোন মুসলিন সংগঠন নয়।
http://www.bd-pratidin.com/international-news/2017/04/27/226985
★কাজেই জংগীরা ইসলামের শত্রু ও মুসলমানদের শত্রু, তথা বিশ্বমানবতার শত্রু। এদেরকে দমন করার জন্য সকলকেই আপন আপন স্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ দায়িত্ব এককভাবে সরকার বা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ছেড়ে দিলে হবে না।
এটি দেশের সকল মানুষের সমস্যা।
কাজেই দেশের-বিশ্বের সকল নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।
এবং ইসলামের সত্য -সুন্দর সঠিক শিক্ষায় সকলকে শিক্ষিত করতে হবে, যাতে করে জংগীবাদকে সঠিক মনে করে কেউ যেন ভুল ঢুকে না পরে।
"জংগীবাদ নির্মূল হোক এবং ইসলাম সদূর হোক"
সুতরাং- যারা দাংগা -হাংগামা' জংগীকর্ম কান্ন্ড করে চলেছে তাদের আমরা ঘৃনা করি।
এবং তাদেরকে সরল পথে ফিরে আসার আহবান করছি।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সঠিক ইসলাম জানার এবং সে মোতাবেক জিবন পরিচালিত করার তৌফীক দান করুক -
এবং এহেন ফেতনা থেকে সমগ্র মুসলিম জাতিকে রক্ষা করুন- আমিন।

Answered By Saddam Hossain Pavel

09:43 Share:
প্রশ্নঃ তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে [সুরা তওবা ৯:২৯]
এই আয়াতে কী সকল ইহুদী,খৃষ্টানদের সাথে যুদ্ধ করে জিজিয়া আদায় করতে বলা হচ্ছে?? এবং জিজিয়া কী ও কেন?
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
জবাবঃ
ইসলাম হল আল্লাহর(স্রষ্টার) মনোনীত সত্য ধর্ম। এবং ক্বুরআন-হাদিস হল এর ধারক-বাহক;
ক্বুরআনের ব্যাখ্যা করা, অনেক জ্ঞানি মানুষের কাজ। বিশেষ করে যেগুলো 'আইন' হিসেবে হুকুমত এসেছে সেগুলো অনেক বাছবিচার, প্রেক্ষাপট; -'তার সাথে সম্পৃক্ত আরো অন্যান্য আয়াত, সব দিক সার্বিক বিবেচনা করে তারপর সেটা আইনের রুপদান করা হয়।
কিন্তু কিছু মূর্খবিশেষ 'অজ্ঞ ইসলাম বিদ্বেষী' আছে, যারা ক্বুরআনের একটা 'খন্ড- আয়াত' দেখিয়ে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্তে ফেলার অপচেষ্টা করে থাকে।
- তেমন'ই একটা আয়াত হল এই। ইসলামবিদ্বেষী-গন, প্রায় এই আয়াত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর অভিযোগ করে-
"তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে"। [তাওবা -০৯:২৯]
-তারা উক্ত দেখিয়ে মিথ্যাচার করে:
*উক্ত আয়াত- ইহুদি, খৃষ্টান মাত্রই, তাদেরকে হত্যা করতে বলেছে।
*পূর্বে বল প্রয়োগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করনো হয়েছিল এবং এখনো তা হুকুম করে।
* নবী (সা) জিযিয়ার নেওয়ার লোভে যুদ্ধ করেছে।
মূলত ক্বুরআন হল মানবজীবনের সংবিধান সম্বলিত এক ঐশী গ্রন্হ। মানবজীবনে প্রীতি, সুখ, ন্যায়বিচার, শান্তিময়'সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে। এবং স্রষ্টা নিজেকে পরিচয়দান করার লক্ষ্যে, তার দূতের(নবী) মাধ্যমে আমাদের মাঝে কিতাব নাজিল করেছেন।
এই কিতাবের আয়াত খন্ডে খন্ডে, প্রেক্ষাপট, অবস্হান, ইতিহাস, ভবিষ্যৎবার্তা, হুকুম, বিজ্ঞান, অলৌকিক। আকারে ক্রমে ক্রমে নাজিল হয়ে একটি 'পূর্নাংগ কুরআনের' রুপ পেয়েছে। এর শব্দ ছোট, কিন্তু ব্যাখ্যা বহুমূখি, এবং দীর্ঘ। ক্বুরআনের ব্যাখ্যা করা অনেক জ্ঞানি মানুষের কাজ। বিশেষ করে যেগুলো আইন, হুকুম, হিসেবে এসেছে, সেগুলো অনেক বাছবিচার প্রেক্ষাপট, তার সাথে সম্পৃক্ত আরো অন্যান্য আয়াত; সব দিক থেকে সার্বিক বিবেচনা করে তারপর সেটা ফায়সালা, আইনের রুপদান করা হয়।
আসুন দেখি উক্ত আয়াতের প্রকৃত ব্যাখ্যা কী।
আয়াত নাজিলের পটভূমিঃ
উক্ত আয়াত সহ আরো কিছু আয়াত, ৯ হিজরীর রজব মাসে বা তার কিছু আগে 'তাবুকের' যুদ্ধের প্রাক্কালে একটি বিশেষ অবস্হার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছিল। সে সময় নবী (সা) তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এখানে মূলত যুদ্ধের সময়কার আল্লহার তরফ থেকে, নিয়ম-নিতী মালা প্রদান করা হয়েছিল।
মূলত এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল হোদাইবিয়ার সন্ধির পর। নবী (সা) ইসলামের দাওয়াত সম্প্রসারণের উদ্দেশে একটি দল সিরিয়া সীমান্তের লাগোয়া গোত্রগুলোর মধ্য গিয়েছিল। তাদের বেশীর ভাগ ছিল খৃষ্টান এবং রোম সাম্রাজ্যের প্রভাবাধীন। এর পর তারা ১৫ জন মুসলমানকে হত্যা করে।
একই সময়ে নবী (সা) বুসরার গভর্ণর শুরাহবিল ইবনে আমরের নামেও দাওয়াত নামা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা তাকেও হত্যা করে। এ সরদারও সরাসরি রোমের কাইসারের হুকুমের আনুগত ছিল।
এসব কারনের সূত্র ধরে-ই, একপর্যায় যুদ্ধ বেধে যায় যা, 'মুতা' যুদ্ধ নামে পরিরিচিত। সেই যুদ্ধে খৃষ্টানদের বিশাল বাহিনীকে, মুসলমানদের অল্পসংখ্যক সৈনিক অলৌকিকভাবে প্রতিহত করে।
তারপরের বছর রোমের শাসক অন্যান্য গত্রদের সাথে আতাত গড়ে, মুসলিমদের-কে সমূলে নিঃশেষ করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। তখন খবর পেয়ে নবী (সা) পাল্টা যুদ্ধ (প্রতিহত) করার ঘোষনা দিয়ে দেন।
--এই ছিল উক্ত আয়াতের পটভূমি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সুরা তাওবার ওই রুকুর আয়াত গুলো নাজিল হয়। যেহেতু এটা যুদ্ধ সময়কার আয়াত তাই 'যুদ্ধ' বিষয়ক ইতিহাস থাকাটাই সাভাবিক।
[ নবী (সা) যে সত্য নবী ততকালিন ইহুদি, খৃষ্টান জানত, কারনন তওরাত,জবুরে তার আগমনি বার্তা আছে তারপরও তারা বিদ্বেষীতা পোষণ করত ]
----------------------------
জিজিয়া করঃ
জিজিয়া কি? 'জিজিয়া' হল সরকারের পক্ষ হতে আদায়কৃত ভ্যাট, ট্যাক্স, কর। জিজিয়ার শব্দগত অর্থ হল-' সামরিক কর্তব্য থেকে অব্যাহতিজনিত কর'। কারন শরীয়াহ রাস্ট্রে কোন শত্রুর আক্রমন/যুদ্ধ হলে, সকল মুসলিমদের তা প্রতিহগ করা অত্যাবশ্যকীয়। কিন্তু বিধর্মিদের জন্য তা অবশ্যকিয় নয়, আর তারা তাতে অংশগ্রহণ'ও করত না উল্টো তারা সুজোগে থাকত যুদ্ধ বাধলেই শত্রুদের সাথে আতাত গড়ত। তাই এই যুদ্ধে সৈনিক না হওয়াতে অবহ্যতি হিসেবে "জিজিয়া করর" আদায় করত। এই কর দেওয়ার ফলে তারাও সেই সুজোগ-সুবিধা পেত যা মুসলিমরা পেত। জিজিয়া কর থেকে নারী,শিশু, বৃদ্ধ, এবং ভিক্ষুকদের অব্যহতি দেওয়া হতো। এই কর ছিল শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীতে যোগদান সক্ষম এবং আর্থিকভাবে সচ্ছল পুরুষদের জন্য।
- মুসলমানদের উপরও এক ধরনের বাধ্যতামূলক কর ছিল যা, 'যাকাত' নামে পড়িচিত। উল্লেখ থাকে এই 'কর' নেওয়ার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের বাড়তি সুজোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল;
যেমন যাকাত নারী-পুরুষ, শিশু, সর্ব পর্যায় লোকদের নিকট হতে গ্রহন করা হয়, কিন্তু 'জিজিয়া' এরুপ নয়। ।শুধু তাই নয় মুসলিমদের ফেতরা, ফসলের ওশর, সদ্বকাহ ইত্যাদি দিতে হতত, যা তাদের দিতে হতোনা।
তাছারা জিজিয়া ছিল খুবই সামান্য একটা কর।
আরেকটি বিষয় হল,
যুদ্ধ শেষে যারা পরাজিত হয়, তারা শত্রু হিসেবেই পড়িচিত পায়।
কারন-' ইতিপূর্বে তারা অন্যায় ভাবে জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে'।
তাই রাস্ট্রের জনগন তাদের বিষয়ে শত্রুতায়'ই পুষবে, এটাই মানুষ্ব-মনের সাভাবিক পক্রিয়া। তারাউপর তারা যদি আবার সে দেশেই তাদের সাথেই থাকে, তখন বিষয়টা আরো জটিল,ভয়ানক। এমতাবস্থায় জনগের চাপা ক্ষোবে, তারা বিপদে পরতে পারে; বিধায়, এজন্য, অবস্হা, পরিস্হিতিতে শৃংখলা বজায় রাখতে 'পরাজিতদের' জীবন রক্ষার্থে নাম মাত্র 'জিজিয়ার' মাধ্যমে তাদের-কে, সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদান করা হত।
শেষকথাঃ
-মূলত 'জিজিয়া কর' সাধারন রাস্ট্রনিতীর অন্তরভূক্ত। সকল দেশেই ভ্যাট,ট্যাক্স, কর আদায় করা অবশ্যম্ভাবী। যদি কেহো তা, আদায় না করে; তাহলে তার বিরদ্ধে সরকারী ভাবে শাস্তির ব্যাবস্হা করা হয়। এসব নিয়ম-কানুন, অপরাধ; অত্যাচার নয়, বরং একটি রাস্ট্রচালিকার সু-কার্যকরি নিয়ম, নিতীমালা।
ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বে, আরবে কোন সু-সংগঠিত রাস্ট্রব্যাবস্হা ছিলনা। তারা ছিল বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রতিটা গত্রে যুদ্ধ, অন্যায়, অত্যাচার, জুুলুম নিত্যাসংগি ছিল। পূর্ব থেকে চলে আশা এসব বিপর্যয় অবস্হাকে, সু-সংঘবদ্ধ করে একটি রাস্টব্যাবস্হার মাধ্যমে আয়ত্তে এনে, শান্তিময় একটি রাস্ট্র ব্যবস্হা বাস্তবায়ন করেছিলেন মানবতার দূত নবী (সা); যা ইতিহাসবিদৃত। রাস্ট্র কায়েমের পর যে যার মত ধর্ম পালন করত কাওকে বাধা প্রদান করা হত না। এবং কাউকেই বলপ্রয়োগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা হয়নি। যার জলন্ত প্রমাণ সৌদীতে আজও প্রচুর অমুসলিম বসবাস করছে
কুরআনে নির্দেশ এসেছেঃ
"ধর্ম মানতে কোনো ধরনের জোর জবরদস্তি নেই। সঠিক পথ ভুল পথ থেকে পরিষ্কারভাবে আলাদা হয়ে গেছে"। (বাকারা: ২৫৬)

Answered By Saddam Hossain Pavel

সূরা তাওবা আয়াত ২৯ এ মুসলমানদের বলেছে বিধর্মিদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের কাছ থেকে জিজিয়া নিতে বলেছে।এই হচ্ছে শান্তির ধর্ম।

Posted by Adam Simon  |  No comments

প্রশ্নঃ তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে [সুরা তওবা ৯:২৯]
এই আয়াতে কী সকল ইহুদী,খৃষ্টানদের সাথে যুদ্ধ করে জিজিয়া আদায় করতে বলা হচ্ছে?? এবং জিজিয়া কী ও কেন?
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
জবাবঃ
ইসলাম হল আল্লাহর(স্রষ্টার) মনোনীত সত্য ধর্ম। এবং ক্বুরআন-হাদিস হল এর ধারক-বাহক;
ক্বুরআনের ব্যাখ্যা করা, অনেক জ্ঞানি মানুষের কাজ। বিশেষ করে যেগুলো 'আইন' হিসেবে হুকুমত এসেছে সেগুলো অনেক বাছবিচার, প্রেক্ষাপট; -'তার সাথে সম্পৃক্ত আরো অন্যান্য আয়াত, সব দিক সার্বিক বিবেচনা করে তারপর সেটা আইনের রুপদান করা হয়।
কিন্তু কিছু মূর্খবিশেষ 'অজ্ঞ ইসলাম বিদ্বেষী' আছে, যারা ক্বুরআনের একটা 'খন্ড- আয়াত' দেখিয়ে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্তে ফেলার অপচেষ্টা করে থাকে।
- তেমন'ই একটা আয়াত হল এই। ইসলামবিদ্বেষী-গন, প্রায় এই আয়াত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর অভিযোগ করে-
"তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে"। [তাওবা -০৯:২৯]
-তারা উক্ত দেখিয়ে মিথ্যাচার করে:
*উক্ত আয়াত- ইহুদি, খৃষ্টান মাত্রই, তাদেরকে হত্যা করতে বলেছে।
*পূর্বে বল প্রয়োগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করনো হয়েছিল এবং এখনো তা হুকুম করে।
* নবী (সা) জিযিয়ার নেওয়ার লোভে যুদ্ধ করেছে।
মূলত ক্বুরআন হল মানবজীবনের সংবিধান সম্বলিত এক ঐশী গ্রন্হ। মানবজীবনে প্রীতি, সুখ, ন্যায়বিচার, শান্তিময়'সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে। এবং স্রষ্টা নিজেকে পরিচয়দান করার লক্ষ্যে, তার দূতের(নবী) মাধ্যমে আমাদের মাঝে কিতাব নাজিল করেছেন।
এই কিতাবের আয়াত খন্ডে খন্ডে, প্রেক্ষাপট, অবস্হান, ইতিহাস, ভবিষ্যৎবার্তা, হুকুম, বিজ্ঞান, অলৌকিক। আকারে ক্রমে ক্রমে নাজিল হয়ে একটি 'পূর্নাংগ কুরআনের' রুপ পেয়েছে। এর শব্দ ছোট, কিন্তু ব্যাখ্যা বহুমূখি, এবং দীর্ঘ। ক্বুরআনের ব্যাখ্যা করা অনেক জ্ঞানি মানুষের কাজ। বিশেষ করে যেগুলো আইন, হুকুম, হিসেবে এসেছে, সেগুলো অনেক বাছবিচার প্রেক্ষাপট, তার সাথে সম্পৃক্ত আরো অন্যান্য আয়াত; সব দিক থেকে সার্বিক বিবেচনা করে তারপর সেটা ফায়সালা, আইনের রুপদান করা হয়।
আসুন দেখি উক্ত আয়াতের প্রকৃত ব্যাখ্যা কী।
আয়াত নাজিলের পটভূমিঃ
উক্ত আয়াত সহ আরো কিছু আয়াত, ৯ হিজরীর রজব মাসে বা তার কিছু আগে 'তাবুকের' যুদ্ধের প্রাক্কালে একটি বিশেষ অবস্হার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছিল। সে সময় নবী (সা) তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এখানে মূলত যুদ্ধের সময়কার আল্লহার তরফ থেকে, নিয়ম-নিতী মালা প্রদান করা হয়েছিল।
মূলত এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল হোদাইবিয়ার সন্ধির পর। নবী (সা) ইসলামের দাওয়াত সম্প্রসারণের উদ্দেশে একটি দল সিরিয়া সীমান্তের লাগোয়া গোত্রগুলোর মধ্য গিয়েছিল। তাদের বেশীর ভাগ ছিল খৃষ্টান এবং রোম সাম্রাজ্যের প্রভাবাধীন। এর পর তারা ১৫ জন মুসলমানকে হত্যা করে।
একই সময়ে নবী (সা) বুসরার গভর্ণর শুরাহবিল ইবনে আমরের নামেও দাওয়াত নামা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা তাকেও হত্যা করে। এ সরদারও সরাসরি রোমের কাইসারের হুকুমের আনুগত ছিল।
এসব কারনের সূত্র ধরে-ই, একপর্যায় যুদ্ধ বেধে যায় যা, 'মুতা' যুদ্ধ নামে পরিরিচিত। সেই যুদ্ধে খৃষ্টানদের বিশাল বাহিনীকে, মুসলমানদের অল্পসংখ্যক সৈনিক অলৌকিকভাবে প্রতিহত করে।
তারপরের বছর রোমের শাসক অন্যান্য গত্রদের সাথে আতাত গড়ে, মুসলিমদের-কে সমূলে নিঃশেষ করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। তখন খবর পেয়ে নবী (সা) পাল্টা যুদ্ধ (প্রতিহত) করার ঘোষনা দিয়ে দেন।
--এই ছিল উক্ত আয়াতের পটভূমি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সুরা তাওবার ওই রুকুর আয়াত গুলো নাজিল হয়। যেহেতু এটা যুদ্ধ সময়কার আয়াত তাই 'যুদ্ধ' বিষয়ক ইতিহাস থাকাটাই সাভাবিক।
[ নবী (সা) যে সত্য নবী ততকালিন ইহুদি, খৃষ্টান জানত, কারনন তওরাত,জবুরে তার আগমনি বার্তা আছে তারপরও তারা বিদ্বেষীতা পোষণ করত ]
----------------------------
জিজিয়া করঃ
জিজিয়া কি? 'জিজিয়া' হল সরকারের পক্ষ হতে আদায়কৃত ভ্যাট, ট্যাক্স, কর। জিজিয়ার শব্দগত অর্থ হল-' সামরিক কর্তব্য থেকে অব্যাহতিজনিত কর'। কারন শরীয়াহ রাস্ট্রে কোন শত্রুর আক্রমন/যুদ্ধ হলে, সকল মুসলিমদের তা প্রতিহগ করা অত্যাবশ্যকীয়। কিন্তু বিধর্মিদের জন্য তা অবশ্যকিয় নয়, আর তারা তাতে অংশগ্রহণ'ও করত না উল্টো তারা সুজোগে থাকত যুদ্ধ বাধলেই শত্রুদের সাথে আতাত গড়ত। তাই এই যুদ্ধে সৈনিক না হওয়াতে অবহ্যতি হিসেবে "জিজিয়া করর" আদায় করত। এই কর দেওয়ার ফলে তারাও সেই সুজোগ-সুবিধা পেত যা মুসলিমরা পেত। জিজিয়া কর থেকে নারী,শিশু, বৃদ্ধ, এবং ভিক্ষুকদের অব্যহতি দেওয়া হতো। এই কর ছিল শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীতে যোগদান সক্ষম এবং আর্থিকভাবে সচ্ছল পুরুষদের জন্য।
- মুসলমানদের উপরও এক ধরনের বাধ্যতামূলক কর ছিল যা, 'যাকাত' নামে পড়িচিত। উল্লেখ থাকে এই 'কর' নেওয়ার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের বাড়তি সুজোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল;
যেমন যাকাত নারী-পুরুষ, শিশু, সর্ব পর্যায় লোকদের নিকট হতে গ্রহন করা হয়, কিন্তু 'জিজিয়া' এরুপ নয়। ।শুধু তাই নয় মুসলিমদের ফেতরা, ফসলের ওশর, সদ্বকাহ ইত্যাদি দিতে হতত, যা তাদের দিতে হতোনা।
তাছারা জিজিয়া ছিল খুবই সামান্য একটা কর।
আরেকটি বিষয় হল,
যুদ্ধ শেষে যারা পরাজিত হয়, তারা শত্রু হিসেবেই পড়িচিত পায়।
কারন-' ইতিপূর্বে তারা অন্যায় ভাবে জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে'।
তাই রাস্ট্রের জনগন তাদের বিষয়ে শত্রুতায়'ই পুষবে, এটাই মানুষ্ব-মনের সাভাবিক পক্রিয়া। তারাউপর তারা যদি আবার সে দেশেই তাদের সাথেই থাকে, তখন বিষয়টা আরো জটিল,ভয়ানক। এমতাবস্থায় জনগের চাপা ক্ষোবে, তারা বিপদে পরতে পারে; বিধায়, এজন্য, অবস্হা, পরিস্হিতিতে শৃংখলা বজায় রাখতে 'পরাজিতদের' জীবন রক্ষার্থে নাম মাত্র 'জিজিয়ার' মাধ্যমে তাদের-কে, সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদান করা হত।
শেষকথাঃ
-মূলত 'জিজিয়া কর' সাধারন রাস্ট্রনিতীর অন্তরভূক্ত। সকল দেশেই ভ্যাট,ট্যাক্স, কর আদায় করা অবশ্যম্ভাবী। যদি কেহো তা, আদায় না করে; তাহলে তার বিরদ্ধে সরকারী ভাবে শাস্তির ব্যাবস্হা করা হয়। এসব নিয়ম-কানুন, অপরাধ; অত্যাচার নয়, বরং একটি রাস্ট্রচালিকার সু-কার্যকরি নিয়ম, নিতীমালা।
ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বে, আরবে কোন সু-সংগঠিত রাস্ট্রব্যাবস্হা ছিলনা। তারা ছিল বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রতিটা গত্রে যুদ্ধ, অন্যায়, অত্যাচার, জুুলুম নিত্যাসংগি ছিল। পূর্ব থেকে চলে আশা এসব বিপর্যয় অবস্হাকে, সু-সংঘবদ্ধ করে একটি রাস্টব্যাবস্হার মাধ্যমে আয়ত্তে এনে, শান্তিময় একটি রাস্ট্র ব্যবস্হা বাস্তবায়ন করেছিলেন মানবতার দূত নবী (সা); যা ইতিহাসবিদৃত। রাস্ট্র কায়েমের পর যে যার মত ধর্ম পালন করত কাওকে বাধা প্রদান করা হত না। এবং কাউকেই বলপ্রয়োগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা হয়নি। যার জলন্ত প্রমাণ সৌদীতে আজও প্রচুর অমুসলিম বসবাস করছে
কুরআনে নির্দেশ এসেছেঃ
"ধর্ম মানতে কোনো ধরনের জোর জবরদস্তি নেই। সঠিক পথ ভুল পথ থেকে পরিষ্কারভাবে আলাদা হয়ে গেছে"। (বাকারা: ২৫৬)

Answered By Saddam Hossain Pavel

09:42 Share:
হাদিসের সৌন্দর্য দেখুনঃ
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে একটি হাদিস এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন, "যখন সূর্য গোলক উদিত হয় তখন সালাত ত্যাগ করবে, যে পর্যন্ত সূর্য বেশ স্পষ্ট হয়ে না উঠবে। ঠিক এভাবে আবার যখন সূর্য গোলক ডুবতে থাকে তখন সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকবে, যে পর্যন্ত সূর্য সম্পূর্ণভাবে ডুবে না যায়। আর সূর্য উঠার ও অস্ত যাওয়ার সময় সালাতের ইচ্ছা করবে না। কারন সূর্য শয়তানের দু' সিং এর মধ্যখান দিয়ে উদয় হয়। (সহীহঃ বুখারি ৫৮৫, ৩২৮৩, মুসলিম ৮২৮)
এ হাদীসে শয়তানের দুই সিং এর মর্মার্থ নিয়ে আলিমদের মাঝে মতের অমিল রয়েছে। সূর্য গোলকের উপরিভাগকে হাজিবুস শামস বলা হয়। অনেকের মতে সূর্যোদয়ের সময় এটা প্রথম প্রকাশ পায় তাই তাকে মানুষের ভ্রুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, সূর্যোদয়ের সময় শয়তান তার বরাবর দাড়িয়ে থাকে। সূর্য পূজারিরা সূর্যোদয়কালে যখন সূর্যকে সাজদাহ (সিজদা/ সেজদা) করে তখন ঐ সাজদাহ শয়তানের জন্যই হয়ে থাকে। যাতে মুমিনদের ইবাদত সূর্য পূজারিদের সাথে সাদৃশ্য না হয়, এজন্য উক্ত সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যেহেতু আমরা জীন শয়তান দেখতে পাই না, তাই আমরা সেগুলো খালি চোখে যাচাই করতে পারি না। কি অর্থে বলা হয়েছে সেটা আল্লাহ এবং তার রাসুল ই সবচেয়ে ভাল জানেন। ব্যাপারটি রূপক অর্থে ব্যাবহার করা হতে পারে। তবে অন্য একটি বিষয়ের সাথে ব্যাপারটি খুব মিলে গেছে। আর তা হল আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
শয়তান ও তার দল সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
[58,19] اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَأَنْسَاهُمْ ذِكْرَ اللَّهِ ۚ أُولَٰئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ ۚ أَلَا إِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُونَ
শয়তান তাদেরকে বশীভূত করে নিয়েছে, অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভূলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।
জীন শয়তানের পাশাপাশি মানব শয়তানের এর কথা বলা আছে। অর্থাৎ আমরা জীন শয়তান দেখতে না পেলেও মানব শয়তান এর দল সহজেই চিহ্নিত করতে পারি। একটু খোলা মন নিয়ে চিন্তা করুন তো শয়তানের দল কে বা কারা হতে পারে, যাদের আল্লাহর স্মরণ ভূলে গিয়েছে পুরোপুরি? আরেকটু সহজ করে দেই তারা নিরীহ মানুষ মেরে সম্পদ লুট করতে পছন্দ করে, তবে সন্ত্রাসী দেশ নামে পরিচিত সোমালিয়া আক্রমণ করে না। নিরপেক্ষ ভাবে জবাব আসতে পারে আমেরিকা ও রাশিয়া। কেনোনা ওদের প্রত্যেকের হাতে পৃথিবী পুরোপুরি ধংস করার মরনাস্ত্র রয়েছে। তো সে হিসেবে তাদেরকে যদি উক্ত আয়াতের শয়তানের দল মনে করা হয় তবে বলা যায় যে ব্যাপারটি খুব সহজে মিলে যাবে।
পৃথিবীর মানচিত্র নিন, আর দেখুন দেশদুটির একটি কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শিং এর মত আকার আছে। আর এই দুটি শিং এর ঠিক মাঝবরাবর কল্পনা করা হয় আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে। আমরা জানি সূর্য আসলে পৃথিবীতে কখনই উদিত হওয়া অর্থ বলতে যা বোঝায় সেভাবে উদিত হয় না। একপ্রান্তে আলো তো অন্য প্রান্তে আধার। কিন্তু আমরা তো প্রতিদিন সূর্যের উদয় দেখতে পাই। তো সেই হিসেবে কেউ যদি বলে সূর্য পৃথিবীর অমুক জায়গায় প্রথম উদিত হয়, তবে সেই কথাটি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভুল। কিন্তু তারপরও জাপানকে এখনও সূর্য উদয়ের দেশ বলা হয়ে থাকে।
অতএব এটা থেকে বলা যায় যে, পৃথিবীতে সূর্য উদয় বলতে কেউ যদি তারিখ রেখাকে নির্দিষ্ট করতে চান তবে যেহেতু দেশের নাম পরিবর্তন হতে পারে, তাই মানচিত্রের শিং এর মত আকারের মধ্যবর্তী স্থানের কথা বলে যাওয়া সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত মনে করি।

Answered By Didar

নবীজি বলেন,"তোমরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় নামায আদায় করোনা,কারণ সুর্য শয়তানের মাথার দুইপ্রান্তের মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়(বুখারী৪:৫৪:৪৯৪)

Posted by Adam Simon  |  No comments

হাদিসের সৌন্দর্য দেখুনঃ
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে একটি হাদিস এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন, "যখন সূর্য গোলক উদিত হয় তখন সালাত ত্যাগ করবে, যে পর্যন্ত সূর্য বেশ স্পষ্ট হয়ে না উঠবে। ঠিক এভাবে আবার যখন সূর্য গোলক ডুবতে থাকে তখন সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকবে, যে পর্যন্ত সূর্য সম্পূর্ণভাবে ডুবে না যায়। আর সূর্য উঠার ও অস্ত যাওয়ার সময় সালাতের ইচ্ছা করবে না। কারন সূর্য শয়তানের দু' সিং এর মধ্যখান দিয়ে উদয় হয়। (সহীহঃ বুখারি ৫৮৫, ৩২৮৩, মুসলিম ৮২৮)
এ হাদীসে শয়তানের দুই সিং এর মর্মার্থ নিয়ে আলিমদের মাঝে মতের অমিল রয়েছে। সূর্য গোলকের উপরিভাগকে হাজিবুস শামস বলা হয়। অনেকের মতে সূর্যোদয়ের সময় এটা প্রথম প্রকাশ পায় তাই তাকে মানুষের ভ্রুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, সূর্যোদয়ের সময় শয়তান তার বরাবর দাড়িয়ে থাকে। সূর্য পূজারিরা সূর্যোদয়কালে যখন সূর্যকে সাজদাহ (সিজদা/ সেজদা) করে তখন ঐ সাজদাহ শয়তানের জন্যই হয়ে থাকে। যাতে মুমিনদের ইবাদত সূর্য পূজারিদের সাথে সাদৃশ্য না হয়, এজন্য উক্ত সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যেহেতু আমরা জীন শয়তান দেখতে পাই না, তাই আমরা সেগুলো খালি চোখে যাচাই করতে পারি না। কি অর্থে বলা হয়েছে সেটা আল্লাহ এবং তার রাসুল ই সবচেয়ে ভাল জানেন। ব্যাপারটি রূপক অর্থে ব্যাবহার করা হতে পারে। তবে অন্য একটি বিষয়ের সাথে ব্যাপারটি খুব মিলে গেছে। আর তা হল আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
শয়তান ও তার দল সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
[58,19] اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَأَنْسَاهُمْ ذِكْرَ اللَّهِ ۚ أُولَٰئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ ۚ أَلَا إِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُونَ
শয়তান তাদেরকে বশীভূত করে নিয়েছে, অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভূলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।
জীন শয়তানের পাশাপাশি মানব শয়তানের এর কথা বলা আছে। অর্থাৎ আমরা জীন শয়তান দেখতে না পেলেও মানব শয়তান এর দল সহজেই চিহ্নিত করতে পারি। একটু খোলা মন নিয়ে চিন্তা করুন তো শয়তানের দল কে বা কারা হতে পারে, যাদের আল্লাহর স্মরণ ভূলে গিয়েছে পুরোপুরি? আরেকটু সহজ করে দেই তারা নিরীহ মানুষ মেরে সম্পদ লুট করতে পছন্দ করে, তবে সন্ত্রাসী দেশ নামে পরিচিত সোমালিয়া আক্রমণ করে না। নিরপেক্ষ ভাবে জবাব আসতে পারে আমেরিকা ও রাশিয়া। কেনোনা ওদের প্রত্যেকের হাতে পৃথিবী পুরোপুরি ধংস করার মরনাস্ত্র রয়েছে। তো সে হিসেবে তাদেরকে যদি উক্ত আয়াতের শয়তানের দল মনে করা হয় তবে বলা যায় যে ব্যাপারটি খুব সহজে মিলে যাবে।
পৃথিবীর মানচিত্র নিন, আর দেখুন দেশদুটির একটি কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শিং এর মত আকার আছে। আর এই দুটি শিং এর ঠিক মাঝবরাবর কল্পনা করা হয় আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে। আমরা জানি সূর্য আসলে পৃথিবীতে কখনই উদিত হওয়া অর্থ বলতে যা বোঝায় সেভাবে উদিত হয় না। একপ্রান্তে আলো তো অন্য প্রান্তে আধার। কিন্তু আমরা তো প্রতিদিন সূর্যের উদয় দেখতে পাই। তো সেই হিসেবে কেউ যদি বলে সূর্য পৃথিবীর অমুক জায়গায় প্রথম উদিত হয়, তবে সেই কথাটি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভুল। কিন্তু তারপরও জাপানকে এখনও সূর্য উদয়ের দেশ বলা হয়ে থাকে।
অতএব এটা থেকে বলা যায় যে, পৃথিবীতে সূর্য উদয় বলতে কেউ যদি তারিখ রেখাকে নির্দিষ্ট করতে চান তবে যেহেতু দেশের নাম পরিবর্তন হতে পারে, তাই মানচিত্রের শিং এর মত আকারের মধ্যবর্তী স্থানের কথা বলে যাওয়া সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত মনে করি।

Answered By Didar

09:40 Share:

কুরআনে কেন নাস্তিক ,হিন্দু,বৌদ্ধ ধর্মের কথা উল্লেখ নেই??

জবাবঃ আপনার জ্ঞান তো এই পোস্ট দেখেই বুঝে ফেলেছি, যে আপনি কতটা অজ্ঞ। কোরআনে এ সম্পর্কে স্পষ্ট আলোচনা আছে। তবে কুরআন মুলনীতির আলোকে বর্ণনা করেছেন । কারণ যদি আল্লাহ ধর্মের নাম ধরে ধরে বলতেন? তাহলে কুরআন এতো বড় হতো? যে কুরআনের জন্য আলাদা এক বিগা করে প্রতিটি মানুষের জমির প্রয়োজন হতো তাই আল্লাহ মুলনীতি দিয়েছেন। যার আলো কে বুঝা যাবে কারা হিন্দু কারা বৌদ্ধ। কারা নাস্তিক। মুলনীতি বলার আরো একটা কারণ হলো অদূর ভবিষ্যতে আরো এমন হাজার মতবাদ সৃষ্টি হবে।
তাই মুলনীতি উল্লেখ করাই যুক্তিসম্মত।
এবার আসুন আমরা দেখি।
পৃথিবীর সমস্ত মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত
১. আস্তিক
২. নাস্তিক
আস্তিক দুই প্রকার
৩. মুসলিমঃ-স্রষ্টার সাথে অংশিদারী স্থাপন করে না ? মূর্তি পুঁজা করে না।
৪. অমুসলিমঃ হিন্দু ,বৌদ্ধ সহ যারা স্রষ্টার সাথে অংশিদারী স্থাপন করে এবং অধিকাংশই মূর্তি পুঁজা করে।
এবার আমরা কুরআন থেকে প্রমাণ নিচ্ছি।
নাস্তিকঃযারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী না।
তাদের বৈশিষ্ট্য হলো
ক. আমরা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এমনিতেই সৃষ্টি হয়ছি
খ.মরার পরে আমাদের হিসাব নিকাশ কিছু হবে না। আমরা মাটির সাথে মিশে যাবো।
প্রমাণঃ
ক. ২নং সুরার ২৮-২৯ নং আয়াত।
كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَكُنتُمْ أَمْوَاتاً فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
কেমন করে তোমরা আল্লাহকে অস্বীকার করো? (ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ?) অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে।
How can ye reject the faith in Allah.- seeing that ye were without life, and He gave you life; then will He cause you to die, and will again bring you to life; and again to Him will ye return.
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।
It is He Who hath created for you all things that are on earth; Moreover His design comprehended the heavens, for He gave order and perfection to the seven firmaments; and of all things He hath perfect knowledge
এ সম্পর্কে আরো আয়াত
# সুরা নিসা ১৫৩ আয়াত
# সুরা বাকারা ৫৫নং আয়াত
ইত্যাদি
খ. ২৩নং সুরার ৮৩ নং আয়াত
قَالُوا أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
তারা বলেঃ যখন আমরা মরে যাব এবং মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব ?
They say: \"What! when we die and become dust and bones, could we really be raised up again?
এ সম্পর্কে আরো আয়াত
# সুরা সফ্ফাত ২৩নং
#সুরা সফফাত ৫৩ নং
# সুরা ক্বফ ৩নং
#সুরা ওয়াকিয়া ৪৭ নং
ইত্যাদি
অমুসলিমঃ- এদের মধ্যে আছে অসংখ্য দল উল্লেখযোগ্য। হিন্দু, বৌদ্ধ,
এদের বৈশিষ্ট্য।
ক. মূর্তি পূজা । কুরআনের তার অসারতার বর্ণনা।
খ.স্রষ্টার সহিত অংশীদার স্থাপন ।
কুরআনে তার ক্ষতির বর্ণনা
ক.
# ২৯ নং সুরার ১৭ নং আয়াত
إِنَّمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا وَتَخْلُقُونَ إِفْكًا إِنَّ الَّذِينَ تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَا يَمْلِكُونَ لَكُمْ رِزْقًا فَابْتَغُوا عِندَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوهُ وَاشْكُرُوا لَهُ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে কেবল প্রতিমারই পূজা করছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করছ। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করছ, তারা তোমাদের রিযিকের মালিক নয়। কাজেই আল্লাহর কাছে রিযিক তালাশ কর, তাঁর এবাদত কর এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
\"For ye do worship idols besides Allah, and ye invent falsehood. The things that ye worship besides Allah have no power to give you sustenance: then seek ye sustenance from Allah, serve Him, and be grateful to Him: to Him will be your return
#২২নং সুরার ৭৩নং আয়াত
يَا أَيُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُوا لَهُ إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَن يَخْلُقُوا ذُبَابًا وَلَوِ اجْتَمَعُوا لَهُ وَإِن يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْئًا لَّا يَسْتَنقِذُوهُ مِنْهُ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالْمَطْلُوبُ
হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন।
O men! Here is a parable set forth! listen to it! Those on whom, besides Allah, ye call, cannot create (even) a fly, if they all met together for the purpose! and if the fly should snatch away anything from them, they would have no power to release it from the fly. Feeble are those who petition and those whom they petition
# ১২ নং সুরার ৪০ নং আয়াত
مَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِهِ إِلاَّ أَسْمَاء سَمَّيْتُمُوهَا أَنتُمْ وَآبَآؤُكُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ بِهَا مِن سُلْطَانٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلاَّ لِلّهِ أَمَرَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لاَ يَعْلَمُونَ
তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কতগুলো নামের এবাদত কর, সেগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছে। আল্লাহ এদের কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।
\"If not Him, ye worship nothing but names which ye have named,- ye and your fathers,- for which Allah hath sent down no authority: the command is for none but Allah. He hath commanded that ye worship none but Him: that is the right religion, but most men understand not...
খ. সুরা নিসা ৪৮ নং আয়াত
إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء وَمَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।
Allah forgiveth not that partners should be set up with Him; but He forgiveth anything else, to whom He pleaseth; to set up partners with Allah is to devise a sin Most heinous indeed
এ সম্পর্কে কুরআনে আরো বলা আছে
# ৫নং সুরার ৭২ নং আয়াত
# ২৫ নং সুরার ৪৪ নং আয়াত
# ৮নং সুরার ৫৫নং আয়াত
ইত্যাদি।
আশাকরি উত্তরটা পেয়েছেন।

 Answered By Karim Khan

কোরআনে নাস্তিক,হিন্দু,বৌদ্ধদের ব্যাপারে কিছু বলেনি কেন? নাকি আল্লাহ্‌ এদের ব্যাপারে জানতনা?

Posted by Adam Simon  |  No comments

কুরআনে কেন নাস্তিক ,হিন্দু,বৌদ্ধ ধর্মের কথা উল্লেখ নেই??

জবাবঃ আপনার জ্ঞান তো এই পোস্ট দেখেই বুঝে ফেলেছি, যে আপনি কতটা অজ্ঞ। কোরআনে এ সম্পর্কে স্পষ্ট আলোচনা আছে। তবে কুরআন মুলনীতির আলোকে বর্ণনা করেছেন । কারণ যদি আল্লাহ ধর্মের নাম ধরে ধরে বলতেন? তাহলে কুরআন এতো বড় হতো? যে কুরআনের জন্য আলাদা এক বিগা করে প্রতিটি মানুষের জমির প্রয়োজন হতো তাই আল্লাহ মুলনীতি দিয়েছেন। যার আলো কে বুঝা যাবে কারা হিন্দু কারা বৌদ্ধ। কারা নাস্তিক। মুলনীতি বলার আরো একটা কারণ হলো অদূর ভবিষ্যতে আরো এমন হাজার মতবাদ সৃষ্টি হবে।
তাই মুলনীতি উল্লেখ করাই যুক্তিসম্মত।
এবার আসুন আমরা দেখি।
পৃথিবীর সমস্ত মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত
১. আস্তিক
২. নাস্তিক
আস্তিক দুই প্রকার
৩. মুসলিমঃ-স্রষ্টার সাথে অংশিদারী স্থাপন করে না ? মূর্তি পুঁজা করে না।
৪. অমুসলিমঃ হিন্দু ,বৌদ্ধ সহ যারা স্রষ্টার সাথে অংশিদারী স্থাপন করে এবং অধিকাংশই মূর্তি পুঁজা করে।
এবার আমরা কুরআন থেকে প্রমাণ নিচ্ছি।
নাস্তিকঃযারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী না।
তাদের বৈশিষ্ট্য হলো
ক. আমরা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এমনিতেই সৃষ্টি হয়ছি
খ.মরার পরে আমাদের হিসাব নিকাশ কিছু হবে না। আমরা মাটির সাথে মিশে যাবো।
প্রমাণঃ
ক. ২নং সুরার ২৮-২৯ নং আয়াত।
كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَكُنتُمْ أَمْوَاتاً فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
কেমন করে তোমরা আল্লাহকে অস্বীকার করো? (ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ?) অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে।
How can ye reject the faith in Allah.- seeing that ye were without life, and He gave you life; then will He cause you to die, and will again bring you to life; and again to Him will ye return.
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।
It is He Who hath created for you all things that are on earth; Moreover His design comprehended the heavens, for He gave order and perfection to the seven firmaments; and of all things He hath perfect knowledge
এ সম্পর্কে আরো আয়াত
# সুরা নিসা ১৫৩ আয়াত
# সুরা বাকারা ৫৫নং আয়াত
ইত্যাদি
খ. ২৩নং সুরার ৮৩ নং আয়াত
قَالُوا أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
তারা বলেঃ যখন আমরা মরে যাব এবং মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব ?
They say: \"What! when we die and become dust and bones, could we really be raised up again?
এ সম্পর্কে আরো আয়াত
# সুরা সফ্ফাত ২৩নং
#সুরা সফফাত ৫৩ নং
# সুরা ক্বফ ৩নং
#সুরা ওয়াকিয়া ৪৭ নং
ইত্যাদি
অমুসলিমঃ- এদের মধ্যে আছে অসংখ্য দল উল্লেখযোগ্য। হিন্দু, বৌদ্ধ,
এদের বৈশিষ্ট্য।
ক. মূর্তি পূজা । কুরআনের তার অসারতার বর্ণনা।
খ.স্রষ্টার সহিত অংশীদার স্থাপন ।
কুরআনে তার ক্ষতির বর্ণনা
ক.
# ২৯ নং সুরার ১৭ নং আয়াত
إِنَّمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا وَتَخْلُقُونَ إِفْكًا إِنَّ الَّذِينَ تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَا يَمْلِكُونَ لَكُمْ رِزْقًا فَابْتَغُوا عِندَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوهُ وَاشْكُرُوا لَهُ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে কেবল প্রতিমারই পূজা করছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করছ। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করছ, তারা তোমাদের রিযিকের মালিক নয়। কাজেই আল্লাহর কাছে রিযিক তালাশ কর, তাঁর এবাদত কর এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
\"For ye do worship idols besides Allah, and ye invent falsehood. The things that ye worship besides Allah have no power to give you sustenance: then seek ye sustenance from Allah, serve Him, and be grateful to Him: to Him will be your return
#২২নং সুরার ৭৩নং আয়াত
يَا أَيُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُوا لَهُ إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَن يَخْلُقُوا ذُبَابًا وَلَوِ اجْتَمَعُوا لَهُ وَإِن يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْئًا لَّا يَسْتَنقِذُوهُ مِنْهُ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالْمَطْلُوبُ
হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন।
O men! Here is a parable set forth! listen to it! Those on whom, besides Allah, ye call, cannot create (even) a fly, if they all met together for the purpose! and if the fly should snatch away anything from them, they would have no power to release it from the fly. Feeble are those who petition and those whom they petition
# ১২ নং সুরার ৪০ নং আয়াত
مَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِهِ إِلاَّ أَسْمَاء سَمَّيْتُمُوهَا أَنتُمْ وَآبَآؤُكُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ بِهَا مِن سُلْطَانٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلاَّ لِلّهِ أَمَرَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لاَ يَعْلَمُونَ
তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কতগুলো নামের এবাদত কর, সেগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছে। আল্লাহ এদের কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।
\"If not Him, ye worship nothing but names which ye have named,- ye and your fathers,- for which Allah hath sent down no authority: the command is for none but Allah. He hath commanded that ye worship none but Him: that is the right religion, but most men understand not...
খ. সুরা নিসা ৪৮ নং আয়াত
إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء وَمَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।
Allah forgiveth not that partners should be set up with Him; but He forgiveth anything else, to whom He pleaseth; to set up partners with Allah is to devise a sin Most heinous indeed
এ সম্পর্কে কুরআনে আরো বলা আছে
# ৫নং সুরার ৭২ নং আয়াত
# ২৫ নং সুরার ৪৪ নং আয়াত
# ৮নং সুরার ৫৫নং আয়াত
ইত্যাদি।
আশাকরি উত্তরটা পেয়েছেন।

 Answered By Karim Khan

09:36 Share:
প্রশ্ন:-
যদি আল্লাহর বাণী হয় কুরআন শরীফে নাসেখ মানসুখ আয়াত কেন? অর্থাৎ আল্লাহ্‌ যেহেতু সব জানে তাহলে কোরআন এর আয়াত রহিত হল কেন?
জবাবঃ-
অনেকের অভিযোগ- আল্লাহ তায়ালা যদি জানবেনই যে, এটা রহিত হবে তাহলে তা কেন নাযিল করলেন? এ সন্দেহের অপনোদন ঘটানোর জন্যই পোষ্টটা লিখতে বসলাম।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
مَا نَنسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَا أَوْ مِثْلِهَا أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّهَ عَلَىَ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থাৎ, আমি যে আয়াতকে ‘মানসুখ’তথা রহিত করি কিংবা ভুলিয়ে দেই,তার জায়গায় তার চাইতে ভলো অথবা কমপক্ষে ঠিক তেমনি আয়াত নিয়ে আনি। (সুরা বাকারা: ১০৬)
কোরআন সর্বযুগের সর্বকালের জন্য আলোকবর্তিকা। নাসেখ, মানসুখ আয়াতই প্রমাণ করে এই কোরআন আল্লাহর বাণী।
কেননা আল্লাহ জানেন যে সময় কোরআন নাজিল হয়েছ(১৪০০ বছর আগে)তার পরবর্তি হাজার বছর পরের সামাজিক,আর্থিক,রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক একই রকম হবেনা।
তাই কিছু নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন সেই যুগের অবস্থা অনুযায়ী এবং কিছু নির্দেশনা এসেছে পরবর্তি প্রজন্মের জন্য।
এখন যদি ১৪০০ বছর আগের সামাজিক অবস্থার জন্য নির্ধারিত আইন অপরিবর্তিত থাকত তবে কি কোরআন এর নির্দেশনাকে সর্বযুগের বলা যেত?
নাকি নির্ধারিত গন্ডিতে আবদ্ধ হয়েযেত?
আমরা যদি আধুনিক রাস্ট্র ব্যাবস্থার দিকে তাকাই তবে দেখতে পাই বিভিন্ন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জরুরি আইন জারি হয়। পরবর্তিতে অবস্থা পরিবর্তন হলে জরুরী অবস্থার জন্য নির্ধারিত নির্দেশনা বাতিল করা হয়।
এই নির্দেশনা কখনো হয় স্বল্প সময়ের জন্য আবার কখনো হয় অনিদৃষ্ট সময়ের জন্য।
উদ্দেশ্য থাকে এই যে, বিশেষ আইনের মাধ্যমে সেই বিশেষ সময়ের অবস্থার পরিবর্তন করা।
সবাই জানে যে অস্বাভাবিক অবস্থার পরিবর্তন হবে সময়ের সাথে সাথে।
এখন কেউ যদি বলে অবস্থার পরিবর্তন হবে জেনেও কেন বিশেষ আইন বহাল করা হল তাকি গ্রহণযোগ্য হবে?
নাকি লোকে সেই প্রশ্নকারীকে পাগল বলবে? পাগল বলা স্বাভাবিক নয় কি?
আল্লাহ তায়ালা অনেক সময় কিছু কিছু বিধান জারি করেন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।কেননা,অনেক সময় অবস্থার তাগিদে জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকার নির্দেশ জারি করা লাগে।পরে সে নির্দেশটাকে আবার সরিয়ে নেয়া হয়। এ ধরনের অবস্থায় কখনো বলা হয় এ নির্দেশটা অমুক দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে আবার কখনো দিনক্ষণ মানুষের কাছ থেকে গোপণ রাখা হয়। এটা জানা থাকে কর্তৃপক্ষের। সময় শেষ হয়ে গেলে তারা এ নির্দেশকে অকার্যকর ঘোষণা করে।
উদাহরণ স্বরূপ- আল্লাহ তায়ালা চান মানুষ রোজা রাখবে। তখন বললেন: তোমরা রোজা রাখ। কতদিন রোজা রাখবে তা বলা হয়নি। কিন্তু, আল্লাহ তায়ালা চান না যে, ব্যক্তি সব সময় রোজা রাখুক। তাই, একমাস পরে বললেন: এখন রোজা বন্ধ কর।
আর যদি বলতেন: তোমরা একমাস পর্যন্ত রোজা রাখ তাহলেও যথেষ্ঠ হত।কোন সমস্যা ছিল না।আর কেউ কোন অভিযোগও করত না।
আবার যদি মদ হারাম করার প্রক্রিয়ার দিকে তাকাই তবে দেখি আল্লাহ্‌ প্রথমে বলেন নেশা/মদ অশ্লীল কার্জ।এরপরে বলেন নামাজের সময় মদ্যপ না থাকার জন্য।
সর্বশেষ নির্দেশ দেন সকল মদ ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিত্যাগের জন্য।
অর্থাৎ একে হারাম করা হয়।
যদি এই নির্দেশনাকে গভীরভাবে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখি এই পর্যায়ক্রমিক নির্দেশনা এক মহা প্রজ্ঞাবান স্রষ্টার অসাধার প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে।
আল্লাহ্‌ চাইলে প্রথমেই বলতে পারতেন "মদ,নেশা জাতীয় দ্রব্য হারাম"! কিন্তু এই নির্দেশ পালন করা বান্দার জন্য কঠিন হয়ে যেত। তাই পর্যায় ক্রমে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে তিনি তার আইন বাস্তবায়ন করেছেন বান্দার সুবিধার্থে!
এখন কেউ যদি বলে পর্যায়ক্রমে বাতিল করলেন কেন, একবারে বাতিল করলেননা কেন?
তবে কি সে জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিবেনা?
মূলত সকল অবস্থায়ই আল্লাহ তায়ালার জানা আছে-এ বিধান অমুকদিন পর্যন্ত চলবে। প্রথম অবস্থায় আল্লাহ তায়ালা প্রথমেই শেষ সময়টা জানিয়ে দেন নাই। বরং, সময় শেষ হওয়ার পর বলে দিয়েছেন যে, সময় শেষ হয়ে গেছে। এখানে আগেই মেয়াদ বলে দেয়া হয়েছে আর ওখানে সময় শেষ হওয়ার পর জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
মোটকথা,আল্লাহ তায়ালা চেয়েছেন জরুরী অবস্থা অতিক্রান্ত হওয়ার পরেই জানিয়ে দেবেন;আগে বলবেন না। রহিত হওয়ার আগের সময়ের জন্য বিধানটা ছিল টেম্পরারী বা সাময়িক। পরবর্তী সময়ের জন্য তা উপযুক্ত নয়।
মূলত এগুলোকে রহিত আয়াত বলা যায়না, এসব আয়াত অবস্থার প্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে নাজিল হয়েছে কিন্তু এসব নিয়েই নাস্তিকদের যত মিথ্যাচার।
আশাকরি উত্তরটি পেয়েছেন।
আল্লাহ্‌ আমাদেরকে ইবলিসের অনুসারীদের সকল মিথ্যাচার ও অপব্যাখ্যা থেকে হেফাজত করুন,আমিন!


Answered  By Nayan  Chowdhury

কুরআন যদি আল্লাহর বানী হয় তাহলে আল্লাহ আয়াত রহিত করেন কেন?

Posted by Adam Simon  |  No comments

প্রশ্ন:-
যদি আল্লাহর বাণী হয় কুরআন শরীফে নাসেখ মানসুখ আয়াত কেন? অর্থাৎ আল্লাহ্‌ যেহেতু সব জানে তাহলে কোরআন এর আয়াত রহিত হল কেন?
জবাবঃ-
অনেকের অভিযোগ- আল্লাহ তায়ালা যদি জানবেনই যে, এটা রহিত হবে তাহলে তা কেন নাযিল করলেন? এ সন্দেহের অপনোদন ঘটানোর জন্যই পোষ্টটা লিখতে বসলাম।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
مَا نَنسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَا أَوْ مِثْلِهَا أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّهَ عَلَىَ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থাৎ, আমি যে আয়াতকে ‘মানসুখ’তথা রহিত করি কিংবা ভুলিয়ে দেই,তার জায়গায় তার চাইতে ভলো অথবা কমপক্ষে ঠিক তেমনি আয়াত নিয়ে আনি। (সুরা বাকারা: ১০৬)
কোরআন সর্বযুগের সর্বকালের জন্য আলোকবর্তিকা। নাসেখ, মানসুখ আয়াতই প্রমাণ করে এই কোরআন আল্লাহর বাণী।
কেননা আল্লাহ জানেন যে সময় কোরআন নাজিল হয়েছ(১৪০০ বছর আগে)তার পরবর্তি হাজার বছর পরের সামাজিক,আর্থিক,রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক একই রকম হবেনা।
তাই কিছু নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন সেই যুগের অবস্থা অনুযায়ী এবং কিছু নির্দেশনা এসেছে পরবর্তি প্রজন্মের জন্য।
এখন যদি ১৪০০ বছর আগের সামাজিক অবস্থার জন্য নির্ধারিত আইন অপরিবর্তিত থাকত তবে কি কোরআন এর নির্দেশনাকে সর্বযুগের বলা যেত?
নাকি নির্ধারিত গন্ডিতে আবদ্ধ হয়েযেত?
আমরা যদি আধুনিক রাস্ট্র ব্যাবস্থার দিকে তাকাই তবে দেখতে পাই বিভিন্ন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জরুরি আইন জারি হয়। পরবর্তিতে অবস্থা পরিবর্তন হলে জরুরী অবস্থার জন্য নির্ধারিত নির্দেশনা বাতিল করা হয়।
এই নির্দেশনা কখনো হয় স্বল্প সময়ের জন্য আবার কখনো হয় অনিদৃষ্ট সময়ের জন্য।
উদ্দেশ্য থাকে এই যে, বিশেষ আইনের মাধ্যমে সেই বিশেষ সময়ের অবস্থার পরিবর্তন করা।
সবাই জানে যে অস্বাভাবিক অবস্থার পরিবর্তন হবে সময়ের সাথে সাথে।
এখন কেউ যদি বলে অবস্থার পরিবর্তন হবে জেনেও কেন বিশেষ আইন বহাল করা হল তাকি গ্রহণযোগ্য হবে?
নাকি লোকে সেই প্রশ্নকারীকে পাগল বলবে? পাগল বলা স্বাভাবিক নয় কি?
আল্লাহ তায়ালা অনেক সময় কিছু কিছু বিধান জারি করেন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।কেননা,অনেক সময় অবস্থার তাগিদে জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকার নির্দেশ জারি করা লাগে।পরে সে নির্দেশটাকে আবার সরিয়ে নেয়া হয়। এ ধরনের অবস্থায় কখনো বলা হয় এ নির্দেশটা অমুক দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে আবার কখনো দিনক্ষণ মানুষের কাছ থেকে গোপণ রাখা হয়। এটা জানা থাকে কর্তৃপক্ষের। সময় শেষ হয়ে গেলে তারা এ নির্দেশকে অকার্যকর ঘোষণা করে।
উদাহরণ স্বরূপ- আল্লাহ তায়ালা চান মানুষ রোজা রাখবে। তখন বললেন: তোমরা রোজা রাখ। কতদিন রোজা রাখবে তা বলা হয়নি। কিন্তু, আল্লাহ তায়ালা চান না যে, ব্যক্তি সব সময় রোজা রাখুক। তাই, একমাস পরে বললেন: এখন রোজা বন্ধ কর।
আর যদি বলতেন: তোমরা একমাস পর্যন্ত রোজা রাখ তাহলেও যথেষ্ঠ হত।কোন সমস্যা ছিল না।আর কেউ কোন অভিযোগও করত না।
আবার যদি মদ হারাম করার প্রক্রিয়ার দিকে তাকাই তবে দেখি আল্লাহ্‌ প্রথমে বলেন নেশা/মদ অশ্লীল কার্জ।এরপরে বলেন নামাজের সময় মদ্যপ না থাকার জন্য।
সর্বশেষ নির্দেশ দেন সকল মদ ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিত্যাগের জন্য।
অর্থাৎ একে হারাম করা হয়।
যদি এই নির্দেশনাকে গভীরভাবে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখি এই পর্যায়ক্রমিক নির্দেশনা এক মহা প্রজ্ঞাবান স্রষ্টার অসাধার প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে।
আল্লাহ্‌ চাইলে প্রথমেই বলতে পারতেন "মদ,নেশা জাতীয় দ্রব্য হারাম"! কিন্তু এই নির্দেশ পালন করা বান্দার জন্য কঠিন হয়ে যেত। তাই পর্যায় ক্রমে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে তিনি তার আইন বাস্তবায়ন করেছেন বান্দার সুবিধার্থে!
এখন কেউ যদি বলে পর্যায়ক্রমে বাতিল করলেন কেন, একবারে বাতিল করলেননা কেন?
তবে কি সে জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিবেনা?
মূলত সকল অবস্থায়ই আল্লাহ তায়ালার জানা আছে-এ বিধান অমুকদিন পর্যন্ত চলবে। প্রথম অবস্থায় আল্লাহ তায়ালা প্রথমেই শেষ সময়টা জানিয়ে দেন নাই। বরং, সময় শেষ হওয়ার পর বলে দিয়েছেন যে, সময় শেষ হয়ে গেছে। এখানে আগেই মেয়াদ বলে দেয়া হয়েছে আর ওখানে সময় শেষ হওয়ার পর জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
মোটকথা,আল্লাহ তায়ালা চেয়েছেন জরুরী অবস্থা অতিক্রান্ত হওয়ার পরেই জানিয়ে দেবেন;আগে বলবেন না। রহিত হওয়ার আগের সময়ের জন্য বিধানটা ছিল টেম্পরারী বা সাময়িক। পরবর্তী সময়ের জন্য তা উপযুক্ত নয়।
মূলত এগুলোকে রহিত আয়াত বলা যায়না, এসব আয়াত অবস্থার প্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে নাজিল হয়েছে কিন্তু এসব নিয়েই নাস্তিকদের যত মিথ্যাচার।
আশাকরি উত্তরটি পেয়েছেন।
আল্লাহ্‌ আমাদেরকে ইবলিসের অনুসারীদের সকল মিথ্যাচার ও অপব্যাখ্যা থেকে হেফাজত করুন,আমিন!


Answered  By Nayan  Chowdhury

09:33 Share:
আল কুরআনকে বাইবেল থেকে নকল করেছেন (নাউযুবিল্লাহ) তারা উপলব্দি করতে ব্যর্থ হয়েছে যে হযরত রাসুল (সাঃ) যখন বর্তমান ছিলেন তখন বাইবেলের কোন আরবি অনুবাদ ছিল না। প্রথম ওল্ড টেস্টামেন্ট আরবিতে যেটা আমাদের নিকট আছে তা আর সাদিয়াস গাওন কতৃক ৯০০(900) খ্রিস্টাব্দে অনূদিত। সেটা সাধারণ বিষয়, রাসুল (সাঃ) এর ওফাতের ২০০(200) বছরের পরে এবং আরবিতে সবার আগে যে নিউ টেস্টামেন্ট আমাদের হাতে যেটা আছে, তা প্রকাশিত হয় ১৬১৬(1616) খ্রিস্টাব্দে রাসুল (সাঃ) এর ওফাতের প্রায় একহাজার বছর পরে। আমি এ ব্যাপারে একমত হতে পারি যে, বাইবেল এবং আল কুরআনের মধ্যে আংশিক মিল রয়েছে। এতে এটা বুঝায় না যে, বাইবেল পরেরটা পূর্বেরটা থেকে নকল করা হয়েছে। এটা এ অর্থ দেয় যে, উভয়েরই তৃতীয় উৎস আছে। আল্লাহর অবতীর্ণ সব সংবাদেই আল্লাহকে বিশ্বাস করার কথা উল্লেখ আছে। তাঁদের একই সংবাদ আছে। পরবর্তীতে সকল অবতীর্ণ কিতাবেরই সময়-সীমা নির্ধারিত ছিল। যেমন আমি উল্লেখ করেছি, সেগুলো তাঁদের মূল গঠনের উপর নেই। সেগুলোতে অন্যায় সংযোজন( তাহরীফ) ঘটেছে। সেগুলোতে অনেক মানব সংযোজিত মিথ্যা কাহিনী সংযুক্ত রয়েছে। তারপরেও সেগুলোতে আবশ্যকীয় ভাবে আংশিক বিষয় মিল রয়েছে। শুধু মিলগুলোর কারণে বলা ভুল হচ্ছে যে, এগুলো রাসুল (সা:) বাইবেল থেকে নকল করেছেন। এক্ষেত্রে এটাও প্রমাণিত হয় যে, যীশু বা ঈসা আঃ (নাউযুবিল্লাহ) নিউ টেস্টামেন্ট, ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে নকল করেছেন, কেননা নিউ এবং ওল্ড টেস্টামেন্টের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। উভয় গ্রন্থই একই উৎস (আল্লাহর) থেকে আগত। মনে করুন কেউ পরীক্ষায় নকল করল, আমি উত্তরপত্রে লিখবনা, আমি আমার প্রতিবেশীর থেকে নকল করলাম। আমি লিখবনা, আমি X Y Z থেকে নকল করেছি। রাসুল (সা:) এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পরিস্কারভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন যে ঈসা (আঃ), মুসা (আ:) এবং সব নবী আল্লাহ প্রেরিত। এটা তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা দান করে। তিনি যদি নকল করতেন তাহলে তিনি বলতেন না যে ঈসা(আঃ), মুসা(আঃ) আল্লাহর নবী ছিলেন।
এটা প্রমাণ করে যে, তিনি নকল করেন নি; শুধু ঐতিহাসিক বিষয়াবলি ওপর ভিত্তি করে কোন ব্যক্তির দ্বারা বলা কঠিন- কোনটি সঠিক, বাইবেল না আল কুরআন।
যাই হোক, আমরা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান প্রয়োগ করে পরীক্ষা করতে পারি। এর উপরিভাগে যদি আপনি দৃষ্টি দেন তাহলে আপনি দেখতে পাবেন অনেক ঘটনা এবং বিষয় কুরআনে যেমন উল্লেখ আছে বাইবেলে ও উল্লেখ আছে। আপনি একই রকমই দেখতে পাবেন। কিন্তু আপনি যদি পর্যালোচনা করেন তাহলে আকাশ পাতাল পার্থক্য পাবেন। দৃষ্টান্ত হিসেবে, বাইবেলে উল্লেখ আছে, জেনেসিস প্রথম অধ্যায়, বিশ্ব স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয়েছে এটি ৬ দিনে সৃষ্টি হয়েছে এবং দিনের বর্ণনা করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা সময়। আল কুরান বিভিন্ন স্থানে যেমনঃ সুরা আল আরাফের ৫৪ নং আয়াত এবং সুরা ইউনুস এর ৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “জান্নাত এবং পৃথিবী ৬ আইয়্যামে সৃষ্টি করেছি”। আরবি শব্দ “ইয়াওমুন” শব্দটি ইয়াওমুন শব্দের বহুবচন যার অর্থ দিন । “ইয়াওমুন” অর্থ দিন এর অর্থ অনেক দীর্ঘ সময় এমনকি যুগ ও বুঝায়। অতএব এখানে আল কুরআন যখন বলবে জান্নাত এবং পৃথিবী ছয় যুগ ধরে অর্থাৎ অনেক অনেক দীর্ঘ ধরে সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে এ বর্ণনায় বিজ্ঞানীদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু পৃথিবী ২৪ ঘণ্টায় ছয় দিনে সৃষ্টি হয়েছে এটা অবৈজ্ঞানিক তথা অযৌক্তিক। বাইবেল ১নং জেনেসিস অধ্যায়ের ৩ ও ৫ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে ; প্রথম দিনে দিন ও রাত সৃষ্টি হয় এবং বিজ্ঞান আমাদের বলছে মহাবিশ্বের আলো সৃষ্টি হয়েছে নক্ষত্রের প্রতিক্রিয়ায় এবং বাইবেলে জেনেসিস ১ম অধ্যায়- এর অনুচ্ছেদ ১৪ ও ১৯ এ উল্লেখ আছে যে, সূর্য চতুর্থ দিনে সৃষ্টি হয়েছিল,কিভাবে সম্ভব এটা যে, ফলাফল যেটা হল “আলো” সূর্যের চারদিন পূর্বে সৃষ্টি হয়েছে? অযৌক্তিক, এটা অবৈজ্ঞানিক, পৃথিবী যা দিন রাতের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজন, তা সৃষ্টি হয়েছে তৃতীয় দিনে। আল কুরআন ও আলো এবং সৃষ্টি সম্পর্কে বলে তবে এটা অসম্ভব ও অবৈজ্ঞানিক ধারাবাহিকতা প্রদান করে না। আপনারা কি মনে করেন যে, নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বাইবেল থেকে নকল করে সংশোধন করে ঘটনাক্রমগুলো সাজিয়ে দিয়েছেন। এগুলো ১৪০০ বছর পূর্বে কেউ জানতেন না। বাইবেলের জেনেসিস ১ম অধ্যায়ের ৯ থেকে ১৩ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে পৃথিবী তৃতীয় দিনে সৃষ্টি করা হয়, ১৯ নং অনুচ্ছেদ উল্লেখ আছে যে, সূর্য এবং চন্দ্র চতুর্থ দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। আজ বিজ্ঞান আমাদের বলছে যে, পৃথিবী এবং চন্দ্র মূল নক্ষত্রের অর্থাৎ সূর্যের অংশ মাত্র। এটা অসম্ভব যে, পৃথিবী সূর্যের আগে সৃষ্টি হয়েছে। এটা অবৈজ্ঞানিক। বাইবেলের জেনেসিস অধ্যায় নং ১ অনুচ্ছেদ ১১ এবং ১৩ তে সব্জির রাজত্ব, বীজ, বীজ বহনকারী চারাগাছ, লতা, গাছ-পালা তৈরি হয়েছিল তৃতীয় দিনে এবং ১৪ থেকে ১৯ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে,সূর্য সৃষ্টি হয়েছিল চতুর্থ দিনে। কিভাবে সবজির মূল সূর্য ছাড়াই অস্তিত্বে আসলো? বাইবেলে জেনেসিস ১ম অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ১৬ তে বলা হয়েছে “সর্বশক্তিমান ঈশ্বর দুটি বড় আলো তৈরি করেছেন, সূর্য যেটা বড় আলো দিনকে পরিচালনা করার জন্য এবং চন্দ্র অপেক্ষাকৃত কম আলো, রাতকে পরিচালনা করার জন্য”। বাইবেল বলে সূর্য ও চন্দ্রের নিজস্ব আলো রয়েছে। আমি পূর্বে যেমন উল্লেখ করেছি, আল কুরআনের সূরা ফুরকান-এর ৬১ নং আয়াতে বর্ণিত আছে চন্দ্রের আলো প্রতিবিম্বিত আলো। এটা কিভাবে সম্ভব যে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সব বৈজ্ঞানিক বাস্তবতাকে নকল করে সংগ্রহ করেছেন। এটা সম্ভব নয়।

Answered By Ahmed

মুহাম্মাদ( সাঃ) বাইবেল থেকে কুরান নকল করেছেন।

Posted by Adam Simon  |  No comments

আল কুরআনকে বাইবেল থেকে নকল করেছেন (নাউযুবিল্লাহ) তারা উপলব্দি করতে ব্যর্থ হয়েছে যে হযরত রাসুল (সাঃ) যখন বর্তমান ছিলেন তখন বাইবেলের কোন আরবি অনুবাদ ছিল না। প্রথম ওল্ড টেস্টামেন্ট আরবিতে যেটা আমাদের নিকট আছে তা আর সাদিয়াস গাওন কতৃক ৯০০(900) খ্রিস্টাব্দে অনূদিত। সেটা সাধারণ বিষয়, রাসুল (সাঃ) এর ওফাতের ২০০(200) বছরের পরে এবং আরবিতে সবার আগে যে নিউ টেস্টামেন্ট আমাদের হাতে যেটা আছে, তা প্রকাশিত হয় ১৬১৬(1616) খ্রিস্টাব্দে রাসুল (সাঃ) এর ওফাতের প্রায় একহাজার বছর পরে। আমি এ ব্যাপারে একমত হতে পারি যে, বাইবেল এবং আল কুরআনের মধ্যে আংশিক মিল রয়েছে। এতে এটা বুঝায় না যে, বাইবেল পরেরটা পূর্বেরটা থেকে নকল করা হয়েছে। এটা এ অর্থ দেয় যে, উভয়েরই তৃতীয় উৎস আছে। আল্লাহর অবতীর্ণ সব সংবাদেই আল্লাহকে বিশ্বাস করার কথা উল্লেখ আছে। তাঁদের একই সংবাদ আছে। পরবর্তীতে সকল অবতীর্ণ কিতাবেরই সময়-সীমা নির্ধারিত ছিল। যেমন আমি উল্লেখ করেছি, সেগুলো তাঁদের মূল গঠনের উপর নেই। সেগুলোতে অন্যায় সংযোজন( তাহরীফ) ঘটেছে। সেগুলোতে অনেক মানব সংযোজিত মিথ্যা কাহিনী সংযুক্ত রয়েছে। তারপরেও সেগুলোতে আবশ্যকীয় ভাবে আংশিক বিষয় মিল রয়েছে। শুধু মিলগুলোর কারণে বলা ভুল হচ্ছে যে, এগুলো রাসুল (সা:) বাইবেল থেকে নকল করেছেন। এক্ষেত্রে এটাও প্রমাণিত হয় যে, যীশু বা ঈসা আঃ (নাউযুবিল্লাহ) নিউ টেস্টামেন্ট, ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে নকল করেছেন, কেননা নিউ এবং ওল্ড টেস্টামেন্টের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। উভয় গ্রন্থই একই উৎস (আল্লাহর) থেকে আগত। মনে করুন কেউ পরীক্ষায় নকল করল, আমি উত্তরপত্রে লিখবনা, আমি আমার প্রতিবেশীর থেকে নকল করলাম। আমি লিখবনা, আমি X Y Z থেকে নকল করেছি। রাসুল (সা:) এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পরিস্কারভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন যে ঈসা (আঃ), মুসা (আ:) এবং সব নবী আল্লাহ প্রেরিত। এটা তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা দান করে। তিনি যদি নকল করতেন তাহলে তিনি বলতেন না যে ঈসা(আঃ), মুসা(আঃ) আল্লাহর নবী ছিলেন।
এটা প্রমাণ করে যে, তিনি নকল করেন নি; শুধু ঐতিহাসিক বিষয়াবলি ওপর ভিত্তি করে কোন ব্যক্তির দ্বারা বলা কঠিন- কোনটি সঠিক, বাইবেল না আল কুরআন।
যাই হোক, আমরা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান প্রয়োগ করে পরীক্ষা করতে পারি। এর উপরিভাগে যদি আপনি দৃষ্টি দেন তাহলে আপনি দেখতে পাবেন অনেক ঘটনা এবং বিষয় কুরআনে যেমন উল্লেখ আছে বাইবেলে ও উল্লেখ আছে। আপনি একই রকমই দেখতে পাবেন। কিন্তু আপনি যদি পর্যালোচনা করেন তাহলে আকাশ পাতাল পার্থক্য পাবেন। দৃষ্টান্ত হিসেবে, বাইবেলে উল্লেখ আছে, জেনেসিস প্রথম অধ্যায়, বিশ্ব স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয়েছে এটি ৬ দিনে সৃষ্টি হয়েছে এবং দিনের বর্ণনা করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা সময়। আল কুরান বিভিন্ন স্থানে যেমনঃ সুরা আল আরাফের ৫৪ নং আয়াত এবং সুরা ইউনুস এর ৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “জান্নাত এবং পৃথিবী ৬ আইয়্যামে সৃষ্টি করেছি”। আরবি শব্দ “ইয়াওমুন” শব্দটি ইয়াওমুন শব্দের বহুবচন যার অর্থ দিন । “ইয়াওমুন” অর্থ দিন এর অর্থ অনেক দীর্ঘ সময় এমনকি যুগ ও বুঝায়। অতএব এখানে আল কুরআন যখন বলবে জান্নাত এবং পৃথিবী ছয় যুগ ধরে অর্থাৎ অনেক অনেক দীর্ঘ ধরে সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে এ বর্ণনায় বিজ্ঞানীদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু পৃথিবী ২৪ ঘণ্টায় ছয় দিনে সৃষ্টি হয়েছে এটা অবৈজ্ঞানিক তথা অযৌক্তিক। বাইবেল ১নং জেনেসিস অধ্যায়ের ৩ ও ৫ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে ; প্রথম দিনে দিন ও রাত সৃষ্টি হয় এবং বিজ্ঞান আমাদের বলছে মহাবিশ্বের আলো সৃষ্টি হয়েছে নক্ষত্রের প্রতিক্রিয়ায় এবং বাইবেলে জেনেসিস ১ম অধ্যায়- এর অনুচ্ছেদ ১৪ ও ১৯ এ উল্লেখ আছে যে, সূর্য চতুর্থ দিনে সৃষ্টি হয়েছিল,কিভাবে সম্ভব এটা যে, ফলাফল যেটা হল “আলো” সূর্যের চারদিন পূর্বে সৃষ্টি হয়েছে? অযৌক্তিক, এটা অবৈজ্ঞানিক, পৃথিবী যা দিন রাতের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজন, তা সৃষ্টি হয়েছে তৃতীয় দিনে। আল কুরআন ও আলো এবং সৃষ্টি সম্পর্কে বলে তবে এটা অসম্ভব ও অবৈজ্ঞানিক ধারাবাহিকতা প্রদান করে না। আপনারা কি মনে করেন যে, নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বাইবেল থেকে নকল করে সংশোধন করে ঘটনাক্রমগুলো সাজিয়ে দিয়েছেন। এগুলো ১৪০০ বছর পূর্বে কেউ জানতেন না। বাইবেলের জেনেসিস ১ম অধ্যায়ের ৯ থেকে ১৩ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে পৃথিবী তৃতীয় দিনে সৃষ্টি করা হয়, ১৯ নং অনুচ্ছেদ উল্লেখ আছে যে, সূর্য এবং চন্দ্র চতুর্থ দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। আজ বিজ্ঞান আমাদের বলছে যে, পৃথিবী এবং চন্দ্র মূল নক্ষত্রের অর্থাৎ সূর্যের অংশ মাত্র। এটা অসম্ভব যে, পৃথিবী সূর্যের আগে সৃষ্টি হয়েছে। এটা অবৈজ্ঞানিক। বাইবেলের জেনেসিস অধ্যায় নং ১ অনুচ্ছেদ ১১ এবং ১৩ তে সব্জির রাজত্ব, বীজ, বীজ বহনকারী চারাগাছ, লতা, গাছ-পালা তৈরি হয়েছিল তৃতীয় দিনে এবং ১৪ থেকে ১৯ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে,সূর্য সৃষ্টি হয়েছিল চতুর্থ দিনে। কিভাবে সবজির মূল সূর্য ছাড়াই অস্তিত্বে আসলো? বাইবেলে জেনেসিস ১ম অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ১৬ তে বলা হয়েছে “সর্বশক্তিমান ঈশ্বর দুটি বড় আলো তৈরি করেছেন, সূর্য যেটা বড় আলো দিনকে পরিচালনা করার জন্য এবং চন্দ্র অপেক্ষাকৃত কম আলো, রাতকে পরিচালনা করার জন্য”। বাইবেল বলে সূর্য ও চন্দ্রের নিজস্ব আলো রয়েছে। আমি পূর্বে যেমন উল্লেখ করেছি, আল কুরআনের সূরা ফুরকান-এর ৬১ নং আয়াতে বর্ণিত আছে চন্দ্রের আলো প্রতিবিম্বিত আলো। এটা কিভাবে সম্ভব যে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সব বৈজ্ঞানিক বাস্তবতাকে নকল করে সংগ্রহ করেছেন। এটা সম্ভব নয়।

Answered By Ahmed

09:32 Share:
(আল-কুরআনে পরস্পরবিরোধিতার অভিযোগ ও তার জবাব)
অভিযোগ-১: আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি ছয় দিনে না আট দিনে?
১.১
কুরআনের বেশ কিছু আয়াতে(৭:৫৪, ১০:৩, ১১:৭, ২৫:৫৯, ৩২:৪, ৫০:৩৮, ৫৭:৪) বলা হয়েছে আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে।
১.২
কিন্তু ৪১:৯-১২ নং আয়াত অনুসারে দেখা যায় আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন আট
দিনে।
অভিযোগের জবাব:
[আনুষঙ্গিক পাঠ:
১টা গর্ত খুঁড়তে একজন শ্রমিকের ১ ঘন্টা লাগলে, ৩টা গর্ত খুঁড়তে ৩ জন শ্রমিকের কয় ঘন্টা লাগবে? গণিতে যারা কাঁচা, তারা বলবে ৩ ঘন্টা। যারা গণিত মোটামুটি বুঝে তারা হয়ত বলবে ১ ঘন্টা। যারা আরেকটু বেশি বুঝে তারা বলবে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া সম্ভব না। কারণ এখানে বিভিন্ন রকমের কেস হতে পারে।
কেস ১:
৩ জন শ্রমিক একসাথে কাজ শুরু করল সেক্ষেত্রে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ।
১।।১।।১ = ১
কেস ২:
২ জন শ্রমিক একসাথে কাজ শুরু করল। তাদের কাজ শেষ হল। অত:পর ৩য় শ্রমিক কাজ শুরু করল। এক্ষেত্রে সময় লাগবে ২ ঘন্টা।
(১।।১)+১=১+১=২
কেস ৩:
১ম শ্রমিক কাজ শেষ করল। অত:পর ২য় শ্রমিক কাজ শুরু করল।
২য় শ্রমিক কাজ শেষ করল। অত:পর ৩য় শ্রমিক কাজ শুরু করল।
এক্ষেত্রে সময় লাগবে ৩ ঘন্টা।
১+১+১=৩
এ ধরণের কেস হতে পারে অগণিত। কাজেই এ প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে জানতে হবে কে কখন কাজ শুরু করল। তথ্য পাবার সাথেই ১+১+১=৩ হিসাব করা যাবে না।]
১.১ এর আয়াতসমূহ: (প্রাসঙ্গিক অংশ)
৭:৫৪ তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল কে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন
১০:৩ নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরী করেছেন আসমান ও যমীন কে ছয় দিনে
১১:৭ তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরী করেছেন
২৫:৫৯ তিনি নভোমন্ডল , ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন
৩২:৪ আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল , ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন
৫০:৩৮ আমি নভোমন্ডল , ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি
৫৭:৪ তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে
বিশ্লেষণ:
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করা হয়েছে মোট ছয় দিনে।
আবার, নভোমন্ডল , ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে ছয় দিনে।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে,
এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুকে সৃষ্টি করতে কোন আলাদা সময় নেওয়া হয় নাই।
নভোমণ্ডল/আকাশ এবং ভূমণ্ডল/পৃথিবী
সৃষ্টির সাথে সাথে সমান্তরালভাবে
এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুকে সৃষ্টি করা হয়।
অর্থাৎ ৬ দিনের মধ্যে পৃথিবী এবং আকাশ সৃষ্টিকালে সমান্তরালভাবে অন্যান্য কাজও হয়েছে।
১.২ এর আয়াতসমূহ:
৪১:৯
বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু�দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
৪১:১০
(ﻭَﺟَﻌَﻞَ ) তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
৪১:১১
( ﺛُﻢَّ ﺍﺳْﺘَﻮَﻯ )অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
৪১:১২
(ﻓَﻘَﻀَﺎﻫُﻦَّ )অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু�দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
লক্ষ্যণীয়:
১১ এবং ১২ নম্বর আয়াতের শুরুতে 'অতঃপর'
শব্দ আছে (আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা' )।
কিন্তু ১০ নম্বর আয়াতের শুরুতে কোন 'এর পর'
/'আরো'/'অত:পর'/'তারপর' এ জাতীয় কোন শব্দ(আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা' ) নেই।
বিশ্লেষণ:
৯ নম্বর আয়াতের কাজ তথা পৃথিবী সৃষ্টির জন্য লেগেছে ২ দিন।
১০ নম্বর আয়াতের অন্যান্য কাজের জন্য সময় লেগেছে ৪ দিন। কিন্তু ১০ নম্বর আয়াতের শুরুতে যেহেতু 'এর পর' /'আরো'/'অত:পর'/'তারপর' এ জাতীয় কোন শব্দ(আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা' ) নেই, কাজেই এই কাজ যে পৃথিবীর সৃষ্টি শেষ হবার পর শুরু হয়েছে এমন কোন তথ্য এখানে নেই, বরং এই কাজ কখন শুরু হয়েছে তা এখানে বলা নেই।
১১ নং আয়াতের নির্দেশ দেওয়া হয় ১০ নং আয়াতের অন্যান্য কাজের পর (আয়াতের শুরু হয়েছে ‘অত:পর’ দিয়ে), এখানে কোন কাজ নাই, কোন সময়ের প্রয়োজনও হয় নাই, উল্লেখও নেই।
১২ নম্বর আয়াতের কাজ তথা আকাশ সৃষ্টির জন্য লেগেছে ২ দিন। এই কাজ শুরু হয়েছে ১১ নং আয়াতের নির্দেশের পর (আয়াতের শুরু হয়েছে ‘অত:পর’ দিয়ে) তথা ১০ নম্বর আয়াতের অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) শেষ হবার পরপরই।
এক নজরে আয়াত ৪টি হতে প্রাপ্ত তথ্য:
পৃথিবী সৃষ্টিতে ব্যয়িত সময়= ২দিন
অন্যান্য কাজে (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) ব্যয়িত সময়= ৪ দিন
আকাশ সৃষ্টিতে ব্যয়িত সময়= ২ দিন
আকাশ সৃষ্টি শুরু হয় অন্যান্য কাজের পরে এটা বলা থাকলেও অন্যান্য কাজ যে পৃথিবী সৃষ্টি শেষ হবার পর শুরু হয়েছে এমন কোন তথ্য এখানে নেই।
কাজেই এই আয়াতগুলো থেকে যারা হিসাব করেন যে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে (২+৪+২) বা ৮ দিন লেগেছে, তারা আনুষঙ্গিক পাঠের গণিতে কাঁচাদের মতোই হিসেব করেন। সমান্তরালভাবে যে একাধিক কাজ হতে পারে এটা যেন তাদের ধারণাতেই আসে নাই।
প্রথমে যেহেতু পৃথিবী সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে কাজেই পৃথিবী সৃষ্টিতে লেগেছে প্রথম ২ দিন।
শেষে যেহেতু আকাশ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে কাজেই আকাশ সৃষ্টিতে লেগেছে শেষের ২ দিন।
আর ১০ নং আয়াতের অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) সম্পাদিত হয়েছে আকাশ সৃষ্টির আগের ৪ দিনে।
ফলাফল:
১.১ এর আয়াতগুলো হতে আমরা জেনেছি:
মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে মোট সময় লেগেছ ৬ দিন এবং একাধিক কাজ সমান্তরালেও ঘটেছে। এখন ১.২ এর আয়তগুলোতে প্রাপ্ত কাজগুলোকে এই ৬ দিনের ফ্রেমের সাজানো যায় কিনা দেখি-
দিন-১ দিন-২ দিন-৩ দিন-৪ দিন-৫ দিন-৬
৯ নং আয়াত
পৃথিবী সৃষ্টি
(প্রথম ২দিনে)
১০ নং আয়াত
অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা)
(শেষের ২দিনের আগের ৪ দিনে)
১২ নং আয়াত
আকাশ সৃষ্টি
(শেষের ২ দিনে)
কাজেই আমরা বলতে পারি, পৃথিবী সৃষ্টির সাথে অন্যান্য কাজ ও সমান্তরালে সম্পাদিত হতে থাকে। ২য় দিনে পৃথিবী সৃষ্টি শেষ হয়, ৪র্থ দিনে অন্যান্য কাজ (খাদ্যের ব্যবস্থা) শেষ হয়, শেষের ২ দিনে আকাশ সৃষ্টি শেষ হয়। এভাবে পৃথিবী সৃষ্টির শুরু হতে আকাশ সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত মোট ৬ দিনই লাগে।
(২||৪)+২=৪+২=৬
সুতরাং, এখানে পরস্পরবিরোধিতার অভিযোগ একেবারেই অযৌক্তিক।
নিচের ফটো টি লক্ষ করলে আশা করি আরও ক্লিয়ার ভাবে বুজতে পারবেন।
Answered By Sakhawat Hossein

কুরআনে এক জায়গায় বলে মহাবিশ্ব ছয় দিনে সৃষ্টি হয়েছে, আরেক জায়গায় বলে আট দিনে সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং কুরান পরস্পর বিরোধী কথা বলে।

Posted by Adam Simon  |  No comments

(আল-কুরআনে পরস্পরবিরোধিতার অভিযোগ ও তার জবাব)
অভিযোগ-১: আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি ছয় দিনে না আট দিনে?
১.১
কুরআনের বেশ কিছু আয়াতে(৭:৫৪, ১০:৩, ১১:৭, ২৫:৫৯, ৩২:৪, ৫০:৩৮, ৫৭:৪) বলা হয়েছে আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে।
১.২
কিন্তু ৪১:৯-১২ নং আয়াত অনুসারে দেখা যায় আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন আট
দিনে।
অভিযোগের জবাব:
[আনুষঙ্গিক পাঠ:
১টা গর্ত খুঁড়তে একজন শ্রমিকের ১ ঘন্টা লাগলে, ৩টা গর্ত খুঁড়তে ৩ জন শ্রমিকের কয় ঘন্টা লাগবে? গণিতে যারা কাঁচা, তারা বলবে ৩ ঘন্টা। যারা গণিত মোটামুটি বুঝে তারা হয়ত বলবে ১ ঘন্টা। যারা আরেকটু বেশি বুঝে তারা বলবে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া সম্ভব না। কারণ এখানে বিভিন্ন রকমের কেস হতে পারে।
কেস ১:
৩ জন শ্রমিক একসাথে কাজ শুরু করল সেক্ষেত্রে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ।
১।।১।।১ = ১
কেস ২:
২ জন শ্রমিক একসাথে কাজ শুরু করল। তাদের কাজ শেষ হল। অত:পর ৩য় শ্রমিক কাজ শুরু করল। এক্ষেত্রে সময় লাগবে ২ ঘন্টা।
(১।।১)+১=১+১=২
কেস ৩:
১ম শ্রমিক কাজ শেষ করল। অত:পর ২য় শ্রমিক কাজ শুরু করল।
২য় শ্রমিক কাজ শেষ করল। অত:পর ৩য় শ্রমিক কাজ শুরু করল।
এক্ষেত্রে সময় লাগবে ৩ ঘন্টা।
১+১+১=৩
এ ধরণের কেস হতে পারে অগণিত। কাজেই এ প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে জানতে হবে কে কখন কাজ শুরু করল। তথ্য পাবার সাথেই ১+১+১=৩ হিসাব করা যাবে না।]
১.১ এর আয়াতসমূহ: (প্রাসঙ্গিক অংশ)
৭:৫৪ তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল কে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন
১০:৩ নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরী করেছেন আসমান ও যমীন কে ছয় দিনে
১১:৭ তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরী করেছেন
২৫:৫৯ তিনি নভোমন্ডল , ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন
৩২:৪ আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল , ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন
৫০:৩৮ আমি নভোমন্ডল , ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি
৫৭:৪ তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে
বিশ্লেষণ:
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করা হয়েছে মোট ছয় দিনে।
আবার, নভোমন্ডল , ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে ছয় দিনে।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে,
এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুকে সৃষ্টি করতে কোন আলাদা সময় নেওয়া হয় নাই।
নভোমণ্ডল/আকাশ এবং ভূমণ্ডল/পৃথিবী
সৃষ্টির সাথে সাথে সমান্তরালভাবে
এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুকে সৃষ্টি করা হয়।
অর্থাৎ ৬ দিনের মধ্যে পৃথিবী এবং আকাশ সৃষ্টিকালে সমান্তরালভাবে অন্যান্য কাজও হয়েছে।
১.২ এর আয়াতসমূহ:
৪১:৯
বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু�দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
৪১:১০
(ﻭَﺟَﻌَﻞَ ) তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
৪১:১১
( ﺛُﻢَّ ﺍﺳْﺘَﻮَﻯ )অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
৪১:১২
(ﻓَﻘَﻀَﺎﻫُﻦَّ )অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু�দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
লক্ষ্যণীয়:
১১ এবং ১২ নম্বর আয়াতের শুরুতে 'অতঃপর'
শব্দ আছে (আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা' )।
কিন্তু ১০ নম্বর আয়াতের শুরুতে কোন 'এর পর'
/'আরো'/'অত:পর'/'তারপর' এ জাতীয় কোন শব্দ(আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা' ) নেই।
বিশ্লেষণ:
৯ নম্বর আয়াতের কাজ তথা পৃথিবী সৃষ্টির জন্য লেগেছে ২ দিন।
১০ নম্বর আয়াতের অন্যান্য কাজের জন্য সময় লেগেছে ৪ দিন। কিন্তু ১০ নম্বর আয়াতের শুরুতে যেহেতু 'এর পর' /'আরো'/'অত:পর'/'তারপর' এ জাতীয় কোন শব্দ(আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা' ) নেই, কাজেই এই কাজ যে পৃথিবীর সৃষ্টি শেষ হবার পর শুরু হয়েছে এমন কোন তথ্য এখানে নেই, বরং এই কাজ কখন শুরু হয়েছে তা এখানে বলা নেই।
১১ নং আয়াতের নির্দেশ দেওয়া হয় ১০ নং আয়াতের অন্যান্য কাজের পর (আয়াতের শুরু হয়েছে ‘অত:পর’ দিয়ে), এখানে কোন কাজ নাই, কোন সময়ের প্রয়োজনও হয় নাই, উল্লেখও নেই।
১২ নম্বর আয়াতের কাজ তথা আকাশ সৃষ্টির জন্য লেগেছে ২ দিন। এই কাজ শুরু হয়েছে ১১ নং আয়াতের নির্দেশের পর (আয়াতের শুরু হয়েছে ‘অত:পর’ দিয়ে) তথা ১০ নম্বর আয়াতের অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) শেষ হবার পরপরই।
এক নজরে আয়াত ৪টি হতে প্রাপ্ত তথ্য:
পৃথিবী সৃষ্টিতে ব্যয়িত সময়= ২দিন
অন্যান্য কাজে (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) ব্যয়িত সময়= ৪ দিন
আকাশ সৃষ্টিতে ব্যয়িত সময়= ২ দিন
আকাশ সৃষ্টি শুরু হয় অন্যান্য কাজের পরে এটা বলা থাকলেও অন্যান্য কাজ যে পৃথিবী সৃষ্টি শেষ হবার পর শুরু হয়েছে এমন কোন তথ্য এখানে নেই।
কাজেই এই আয়াতগুলো থেকে যারা হিসাব করেন যে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে (২+৪+২) বা ৮ দিন লেগেছে, তারা আনুষঙ্গিক পাঠের গণিতে কাঁচাদের মতোই হিসেব করেন। সমান্তরালভাবে যে একাধিক কাজ হতে পারে এটা যেন তাদের ধারণাতেই আসে নাই।
প্রথমে যেহেতু পৃথিবী সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে কাজেই পৃথিবী সৃষ্টিতে লেগেছে প্রথম ২ দিন।
শেষে যেহেতু আকাশ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে কাজেই আকাশ সৃষ্টিতে লেগেছে শেষের ২ দিন।
আর ১০ নং আয়াতের অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) সম্পাদিত হয়েছে আকাশ সৃষ্টির আগের ৪ দিনে।
ফলাফল:
১.১ এর আয়াতগুলো হতে আমরা জেনেছি:
মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে মোট সময় লেগেছ ৬ দিন এবং একাধিক কাজ সমান্তরালেও ঘটেছে। এখন ১.২ এর আয়তগুলোতে প্রাপ্ত কাজগুলোকে এই ৬ দিনের ফ্রেমের সাজানো যায় কিনা দেখি-
দিন-১ দিন-২ দিন-৩ দিন-৪ দিন-৫ দিন-৬
৯ নং আয়াত
পৃথিবী সৃষ্টি
(প্রথম ২দিনে)
১০ নং আয়াত
অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা)
(শেষের ২দিনের আগের ৪ দিনে)
১২ নং আয়াত
আকাশ সৃষ্টি
(শেষের ২ দিনে)
কাজেই আমরা বলতে পারি, পৃথিবী সৃষ্টির সাথে অন্যান্য কাজ ও সমান্তরালে সম্পাদিত হতে থাকে। ২য় দিনে পৃথিবী সৃষ্টি শেষ হয়, ৪র্থ দিনে অন্যান্য কাজ (খাদ্যের ব্যবস্থা) শেষ হয়, শেষের ২ দিনে আকাশ সৃষ্টি শেষ হয়। এভাবে পৃথিবী সৃষ্টির শুরু হতে আকাশ সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত মোট ৬ দিনই লাগে।
(২||৪)+২=৪+২=৬
সুতরাং, এখানে পরস্পরবিরোধিতার অভিযোগ একেবারেই অযৌক্তিক।
নিচের ফটো টি লক্ষ করলে আশা করি আরও ক্লিয়ার ভাবে বুজতে পারবেন।
Answered By Sakhawat Hossein

09:29 Share:
কোরানে আকাশ নিয়ে নাস্তিকদের অজ্ঞতা ও মিথ্যাচারের জবাবঃ

ছবিটি একটি মুভির দৃশ্য, এটি একটি জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকসান মুভি, নাম Avengers. যারা মুভিটি দেখেছেন তাদের নিশ্চয়ই এই দৃশ্যের কথা মনে আছে। এখানে দেখা যাচ্ছে আকাশে একটি ছিদ্র তৈরি হয়েছে। মুভিটি যখন আমরা দেখেছি, কারো কাছেই মনে হয়নি যে এটি একটি বৈজ্ঞানিক ভুল। কারন আমরা উক্ত ঘটনাটির ব্যাগ্রাউন্ড তথ্যটা জানি। মুভির কাহিনি অনুসারে আমরা দেখতে পাই এখানে দুটি ভিন্ন ওয়ার্ল্ড বা দুটি ভিন্ন ডাইমেনশনের দরজা ওপেন হয়েছে, যেখান থেকে অন্য মাত্রার প্রানীরা আমাদের মাত্রায় প্রবেশ করছে। আকাশে এটি এমনভাবে ওপেন হয়েছে যেন একটি ছিদ্র।
এবার কোরানের দুটি আয়াত দেখি,
আকাশ উম্মুক্ত হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে। (৭৮:১৯)
যখন আকাশ ছিদ্রযুক্ত হবে (কোরান ৭৭:৯)
নাস্তিকরা এই আয়াত দুটিকে বৈজ্ঞানিক ভুল বলে প্রচার করে, তাদের মতে আকাশ শক্ত পদার্থ নয়, এবং তাতে ছিদ্র বা দরজা হওয়া সম্ভব নয়।
জবাবঃ
এখানেই নাস্তিকদের চিন্তা ও জ্ঞানের দৈন্যতা। এই দুটো আয়াতে কেয়ামতের সময়ের একটা কথা বলা হয়েছে। এখানে কেয়ামতের কথা বলা হয়েছে, আমরা জানি না সেসময় পরিস্থিতি কেমন হবে। আমাদের প্রচলিত ৪ মাত্রা ব্যাতীতও আরো মাত্রা রয়েছে। সেসময় বিভিন্ন মাত্রার সংঘর্ষে আমাদের প্রচলিত মাত্রায় ছিদ্র, দরজা বা Para dimensional Door সৃষ্টি হওয়া কি অস্বাভাবিক, যেমনটা এভেঞ্জার্স মুভিতে দেখানো হয়েছে।
একিসাথে নাস্তিকরা বোধহয় জীবনেও Wormhole এর কথা শুনে নাই। আলবার্ট আইনস্টাইন ও নাথান রোজেন ১৯৩৫ সালে গবেষনা করে দেখেন যে স্থান-কালের অভ্যন্তরে এক প্রকার সেতু ও গহবরের অস্তিত্ত্ব রয়েছে। এই পথসমুহকেই বলা হয় আইনস্টাইন রোজেন সেতু বা ওয়ার্মহোল। তত্ত্বীয়ভাবে এটি এমন একটি সংক্ষিপ্ত গমনপথ, দরজা কিংবা ছিদ্র যা দ্বারা স্থান কালের ভেতর দিয়ে মহাবিশ্বের এক স্থান থেকে দীর্ঘ দূরত্বে অন্য স্থানে ভ্রমন সম্ভব করে। https://en.wikipedia.org/wiki/Wormhole
তো কেয়ামতের সময় আমাদের মহাশূন্যে ওয়ার্মহোল সৃষ্টি হওয়া কি অযৌক্তিক নাকি মুর্খ নাস্তিকদের খাতায় অবৈজ্ঞানিক ?
একিসাথে আকাশে ছিদ্র হবার আরো অনেক উপায় রয়েছে।
প্রথমে আকাশের সংজ্ঞাটা জেনে নিই, কারন অনেক মুর্খ নাস্তিক আবার কোরানকে ভুল প্রমান করতে গিয়ে বলে বসে যে, আকাশ বলে কোণ কিছুর অস্তিত্বই নেই। আকাশ শব্দটাই নাকি বৈজ্ঞানিক ভুল। আসলে তারা ইসলামকে ভুল প্রমান করতে কতখানি অজ্ঞতার পরিচয় দিতে পারে এটাই তার প্রমান।
আকাশের সংজ্ঞা হিসেবে উইকিপিডিয়াতে আছে,
The sky (or celestial dome) is everything that lies above the surface of the Earth, including the atmosphere and outer space.
https://en.wikipedia.org/wiki/Sky
অর্থাৎ পৃথিবি ব্যাতীত সব কিছুই আকাশ। পৃথিবি পৃষ্ট হতে উপরে বায়ুমন্ডল ও তার বাইরের সব কিছুই আকাশ এর অন্তর্গত।
অর্থাৎ বায়ুমন্ডলও আকাশের অন্তর্গত, এবং এই বায়ুমন্ডোলের ওজনস্তরেও এমনকি ছিদ্র হতে পারে যাকে বলা বলা হয় Ozone Depletion
https://en.wikipedia.org/wiki/Ozone_depletion
hole in the ozone layer
এখন মুর্খ নাস্তিকরা কি বলবে ? আকাশে ছিদ্র অবৈজ্ঞানিক নাকি এগুলো না জেনে কোরানকে অবৈজ্ঞানিক বলা তাদের মুর্খতা?
নাস্তিকেরা আরো একটি আয়াত নিয়ে প্রশ্ন করে,
তারা কি তাদের উপরস্থিত তাদের আকাশের পানে দৃষ্টিপাত কর না আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং সুশোভিত করেছি? তাতে কোন ছিদ্রও নেই।"(৫০:৬)
জবাবঃ
নাস্তিকদের মতে এই আয়াতে আছে আকাশে কোণ ছিদ্র নেই, তারমানে নাকি কোরানে বলা হচ্ছে আকাশ শক্ত পদার্থ।
মূলত নাস্তিকদের অনেকগুলা হাস্যকর অভিযোগের মধ্যে এটা একটা। যেখানে বলা আছে ছিদ্র নেই, সেখানে নাকি বুঝানো হয়েছে আকাশ শক্ত পদার্থ। আমি তো সমুদ্রের দিকেও তাকিয়ে কাউকে বলতে পারি, এতে কোণ ছিদ্র নেই ? এরমানে কি আমি এটা বুঝাচ্ছি সমুদ্র ধাতব কিছু ? হাস্যকর।
তাদের আনিত আকাশ সংক্রান্ত তথাকথিত ভুলের আরো কিছু আয়াত,
তিনি আকাশ স্থির রাখেন,যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান। (২২:৬৫)
আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খণ্ড তাদের উপর পতিত করব। (৩৪:৯).
জবাবঃ
সাইন্স সম্পর্কে অজ্ঞ মুর্খরা এখানেও বৈজ্ঞানিক ভুল দেখবে, বলবে আকাশ তো শক্ত পদার্থ নয়, এবং তা মানুষের মাথায় ফেলাও সম্ভব নয়। তা স্থির থাকে না ইত্যাদি।
প্রথমত, কোরান (২২:৬৫) এ অনুবাদটি তারা ভুল প্রদান করে, এখানে হবে, “তিনি আকাশকে নিবৃত রাখেন, যাতে তা ভূপৃষ্টে পতিত না হয়।” সহী ইন্টারন্যাশনাল থেকে অনুবাদ চেক করুন https://quran.com/22/65
নিবৃত আর স্থির রাখা দুটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
যাক গে, আমরা আগেই জেনেছি আকাশ বলতে কি বোঝা যায়, ভূপৃষ্ট ব্যাতীত সকল কিছুই অর্থাৎ গ্রহ, নক্ষত্র, বা স্পেস পার্টিকেল সব কিছুই আকাশের অন্তর্গত। আর আমরা জানি যে গ্রাভিটেশনাল ফোর্স দ্বারা এই সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত। যদি তা না হত তবে যেকোন সময় গ্রহ উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হত, যেকোন গ্রহ বা গ্রহানু আমাদের পৃথিবীর উপর এসে পড়তে পারত ও পৃথিবী ধংস হয়ে যেত। তাই কোরানে যথার্থই বলা হয়েছে, তিনি আকাশকে নিবৃত রাখেন যাতে তা আমাদের উপরে এসে না পড়ে।
একিসাথে কেয়ামতের সময় ন্যাচারাল অর্ডার ব্যাহত হবে। মহাবিশ্ব তখন সংকুচিত হবে, ধংস হবে। তাই দ্বিতীয় আয়াতটি কোরান (৩৪:৯) অনুসারে আকাশের কোণ অংশ অর্থাৎ গ্রহানু, উল্কা বা মহাবৈশ্বিক পার্টিকেল পৃথিবীর উপর আচড়ে পড়া খুবই যুক্তিযুক্ত। কোরানও সেটাই বলেছে।
একিসাথে আমরা যদি সহী ইনটারন্যাশনাল এর অনুবাদ দেখি, তো দেখতে পাব, কথাটি আরো স্পষ্ট, এখানে বলা আছে,
let fall upon them fragments from the sky
https://quran.com/34/9
অর্থাৎ আকাশের টুকরো নয় বরং আকাশ থেকে টুকরো ফেলা হবে , যেটা স্পষ্টভাবে গ্রহানু বা Asteroid কে নির্দেশ করে।
Asteroid
নাস্তিকদের অভিযুক্ত আয়াত,
"আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে,"(২১:৩২)
জবাবঃ
আকাশ সুরক্ষিত ছাদ এটা নাকি আবার বৈজ্ঞানিক ভুল। মুর্খরা ছাদ মানেই কঠিন কিছু ধরে নিয়েছে। ছাদ মানে এমন কিছু যা আমাদের রক্ষা করে উপর হতে, এবং নিসন্দেহে আকাশ আমাদের সুরক্ষিত ছাদও। আমাদের বায়ুমন্ডল এর ওজনস্তর ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্নি থেকে আমাদের প্রতিনিয়ত রক্ষা করে। অর্থাৎ আকাশ আমাদের নিকট একিসাথে সুরক্ষার ছাদও। আমরা প্রায়শই পরিবারের অভিভাবককে, বিশেষ করে বাবাকে বলি, তিনি পরিবারের সুরক্ষার ছাদ কিংবা ঢাল। কারন তিনি বিপদ আপদ থেকে পরিবারকে রক্ষা করেন। এরমানে কি আমরা বুঝাই যে বাবা ধাতব পদার্থের তৈরি। চিন্তা চেতনায় প্রতিবন্ধী নাস্তিকদের থেকে এমন ধারনাই আশা করা যায়।
সেইসাথে নাস্তিকদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলাম, পারলে কোরান থেকে একটা মাত্র লাইন বের করে দেখাক যেখানে লেখা আছে আকাশ শক্ত পদার্থ দিয়ে তৈরি। ওপেন চ্যালেঞ্জ।
এরপরে কোরানে আকাশ সংক্রান্ত সবচেয়ে বহুল প্রচলিত অভিযোগ, সেটি হচ্ছে ৭ আকাশ।
৭ আকাশের বক্তব্য রয়েছে, কোরান (৬৭:৩-৫) (৭১: ১৫-১৬) (৪১:১২) সহ বিভিন্ন জায়গায়।
জবাবঃ
৭ আকাশ মোটেও কোণ বৈজ্ঞানিক ভুল নয়, বরং এটি কোরানের একটি মিরাকল। আকাশের সংজ্ঞা আমরা আগেই পেয়েছি, পৃথিবি ব্যাতীত সব কিছুই আকাশ। অর্থাৎ পুরো আকাশ বলতে বুঝায় পৃথিবী ব্যাতীত পুরো মহাবিশ্বকে। আর কোয়ান্টাম সাইন্স অনুসারে আমাদের এরকম মহাবিশ্বই একমাত্র নয়, বরং রয়েছে একাধিক। এখানে চলে আসে মাল্টিভার্স থিওরী, যা বলে আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্ব একটি নয়, অসংখ্য। আমাদের মহাবিশ্ব যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে স্থান-কালের শূন্যতার ভিতর দিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে, তবে এই পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু একাধিকবার ঘটতে পারে, এবং হয়ত বাস্তবে ঘটেছেও। ধারণা করা হয় যে, ইনফ্লেশনের মাধ্যমে সম্প্রসারিত মহাজাগতিক বুদ্বুদ থেকে আমাদের মহাবিশ্বের মতই অসংখ্য মহাবিশ্ব তৈরী হয়েছে, যেগুলো একটা অপরটা থেকে সংস্পর্শবিহীন অবস্থায় দূরে সরে গেছে। এ ধরনের অসংখ্য মহাবিশ্বের একটিতেই হয়ত আমরা অবস্থান করছি। আর এরকম অগনিত মহাবিশ্ব বা আকাশ রয়েছে আমাদের দৃশ্যমান আকাশ বা মহাবিশ্বের বাইরে।
তবে এখানে আবার নাস্তিকরা প্রশ্ন করবে যে, মাল্টিভার্স তত্ব অনুসারে মহাবিশ্ব ৭ টি নয়, বরং অগনিত। কিন্তু কোরান তো বলল মাত্র ৭ টির কথা ?
এখানে জবাব হচ্ছে, আরবীতে ৭ শব্দটির একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে আরবীতে ৭ অগনিত সংখ্যাকে নির্দেশ করে।
যেমন (Quran 65:12 ) এ Dr. Kamal Omar অনুবাদ করেছেন,
65:12
Allah is That Who created seven (or many) heavens and of the earth the like thereof (i.e., seven or many).
Dr. Mohammad Tahir-ul-Qadri Quran 71:15 এ অনুবাদ করেছেন,
Have you not seen how Allah has created seven (or many) heavenly spheres corresponding to one another (layer upon layer)?
অর্থাৎ তারা উভয়ই ৭ কে শুধু সেভেন নয়, বরং Many ও অনুবাদ করেছেন।
একিসাথে ৭ আকাশের জবাব আরো একভাবে দেয়া যায় তা হচ্ছে কোরানে এখানে যে শব্দটি এসেছে তা হচ্ছে ‘সামাওয়াত’ ‘সামাওয়াতিন’ ইত্যাদি, প্রচলিত সকল অনুবাদকই যার অনুবাদ Sky নয় বরং Heaven করেছেন।
http://corpus.quran.com/translation.jsp?chapter=67&verse=3
তাই আরেকভাবে বলা যায়, এখানে ৭ স্বর্গের কথা বলা হয়েছে, আমাদের আকাশের কথা নয়। আর স্বর্গ নরক যেহেতু আপাতদৃষ্টিতে দৃশ্যমান নয় তাই এটী ভুল বা শুদ্ধ প্রমান অপ্রমানের কোণ উপায়ও নেই।


Answerd by  Md Rafat Rahman

কুরআনে আকাশকে শক্ত পদার্থের তৈরি বলেছে।

Posted by Adam Simon  |  No comments

কোরানে আকাশ নিয়ে নাস্তিকদের অজ্ঞতা ও মিথ্যাচারের জবাবঃ

ছবিটি একটি মুভির দৃশ্য, এটি একটি জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকসান মুভি, নাম Avengers. যারা মুভিটি দেখেছেন তাদের নিশ্চয়ই এই দৃশ্যের কথা মনে আছে। এখানে দেখা যাচ্ছে আকাশে একটি ছিদ্র তৈরি হয়েছে। মুভিটি যখন আমরা দেখেছি, কারো কাছেই মনে হয়নি যে এটি একটি বৈজ্ঞানিক ভুল। কারন আমরা উক্ত ঘটনাটির ব্যাগ্রাউন্ড তথ্যটা জানি। মুভির কাহিনি অনুসারে আমরা দেখতে পাই এখানে দুটি ভিন্ন ওয়ার্ল্ড বা দুটি ভিন্ন ডাইমেনশনের দরজা ওপেন হয়েছে, যেখান থেকে অন্য মাত্রার প্রানীরা আমাদের মাত্রায় প্রবেশ করছে। আকাশে এটি এমনভাবে ওপেন হয়েছে যেন একটি ছিদ্র।
এবার কোরানের দুটি আয়াত দেখি,
আকাশ উম্মুক্ত হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে। (৭৮:১৯)
যখন আকাশ ছিদ্রযুক্ত হবে (কোরান ৭৭:৯)
নাস্তিকরা এই আয়াত দুটিকে বৈজ্ঞানিক ভুল বলে প্রচার করে, তাদের মতে আকাশ শক্ত পদার্থ নয়, এবং তাতে ছিদ্র বা দরজা হওয়া সম্ভব নয়।
জবাবঃ
এখানেই নাস্তিকদের চিন্তা ও জ্ঞানের দৈন্যতা। এই দুটো আয়াতে কেয়ামতের সময়ের একটা কথা বলা হয়েছে। এখানে কেয়ামতের কথা বলা হয়েছে, আমরা জানি না সেসময় পরিস্থিতি কেমন হবে। আমাদের প্রচলিত ৪ মাত্রা ব্যাতীতও আরো মাত্রা রয়েছে। সেসময় বিভিন্ন মাত্রার সংঘর্ষে আমাদের প্রচলিত মাত্রায় ছিদ্র, দরজা বা Para dimensional Door সৃষ্টি হওয়া কি অস্বাভাবিক, যেমনটা এভেঞ্জার্স মুভিতে দেখানো হয়েছে।
একিসাথে নাস্তিকরা বোধহয় জীবনেও Wormhole এর কথা শুনে নাই। আলবার্ট আইনস্টাইন ও নাথান রোজেন ১৯৩৫ সালে গবেষনা করে দেখেন যে স্থান-কালের অভ্যন্তরে এক প্রকার সেতু ও গহবরের অস্তিত্ত্ব রয়েছে। এই পথসমুহকেই বলা হয় আইনস্টাইন রোজেন সেতু বা ওয়ার্মহোল। তত্ত্বীয়ভাবে এটি এমন একটি সংক্ষিপ্ত গমনপথ, দরজা কিংবা ছিদ্র যা দ্বারা স্থান কালের ভেতর দিয়ে মহাবিশ্বের এক স্থান থেকে দীর্ঘ দূরত্বে অন্য স্থানে ভ্রমন সম্ভব করে। https://en.wikipedia.org/wiki/Wormhole
তো কেয়ামতের সময় আমাদের মহাশূন্যে ওয়ার্মহোল সৃষ্টি হওয়া কি অযৌক্তিক নাকি মুর্খ নাস্তিকদের খাতায় অবৈজ্ঞানিক ?
একিসাথে আকাশে ছিদ্র হবার আরো অনেক উপায় রয়েছে।
প্রথমে আকাশের সংজ্ঞাটা জেনে নিই, কারন অনেক মুর্খ নাস্তিক আবার কোরানকে ভুল প্রমান করতে গিয়ে বলে বসে যে, আকাশ বলে কোণ কিছুর অস্তিত্বই নেই। আকাশ শব্দটাই নাকি বৈজ্ঞানিক ভুল। আসলে তারা ইসলামকে ভুল প্রমান করতে কতখানি অজ্ঞতার পরিচয় দিতে পারে এটাই তার প্রমান।
আকাশের সংজ্ঞা হিসেবে উইকিপিডিয়াতে আছে,
The sky (or celestial dome) is everything that lies above the surface of the Earth, including the atmosphere and outer space.
https://en.wikipedia.org/wiki/Sky
অর্থাৎ পৃথিবি ব্যাতীত সব কিছুই আকাশ। পৃথিবি পৃষ্ট হতে উপরে বায়ুমন্ডল ও তার বাইরের সব কিছুই আকাশ এর অন্তর্গত।
অর্থাৎ বায়ুমন্ডলও আকাশের অন্তর্গত, এবং এই বায়ুমন্ডোলের ওজনস্তরেও এমনকি ছিদ্র হতে পারে যাকে বলা বলা হয় Ozone Depletion
https://en.wikipedia.org/wiki/Ozone_depletion
hole in the ozone layer
এখন মুর্খ নাস্তিকরা কি বলবে ? আকাশে ছিদ্র অবৈজ্ঞানিক নাকি এগুলো না জেনে কোরানকে অবৈজ্ঞানিক বলা তাদের মুর্খতা?
নাস্তিকেরা আরো একটি আয়াত নিয়ে প্রশ্ন করে,
তারা কি তাদের উপরস্থিত তাদের আকাশের পানে দৃষ্টিপাত কর না আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং সুশোভিত করেছি? তাতে কোন ছিদ্রও নেই।"(৫০:৬)
জবাবঃ
নাস্তিকদের মতে এই আয়াতে আছে আকাশে কোণ ছিদ্র নেই, তারমানে নাকি কোরানে বলা হচ্ছে আকাশ শক্ত পদার্থ।
মূলত নাস্তিকদের অনেকগুলা হাস্যকর অভিযোগের মধ্যে এটা একটা। যেখানে বলা আছে ছিদ্র নেই, সেখানে নাকি বুঝানো হয়েছে আকাশ শক্ত পদার্থ। আমি তো সমুদ্রের দিকেও তাকিয়ে কাউকে বলতে পারি, এতে কোণ ছিদ্র নেই ? এরমানে কি আমি এটা বুঝাচ্ছি সমুদ্র ধাতব কিছু ? হাস্যকর।
তাদের আনিত আকাশ সংক্রান্ত তথাকথিত ভুলের আরো কিছু আয়াত,
তিনি আকাশ স্থির রাখেন,যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান। (২২:৬৫)
আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খণ্ড তাদের উপর পতিত করব। (৩৪:৯).
জবাবঃ
সাইন্স সম্পর্কে অজ্ঞ মুর্খরা এখানেও বৈজ্ঞানিক ভুল দেখবে, বলবে আকাশ তো শক্ত পদার্থ নয়, এবং তা মানুষের মাথায় ফেলাও সম্ভব নয়। তা স্থির থাকে না ইত্যাদি।
প্রথমত, কোরান (২২:৬৫) এ অনুবাদটি তারা ভুল প্রদান করে, এখানে হবে, “তিনি আকাশকে নিবৃত রাখেন, যাতে তা ভূপৃষ্টে পতিত না হয়।” সহী ইন্টারন্যাশনাল থেকে অনুবাদ চেক করুন https://quran.com/22/65
নিবৃত আর স্থির রাখা দুটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
যাক গে, আমরা আগেই জেনেছি আকাশ বলতে কি বোঝা যায়, ভূপৃষ্ট ব্যাতীত সকল কিছুই অর্থাৎ গ্রহ, নক্ষত্র, বা স্পেস পার্টিকেল সব কিছুই আকাশের অন্তর্গত। আর আমরা জানি যে গ্রাভিটেশনাল ফোর্স দ্বারা এই সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত। যদি তা না হত তবে যেকোন সময় গ্রহ উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হত, যেকোন গ্রহ বা গ্রহানু আমাদের পৃথিবীর উপর এসে পড়তে পারত ও পৃথিবী ধংস হয়ে যেত। তাই কোরানে যথার্থই বলা হয়েছে, তিনি আকাশকে নিবৃত রাখেন যাতে তা আমাদের উপরে এসে না পড়ে।
একিসাথে কেয়ামতের সময় ন্যাচারাল অর্ডার ব্যাহত হবে। মহাবিশ্ব তখন সংকুচিত হবে, ধংস হবে। তাই দ্বিতীয় আয়াতটি কোরান (৩৪:৯) অনুসারে আকাশের কোণ অংশ অর্থাৎ গ্রহানু, উল্কা বা মহাবৈশ্বিক পার্টিকেল পৃথিবীর উপর আচড়ে পড়া খুবই যুক্তিযুক্ত। কোরানও সেটাই বলেছে।
একিসাথে আমরা যদি সহী ইনটারন্যাশনাল এর অনুবাদ দেখি, তো দেখতে পাব, কথাটি আরো স্পষ্ট, এখানে বলা আছে,
let fall upon them fragments from the sky
https://quran.com/34/9
অর্থাৎ আকাশের টুকরো নয় বরং আকাশ থেকে টুকরো ফেলা হবে , যেটা স্পষ্টভাবে গ্রহানু বা Asteroid কে নির্দেশ করে।
Asteroid
নাস্তিকদের অভিযুক্ত আয়াত,
"আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে,"(২১:৩২)
জবাবঃ
আকাশ সুরক্ষিত ছাদ এটা নাকি আবার বৈজ্ঞানিক ভুল। মুর্খরা ছাদ মানেই কঠিন কিছু ধরে নিয়েছে। ছাদ মানে এমন কিছু যা আমাদের রক্ষা করে উপর হতে, এবং নিসন্দেহে আকাশ আমাদের সুরক্ষিত ছাদও। আমাদের বায়ুমন্ডল এর ওজনস্তর ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্নি থেকে আমাদের প্রতিনিয়ত রক্ষা করে। অর্থাৎ আকাশ আমাদের নিকট একিসাথে সুরক্ষার ছাদও। আমরা প্রায়শই পরিবারের অভিভাবককে, বিশেষ করে বাবাকে বলি, তিনি পরিবারের সুরক্ষার ছাদ কিংবা ঢাল। কারন তিনি বিপদ আপদ থেকে পরিবারকে রক্ষা করেন। এরমানে কি আমরা বুঝাই যে বাবা ধাতব পদার্থের তৈরি। চিন্তা চেতনায় প্রতিবন্ধী নাস্তিকদের থেকে এমন ধারনাই আশা করা যায়।
সেইসাথে নাস্তিকদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলাম, পারলে কোরান থেকে একটা মাত্র লাইন বের করে দেখাক যেখানে লেখা আছে আকাশ শক্ত পদার্থ দিয়ে তৈরি। ওপেন চ্যালেঞ্জ।
এরপরে কোরানে আকাশ সংক্রান্ত সবচেয়ে বহুল প্রচলিত অভিযোগ, সেটি হচ্ছে ৭ আকাশ।
৭ আকাশের বক্তব্য রয়েছে, কোরান (৬৭:৩-৫) (৭১: ১৫-১৬) (৪১:১২) সহ বিভিন্ন জায়গায়।
জবাবঃ
৭ আকাশ মোটেও কোণ বৈজ্ঞানিক ভুল নয়, বরং এটি কোরানের একটি মিরাকল। আকাশের সংজ্ঞা আমরা আগেই পেয়েছি, পৃথিবি ব্যাতীত সব কিছুই আকাশ। অর্থাৎ পুরো আকাশ বলতে বুঝায় পৃথিবী ব্যাতীত পুরো মহাবিশ্বকে। আর কোয়ান্টাম সাইন্স অনুসারে আমাদের এরকম মহাবিশ্বই একমাত্র নয়, বরং রয়েছে একাধিক। এখানে চলে আসে মাল্টিভার্স থিওরী, যা বলে আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্ব একটি নয়, অসংখ্য। আমাদের মহাবিশ্ব যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে স্থান-কালের শূন্যতার ভিতর দিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে, তবে এই পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু একাধিকবার ঘটতে পারে, এবং হয়ত বাস্তবে ঘটেছেও। ধারণা করা হয় যে, ইনফ্লেশনের মাধ্যমে সম্প্রসারিত মহাজাগতিক বুদ্বুদ থেকে আমাদের মহাবিশ্বের মতই অসংখ্য মহাবিশ্ব তৈরী হয়েছে, যেগুলো একটা অপরটা থেকে সংস্পর্শবিহীন অবস্থায় দূরে সরে গেছে। এ ধরনের অসংখ্য মহাবিশ্বের একটিতেই হয়ত আমরা অবস্থান করছি। আর এরকম অগনিত মহাবিশ্ব বা আকাশ রয়েছে আমাদের দৃশ্যমান আকাশ বা মহাবিশ্বের বাইরে।
তবে এখানে আবার নাস্তিকরা প্রশ্ন করবে যে, মাল্টিভার্স তত্ব অনুসারে মহাবিশ্ব ৭ টি নয়, বরং অগনিত। কিন্তু কোরান তো বলল মাত্র ৭ টির কথা ?
এখানে জবাব হচ্ছে, আরবীতে ৭ শব্দটির একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে আরবীতে ৭ অগনিত সংখ্যাকে নির্দেশ করে।
যেমন (Quran 65:12 ) এ Dr. Kamal Omar অনুবাদ করেছেন,
65:12
Allah is That Who created seven (or many) heavens and of the earth the like thereof (i.e., seven or many).
Dr. Mohammad Tahir-ul-Qadri Quran 71:15 এ অনুবাদ করেছেন,
Have you not seen how Allah has created seven (or many) heavenly spheres corresponding to one another (layer upon layer)?
অর্থাৎ তারা উভয়ই ৭ কে শুধু সেভেন নয়, বরং Many ও অনুবাদ করেছেন।
একিসাথে ৭ আকাশের জবাব আরো একভাবে দেয়া যায় তা হচ্ছে কোরানে এখানে যে শব্দটি এসেছে তা হচ্ছে ‘সামাওয়াত’ ‘সামাওয়াতিন’ ইত্যাদি, প্রচলিত সকল অনুবাদকই যার অনুবাদ Sky নয় বরং Heaven করেছেন।
http://corpus.quran.com/translation.jsp?chapter=67&verse=3
তাই আরেকভাবে বলা যায়, এখানে ৭ স্বর্গের কথা বলা হয়েছে, আমাদের আকাশের কথা নয়। আর স্বর্গ নরক যেহেতু আপাতদৃষ্টিতে দৃশ্যমান নয় তাই এটী ভুল বা শুদ্ধ প্রমান অপ্রমানের কোণ উপায়ও নেই।


Answerd by  Md Rafat Rahman

09:25 Share:
নাস্তিকরা প্রায়শই বলে থাকে আল কোরআন যদি আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে তাহলে সুরাহ ফাতিহা কার বাণী? আমি সেই সকল নাস্তিক তথা ইসলাম বিদ্ধেশীদের বলব, হে মুত্রমনা!! পুরো কোরআন পড়ে তারপর এ প্রশ্ন করুন। এক/দুই লাইন পড়ে কোরআনের ভুল ধরা আর পাগলের প্রলাপের সাথে কোন প্রাথর্ক নেই। আল্লাহ সুরাহ ফাতিহা তথা এই সাত আয়াতকে এবং সম্পুর্ন কোরআনকে আলাদা আলাদা ভাবেই মেনশন করেছেন। আল্লাহ বলেন,
وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ
(Muhiuddin Khan)
আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।
-Sura Al-Hijr, Ayah ৮৭
উপরোক্ত আয়াতই প্রমান করে সুরাহ ফাতিহাকে আল্লাহ তায়ালা ভিন্ন ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। বিভিন্ন হাদিস ঘেটেও এটাই প্রতিয়মান হয় যে, মুহাম্মদ সা: বলেছেন এই সাত আয়াত বা সুরাহ ফাতিহার মত সুরাহ আর কোন নবী বা রাসুলকে দেওয়া হয় নাই।
এটি হচ্ছে আল্লাহর তরফ থেকে মুহাম্মদ সা: এর প্রতি একটি বিশেষ উপহার স্বরূপ।(তাফসীর ইবনে কাসির)
সুরাহ ফাতিহা থেকে আরো কিছু প্রতিয়মান হয় যে, এই সুরাহটি হচ্ছে একটি application form এর মত। আমরা যখন কোন অফিসে চাকরীর জন্য আবেদন করি তখন অফিস কতৃপক্ষ কিন্তুএকটি application form দেয় যা আমরা শধুমাত্র পুরন বা fill up করে দেইমাত্র। সেই রকম application form ই হচ্ছে সুরাহ ফাতিহা। আর কিভাবে আল্লাহর কাছে আমরা আবেদন করব সেই ফর্মুলা আমাদের সুরাহ ফাতিহার মাধ্যমে বাতলে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
সেই জন্য আল্লাহ তায়ালা সুরাহ ফাতিহাকে আলাদা ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। যাতে আল্লাহর নিকট আমাদের চাওয়া এক ও অভিন্ন হয়।
কোরআনের সুরাহ বাকারা থেকে নাস পর্যন্ত কোথাও এরকম ভাবে বলা নাই যেভাবে সুরাহ ফাতিহার মধ্যে বলা আছে। পাশাপাশি সুরাহ ফাতিহা ও কোরআনের অন্য যে কোন সুরাহ এর আয়াত রাখলেই সহজেই সেটা বোধগম্য হবে ইনশাল্লাহ।যেমন,
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
(Muhiuddin Khan)
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
-Sura Al-Fatihah, Ayah ১
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
(Muhiuddin Khan)
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
-Sura Al-Fatihah, Ayah ২
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
(Muhiuddin Khan)
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
-Sura Al-Fatihah, Ayah ৩
******************************
(Muhiuddin Khan)
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
-Sura Al-Ikhlas, Ayah ১
উপরোক্ত আয়াতগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সুরাহ ফাতিহাতে *বল* শব্দটি ব্যবহার করা হয় নি কিন্তু সুরাহ ইখলাসের শুরুতেই *বল* শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তার মানে দাড়াচ্ছে, সুরাহ ফাতিহা হচ্ছে আমাদের ভাষ্য কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন আর বাকি সুরাহগুলো স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার বাণী। এ থেকে আরো প্রতিয়মান হয় যে, সুরাহ ফাতিহা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই জন্যই দিয়েছেন যাতে আমরা সহজেই আল্লাহর কাছে চাইতে পারি। আর এই চাওয়াটাই একটি application form এর মত করে আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন।
কাজেই নাস্তিকদের এই প্রশ্ন অমুলক যে, সুরাহ ফাতিহার মাধ্যমে আল্লাহই আবার অন্য কারো নিকট চাইছে বা আবেদন করছে।(নাউজু বিল্লাহ)
সুতরাং নাস্তিকদের এই দাবী ভিত্তিহীন বৈ আর কিছুই না।


উত্তর দিয়েছেন
সোহেল রানা
নাস্তিকদের জবাব

সূরা ফাতিহা প্রমাণ করে কোরআন মানব রচিত।এর কোন আয়াত আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিন?

Posted by Adam Simon  |  No comments

নাস্তিকরা প্রায়শই বলে থাকে আল কোরআন যদি আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে তাহলে সুরাহ ফাতিহা কার বাণী? আমি সেই সকল নাস্তিক তথা ইসলাম বিদ্ধেশীদের বলব, হে মুত্রমনা!! পুরো কোরআন পড়ে তারপর এ প্রশ্ন করুন। এক/দুই লাইন পড়ে কোরআনের ভুল ধরা আর পাগলের প্রলাপের সাথে কোন প্রাথর্ক নেই। আল্লাহ সুরাহ ফাতিহা তথা এই সাত আয়াতকে এবং সম্পুর্ন কোরআনকে আলাদা আলাদা ভাবেই মেনশন করেছেন। আল্লাহ বলেন,
وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ
(Muhiuddin Khan)
আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।
-Sura Al-Hijr, Ayah ৮৭
উপরোক্ত আয়াতই প্রমান করে সুরাহ ফাতিহাকে আল্লাহ তায়ালা ভিন্ন ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। বিভিন্ন হাদিস ঘেটেও এটাই প্রতিয়মান হয় যে, মুহাম্মদ সা: বলেছেন এই সাত আয়াত বা সুরাহ ফাতিহার মত সুরাহ আর কোন নবী বা রাসুলকে দেওয়া হয় নাই।
এটি হচ্ছে আল্লাহর তরফ থেকে মুহাম্মদ সা: এর প্রতি একটি বিশেষ উপহার স্বরূপ।(তাফসীর ইবনে কাসির)
সুরাহ ফাতিহা থেকে আরো কিছু প্রতিয়মান হয় যে, এই সুরাহটি হচ্ছে একটি application form এর মত। আমরা যখন কোন অফিসে চাকরীর জন্য আবেদন করি তখন অফিস কতৃপক্ষ কিন্তুএকটি application form দেয় যা আমরা শধুমাত্র পুরন বা fill up করে দেইমাত্র। সেই রকম application form ই হচ্ছে সুরাহ ফাতিহা। আর কিভাবে আল্লাহর কাছে আমরা আবেদন করব সেই ফর্মুলা আমাদের সুরাহ ফাতিহার মাধ্যমে বাতলে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
সেই জন্য আল্লাহ তায়ালা সুরাহ ফাতিহাকে আলাদা ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। যাতে আল্লাহর নিকট আমাদের চাওয়া এক ও অভিন্ন হয়।
কোরআনের সুরাহ বাকারা থেকে নাস পর্যন্ত কোথাও এরকম ভাবে বলা নাই যেভাবে সুরাহ ফাতিহার মধ্যে বলা আছে। পাশাপাশি সুরাহ ফাতিহা ও কোরআনের অন্য যে কোন সুরাহ এর আয়াত রাখলেই সহজেই সেটা বোধগম্য হবে ইনশাল্লাহ।যেমন,
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
(Muhiuddin Khan)
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
-Sura Al-Fatihah, Ayah ১
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
(Muhiuddin Khan)
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
-Sura Al-Fatihah, Ayah ২
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
(Muhiuddin Khan)
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
-Sura Al-Fatihah, Ayah ৩
******************************
(Muhiuddin Khan)
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
-Sura Al-Ikhlas, Ayah ১
উপরোক্ত আয়াতগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সুরাহ ফাতিহাতে *বল* শব্দটি ব্যবহার করা হয় নি কিন্তু সুরাহ ইখলাসের শুরুতেই *বল* শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তার মানে দাড়াচ্ছে, সুরাহ ফাতিহা হচ্ছে আমাদের ভাষ্য কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন আর বাকি সুরাহগুলো স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার বাণী। এ থেকে আরো প্রতিয়মান হয় যে, সুরাহ ফাতিহা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই জন্যই দিয়েছেন যাতে আমরা সহজেই আল্লাহর কাছে চাইতে পারি। আর এই চাওয়াটাই একটি application form এর মত করে আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন।
কাজেই নাস্তিকদের এই প্রশ্ন অমুলক যে, সুরাহ ফাতিহার মাধ্যমে আল্লাহই আবার অন্য কারো নিকট চাইছে বা আবেদন করছে।(নাউজু বিল্লাহ)
সুতরাং নাস্তিকদের এই দাবী ভিত্তিহীন বৈ আর কিছুই না।


উত্তর দিয়েছেন
সোহেল রানা

16:00 Share:
কিবলা নিয়ে নাস্তিকদের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের জবাবঃ
কিবলা নিয়ে যাবতীয় বিভ্রান্তির অবসান:
কিবলা আসলে কোন দিকে হবে- এটা বের করার বেশ কিছু পদ্ধতি আছে। আমি সেদিকে যাবো না। শুধু main concept-টা জেনে রাখুন- যে দিক দিয়ে কা’বা সবচেয়ে কাছে সেটাই আপনার কিবলা। পৃথিবী গোলাকার বিধায় (পুরোপুরি গোল না), কোন একটা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন উপায়ে আপনি কা’বায় যেতে পারবেন। কিন্তু এদের মধ্যে সর্বনিম্ন দূরত্ব যে দিকে সেটাই হবে আপনার কাঙ্খিত কিবলা। কয়েকটা complicated উদাহরণ দেখা যাক।
কাবাকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর মানচিত্র এটি আর গোলাকার হবার কারণে উত্তর আমেরিকার অবস্থান কাবার সাপেক্ষে বাস্তবে কিভাবে সেটা দেখুন। এখন কিন্তু কিবলা আর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নেই। কিবলা এখন উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে হয়ে গেছে। মনে হয় যে কিবলা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কিন্তু বাস্তবে সেটা উলটে যায়, হয়ে যায় উত্তর পূর্ব দিকে। ভৌগলিক দিকগুলো দেখিয়ে দেয়া হয়েছে এখানে তাই সমস্যা হবার কথা না। আলাস্কা থেকে কাবা বরাবর সরলরেখা টানুন সেটা আপনাকে ভৌগলিক উত্তর দেখাবে তার মানে আলাস্কার কিবলা উত্তর দিকে। আবার কানাডা আর আমেরিকার উত্তর দিকে উত্তর-পূর্ব বরাবর হয়। এই ম্যাপ দিয়েও আসলে ১০০% পরিস্কার ধারনা পাওয়া সম্ভব না কারন এটা তিন মাত্রার ব্যাপার আর ২ মাত্রায় তাকে দেখানো পুরোপুরি সম্ভব না।
তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়। পৃথিবী যদি গোলাকার হয় তাহলে তো পূর্ব দিক দিয়েও যেখানে যাওয়া যাবে, পশ্চিম দিক দিয়েও সেখানে যাওয়া যাবে। যেমন USA থেকে পশ্চিম দিকে এশিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়া যাবে আবার পূর্ব দিকে সরাসরি ইউরোপ হয়েও যাওয়া যাবে। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে আমি পূর্ব বা পশ্চিম যেদিকেই মুখ ফিরাই না কেন কিবলার দিকেই থাকবে। কিন্তু মুখ ফেরানো থাকলেই হবে না। USA থেকে ইউরোপ যাত্রার ক্ষেত্রে পূর্ব দিকেই যাওয়া হয় কারন সেদিকে গেলে কম দূরত্ব যেতে হবে। কিবলার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। ঐ যে একটু আগে বললাম যেদিকে মুখ ফেরালে কা’বা ও আপনার বর্তমান দূরত্ব থাকে সবচেয়ে কম সেদিকেই মুখ ফেরাতে হবে।
যদি মেরুতে থাকি তাহলে কোন দিকে মুখ ফেরাতে হবে? উত্তর মেরুতে গেলে সব দিকেই দক্ষিণ আবার দক্ষিণ মেরুতে গেলে সবদিকেই উত্তর। এবার আরেকবার দ্বিতীয় ম্যাপটি দেখুন। সেখান থেকে কি বোঝা যায় না কোন দিকে মুখ ফেরাতে হবে? উত্তর মেরুবিন্দুতে যখন থাকবেন তখন কোন দিকের খোঁজ করা বোকামি। আপনাকে দেখতে হবে কোন দিক থেকে কা’বা সবচেয়ে কাছে, সেটাই আপনার কিবলা। সব দিকে দিয়েই আপনি যেতে পারবেন কা’বায় কিন্তু দিকের সাথে সর্বনিম্ন দূরত্বের ব্যাপারটাও বলেছি। মেরুতে সাধারন কম্পাস কাজ করবে না। সেখানে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে Gyro compass (চুম্বকবিহীন একধরনের কম্পাস)[১১] এবং তারার অবস্থান হিসাব করে কিবলা ঠিক করতে হবে। একই নিয়ম দক্ষিণ মেরুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
আরেকটা ব্যাপার। অনেকেই গাড়ি, বাস বা ট্রেনে নামাজ পড়েন। তারা কি করবেন? রাস্তা তো আঁকাবাঁকা। এ ক্ষেত্রে নামাজ শুরুর সময়কার কিবলা ঠিক রাখলেই হবে। নামাজরত অবস্থায় কিবলা পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে রাস্তার কারণে সেটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই। আর আজকাল অনেক অ্যাপ্লিকেশান/ সফটওয়্যার আছে যা দিয়ে সহজেই কিবলার দিক বের করা যায়। তবে যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে সুবিধামত যে কোন দিকে ফিরে পড়লেই সালাত আদায় হয়ে যাবে।[১৪]
এবার আসি wikiislam-এর বিখ্যাত সেই বিভ্রান্তিকর ছবি প্রসঙ্গে। নিচের ছবিটাই হল সেই বিভ্রান্তিকর ছবি-
কেস ১: তাদের দাবি- যেহেতু পৃথিবী গোলাকার তাই একেবারে কা’বার কাছাকাছি ছাড়া যে কোন পয়েন্ট থেকে কিবলার দিকে মুখ করার অর্থ আকাশের দিকে মুখ করা! নাস্তিক ভাইদের কাছে তাহলে একটা প্রশ্ন করি। আমাদের দেশ থেকে আমেরিকা আসলে কোন দিকে? আপনি যদি বলেন পশ্চিম দিকে, তাহলে কিন্তু ভুল বলছেন। কারণ আপনি সামনের দিকে আঙ্গুল তুললে সেটা তো হবে আকাশের দিকে, কারণ পৃথিবী তো গোলাকার!! আশা করি উত্তর পেয়ে গেছেন। আমরা যে কোন direction-ই চিন্তা করি পৃথিবীর surface বরাবর, আসমান বরাবর নয়।
কেস ২: এখানে তারা দাবি করে কা’বার একদম opposite-এ কিবলা হবে মাটির ভেতর থেকে নিচে। তাদের এই দাবির সাথে আরেকটু যোগ করি। শুধু একদম বিপরীত পাশে না, আরও অনেক জায়গা থেকেই কিবলা মাটির দিক থেকে নিচে। 'প্রকৃতপক্ষে' কা’বামুখী হতে হলে বাংলাদেশের মানুষদের আকাশের দিকে পা তুলে মাটির দিকে মুখ করতে হবে। এটা একটা উদ্ভট ও অসম্ভব ব্যাপার। আল্লাহ্‌ কারও সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু চাপান না এবং মানুষকে অদ্ভুতভাবে কষ্ট দেওয়াও আল্লাহর মর্জি না। বরং আল্লাহ্‌ মানুষের অন্তর দেখেন এবং তার সাধ্যের ভিতরে কাজ দেন। এ কারণে কা’বামুখী হবার জন্য নিকটতম রৈখিক দিকে (যেমন- বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমে) মুখ করতে হয়। বোধসম্পন্নরা এখানে আল্লাহর অনুগ্রহ খুঁজে পায় এবং বক্রহৃদয়ের লোকেরা এখান থেকে আল্লাহ্‌ কিংবা রাসূল (সা)-এর ভুল খুঁজে পায়।
কেস ৩: এই ছবিতে তাদের দাবি যেহেতু পৃথিবী গোলাকার, সেহেতু কা’বার দিকে মুখ ফেরার অর্থ হল একদিক থেকে কা’বাকে পশ্চাৎদেশ দেখানো! একই কথা কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কেউ যদি আপনার পেছন দিকে থাকে, তার অর্থ সে ঘুরে এসে আসলে আপনাকে পশ্চাৎদেশ দেখাচ্ছে! কি অদ্ভুত যুক্তি! এবার তাদের যুক্তি খণ্ডন করি। কা’বা ঘরের সাথে যদি আপনার সামনাসামনি কোন যোগাযোগ না থাকে বা সামনে কোন পর্দা বা অন্তরায় থাকে তাহলে আপনি কা’বার দিকে ফিরে যে কোন কিছুই করতে পারবেন। দেখুন IslamQA-র ফতওয়া।[১২]
কেস ৪: সর্বশেষ চিত্রটা হল কা’বার antipode নিয়ে (কোন কিছুর একদম opposite-কে antipode বলে)। এখানে নাকি সবদিক সমান, তাই কা’বামুখী হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন দিক নাই। এইখানে এসে আমরা যে ব্যাপারটা ভুলে যাই তা হল The antipode also has an antipode. কা’বা ঘরের ভেতর যে কোন দিকে মুখ করেই সালাত আদায় করা যায়। আর সেই কা’বার antipode-এ যে কোন দিকে মুখ করে নামায আদায় করতে দোষ কি? দাঁড়ান, এখনও কথা শেষ হয় নি। প্রকৃতপক্ষে কা’বার antipode-এ কোন land area নেই। নিচের চিত্রটা দেখুন-
এটা অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরে, পলিনেশিয়া এরিয়ার ভেতর। কেউ যদি প্লেনে বা জাহাজেও থাকে, তাহলে তো চোখের নিমেষেই পার হয়ে যাবে। আর এই পয়েন্ট ছেড়ে গেলেই তো আবার সর্বনিম্ন দূরত্বের সাধারণ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তারপরেও যদি কেউ কোনভাবে exact এখানে অবস্থান করতে পারে, তাহলেও তার জন্য অসংখ্য direction থাকে না, কারণ পৃথিবী পুরোপুরি গোলাকার না। আর এজন্য সর্বনিম্ন দূরত্ব হিসাব করলে তার কাছে দুইটা direction থাকে, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব। আর এই antipode থেকে নিকটতম land area হল Tematagi.[১৩] আর এই নিকটতম স্থলভাগ যেহেতু উত্তর-পশ্চিম direction অনুসরণ করে, তাই সবথেকে ভাল হয় উত্তর-পশ্চিম দিকে ফিরে সালাত আদায় করা। আর যদি কোনভাবেই কিবলা চিহ্নিত করা না যায় (যে কোন ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য), তাহলেও কোন সমস্যা নাই। তখন যে কোন দিকে ফিরে নামায পড়লেই হবে। এই ব্যাপারে IslamQA-র ফতওয়া আছে।[১৪]
এবার সর্বশেষ যে প্রশ্নটি আপনারা করতে পারেন সেটার উত্তরও দিবো ইনশাল্লাহ্‌। ISS (International Space Station)-এ অবস্থানকারী কোন মহাকাশচারী যদি নামাজ পড়তে চান তাহলে তিনি কিভাবে পড়বেন- এটাই তো? এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য ২০০৬ সালে মালয়শিয়ান ন্যাশনাল স্পেস এজেন্সি একটি কনফারেন্সের আয়োজন করে বিজ্ঞানী ও ধর্মীয় স্কলারদের নিয়ে।[১৫] এই কনফেরেন্সে সিদ্ধান্ত হয় মহাকাশচারী তার ক্ষমতা অনুযায়ী কিবলা নির্ধারণ করবে। সেটা চারটা স্টেপে প্রাধান্য পাবে। ১. কাবার দিকে মুখ করে ২. কাবার প্রজেকশনের দিকে মুখ করে ৩. পৃথিবীর দিকে মুখ করে ৪. সুবিধামত যে কোন দিকে মুখ করে। কিন্তু তবুও একটা সমস্যা থেকে যায়, ধরা যাক পৃথিবীর দিকে মুখ করেই নামাজ শুরু করল। কিন্তু ঘূর্ণনের কারনে নামাজের মধ্যেই মুখ অন্য দিকে হয়ে যেতে পারে, তখন? গাড়ি বা ট্রেনে চলার সময়ের মত এখানেও শুরুতে কিবলা ঠিক করে নিলেই হবে, পরে পরিবর্তন হলেও কোন সমস্যা নেই।
আশা করি কিবলা নিয়ে আপনাদের বিভ্রান্তি দূর হয়েছে। আল্লাহ্‌ আমাদের সঠিক পথে থাকার এবং গভীরভাবে চিন্তা করার তাওফিক দান করুক।


নাস্তিকদের জবাব

কিবলার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া কখনোই সম্ভবনা। পৃথিবী গোলাকার তাই শুধুমাত্র কাবার কাছের লোকেরাই কিবলার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে পারবে। বাকীরা কোনভাবেই এটা পারবেনা!

Posted by Adam Simon  |  No comments

কিবলা নিয়ে নাস্তিকদের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের জবাবঃ
কিবলা নিয়ে যাবতীয় বিভ্রান্তির অবসান:
কিবলা আসলে কোন দিকে হবে- এটা বের করার বেশ কিছু পদ্ধতি আছে। আমি সেদিকে যাবো না। শুধু main concept-টা জেনে রাখুন- যে দিক দিয়ে কা’বা সবচেয়ে কাছে সেটাই আপনার কিবলা। পৃথিবী গোলাকার বিধায় (পুরোপুরি গোল না), কোন একটা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন উপায়ে আপনি কা’বায় যেতে পারবেন। কিন্তু এদের মধ্যে সর্বনিম্ন দূরত্ব যে দিকে সেটাই হবে আপনার কাঙ্খিত কিবলা। কয়েকটা complicated উদাহরণ দেখা যাক।
কাবাকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর মানচিত্র এটি আর গোলাকার হবার কারণে উত্তর আমেরিকার অবস্থান কাবার সাপেক্ষে বাস্তবে কিভাবে সেটা দেখুন। এখন কিন্তু কিবলা আর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নেই। কিবলা এখন উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে হয়ে গেছে। মনে হয় যে কিবলা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কিন্তু বাস্তবে সেটা উলটে যায়, হয়ে যায় উত্তর পূর্ব দিকে। ভৌগলিক দিকগুলো দেখিয়ে দেয়া হয়েছে এখানে তাই সমস্যা হবার কথা না। আলাস্কা থেকে কাবা বরাবর সরলরেখা টানুন সেটা আপনাকে ভৌগলিক উত্তর দেখাবে তার মানে আলাস্কার কিবলা উত্তর দিকে। আবার কানাডা আর আমেরিকার উত্তর দিকে উত্তর-পূর্ব বরাবর হয়। এই ম্যাপ দিয়েও আসলে ১০০% পরিস্কার ধারনা পাওয়া সম্ভব না কারন এটা তিন মাত্রার ব্যাপার আর ২ মাত্রায় তাকে দেখানো পুরোপুরি সম্ভব না।
তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়। পৃথিবী যদি গোলাকার হয় তাহলে তো পূর্ব দিক দিয়েও যেখানে যাওয়া যাবে, পশ্চিম দিক দিয়েও সেখানে যাওয়া যাবে। যেমন USA থেকে পশ্চিম দিকে এশিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়া যাবে আবার পূর্ব দিকে সরাসরি ইউরোপ হয়েও যাওয়া যাবে। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে আমি পূর্ব বা পশ্চিম যেদিকেই মুখ ফিরাই না কেন কিবলার দিকেই থাকবে। কিন্তু মুখ ফেরানো থাকলেই হবে না। USA থেকে ইউরোপ যাত্রার ক্ষেত্রে পূর্ব দিকেই যাওয়া হয় কারন সেদিকে গেলে কম দূরত্ব যেতে হবে। কিবলার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। ঐ যে একটু আগে বললাম যেদিকে মুখ ফেরালে কা’বা ও আপনার বর্তমান দূরত্ব থাকে সবচেয়ে কম সেদিকেই মুখ ফেরাতে হবে।
যদি মেরুতে থাকি তাহলে কোন দিকে মুখ ফেরাতে হবে? উত্তর মেরুতে গেলে সব দিকেই দক্ষিণ আবার দক্ষিণ মেরুতে গেলে সবদিকেই উত্তর। এবার আরেকবার দ্বিতীয় ম্যাপটি দেখুন। সেখান থেকে কি বোঝা যায় না কোন দিকে মুখ ফেরাতে হবে? উত্তর মেরুবিন্দুতে যখন থাকবেন তখন কোন দিকের খোঁজ করা বোকামি। আপনাকে দেখতে হবে কোন দিক থেকে কা’বা সবচেয়ে কাছে, সেটাই আপনার কিবলা। সব দিকে দিয়েই আপনি যেতে পারবেন কা’বায় কিন্তু দিকের সাথে সর্বনিম্ন দূরত্বের ব্যাপারটাও বলেছি। মেরুতে সাধারন কম্পাস কাজ করবে না। সেখানে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে Gyro compass (চুম্বকবিহীন একধরনের কম্পাস)[১১] এবং তারার অবস্থান হিসাব করে কিবলা ঠিক করতে হবে। একই নিয়ম দক্ষিণ মেরুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
আরেকটা ব্যাপার। অনেকেই গাড়ি, বাস বা ট্রেনে নামাজ পড়েন। তারা কি করবেন? রাস্তা তো আঁকাবাঁকা। এ ক্ষেত্রে নামাজ শুরুর সময়কার কিবলা ঠিক রাখলেই হবে। নামাজরত অবস্থায় কিবলা পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে রাস্তার কারণে সেটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই। আর আজকাল অনেক অ্যাপ্লিকেশান/ সফটওয়্যার আছে যা দিয়ে সহজেই কিবলার দিক বের করা যায়। তবে যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে সুবিধামত যে কোন দিকে ফিরে পড়লেই সালাত আদায় হয়ে যাবে।[১৪]
এবার আসি wikiislam-এর বিখ্যাত সেই বিভ্রান্তিকর ছবি প্রসঙ্গে। নিচের ছবিটাই হল সেই বিভ্রান্তিকর ছবি-
কেস ১: তাদের দাবি- যেহেতু পৃথিবী গোলাকার তাই একেবারে কা’বার কাছাকাছি ছাড়া যে কোন পয়েন্ট থেকে কিবলার দিকে মুখ করার অর্থ আকাশের দিকে মুখ করা! নাস্তিক ভাইদের কাছে তাহলে একটা প্রশ্ন করি। আমাদের দেশ থেকে আমেরিকা আসলে কোন দিকে? আপনি যদি বলেন পশ্চিম দিকে, তাহলে কিন্তু ভুল বলছেন। কারণ আপনি সামনের দিকে আঙ্গুল তুললে সেটা তো হবে আকাশের দিকে, কারণ পৃথিবী তো গোলাকার!! আশা করি উত্তর পেয়ে গেছেন। আমরা যে কোন direction-ই চিন্তা করি পৃথিবীর surface বরাবর, আসমান বরাবর নয়।
কেস ২: এখানে তারা দাবি করে কা’বার একদম opposite-এ কিবলা হবে মাটির ভেতর থেকে নিচে। তাদের এই দাবির সাথে আরেকটু যোগ করি। শুধু একদম বিপরীত পাশে না, আরও অনেক জায়গা থেকেই কিবলা মাটির দিক থেকে নিচে। 'প্রকৃতপক্ষে' কা’বামুখী হতে হলে বাংলাদেশের মানুষদের আকাশের দিকে পা তুলে মাটির দিকে মুখ করতে হবে। এটা একটা উদ্ভট ও অসম্ভব ব্যাপার। আল্লাহ্‌ কারও সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু চাপান না এবং মানুষকে অদ্ভুতভাবে কষ্ট দেওয়াও আল্লাহর মর্জি না। বরং আল্লাহ্‌ মানুষের অন্তর দেখেন এবং তার সাধ্যের ভিতরে কাজ দেন। এ কারণে কা’বামুখী হবার জন্য নিকটতম রৈখিক দিকে (যেমন- বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমে) মুখ করতে হয়। বোধসম্পন্নরা এখানে আল্লাহর অনুগ্রহ খুঁজে পায় এবং বক্রহৃদয়ের লোকেরা এখান থেকে আল্লাহ্‌ কিংবা রাসূল (সা)-এর ভুল খুঁজে পায়।
কেস ৩: এই ছবিতে তাদের দাবি যেহেতু পৃথিবী গোলাকার, সেহেতু কা’বার দিকে মুখ ফেরার অর্থ হল একদিক থেকে কা’বাকে পশ্চাৎদেশ দেখানো! একই কথা কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কেউ যদি আপনার পেছন দিকে থাকে, তার অর্থ সে ঘুরে এসে আসলে আপনাকে পশ্চাৎদেশ দেখাচ্ছে! কি অদ্ভুত যুক্তি! এবার তাদের যুক্তি খণ্ডন করি। কা’বা ঘরের সাথে যদি আপনার সামনাসামনি কোন যোগাযোগ না থাকে বা সামনে কোন পর্দা বা অন্তরায় থাকে তাহলে আপনি কা’বার দিকে ফিরে যে কোন কিছুই করতে পারবেন। দেখুন IslamQA-র ফতওয়া।[১২]
কেস ৪: সর্বশেষ চিত্রটা হল কা’বার antipode নিয়ে (কোন কিছুর একদম opposite-কে antipode বলে)। এখানে নাকি সবদিক সমান, তাই কা’বামুখী হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন দিক নাই। এইখানে এসে আমরা যে ব্যাপারটা ভুলে যাই তা হল The antipode also has an antipode. কা’বা ঘরের ভেতর যে কোন দিকে মুখ করেই সালাত আদায় করা যায়। আর সেই কা’বার antipode-এ যে কোন দিকে মুখ করে নামায আদায় করতে দোষ কি? দাঁড়ান, এখনও কথা শেষ হয় নি। প্রকৃতপক্ষে কা’বার antipode-এ কোন land area নেই। নিচের চিত্রটা দেখুন-
এটা অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরে, পলিনেশিয়া এরিয়ার ভেতর। কেউ যদি প্লেনে বা জাহাজেও থাকে, তাহলে তো চোখের নিমেষেই পার হয়ে যাবে। আর এই পয়েন্ট ছেড়ে গেলেই তো আবার সর্বনিম্ন দূরত্বের সাধারণ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তারপরেও যদি কেউ কোনভাবে exact এখানে অবস্থান করতে পারে, তাহলেও তার জন্য অসংখ্য direction থাকে না, কারণ পৃথিবী পুরোপুরি গোলাকার না। আর এজন্য সর্বনিম্ন দূরত্ব হিসাব করলে তার কাছে দুইটা direction থাকে, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব। আর এই antipode থেকে নিকটতম land area হল Tematagi.[১৩] আর এই নিকটতম স্থলভাগ যেহেতু উত্তর-পশ্চিম direction অনুসরণ করে, তাই সবথেকে ভাল হয় উত্তর-পশ্চিম দিকে ফিরে সালাত আদায় করা। আর যদি কোনভাবেই কিবলা চিহ্নিত করা না যায় (যে কোন ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য), তাহলেও কোন সমস্যা নাই। তখন যে কোন দিকে ফিরে নামায পড়লেই হবে। এই ব্যাপারে IslamQA-র ফতওয়া আছে।[১৪]
এবার সর্বশেষ যে প্রশ্নটি আপনারা করতে পারেন সেটার উত্তরও দিবো ইনশাল্লাহ্‌। ISS (International Space Station)-এ অবস্থানকারী কোন মহাকাশচারী যদি নামাজ পড়তে চান তাহলে তিনি কিভাবে পড়বেন- এটাই তো? এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য ২০০৬ সালে মালয়শিয়ান ন্যাশনাল স্পেস এজেন্সি একটি কনফারেন্সের আয়োজন করে বিজ্ঞানী ও ধর্মীয় স্কলারদের নিয়ে।[১৫] এই কনফেরেন্সে সিদ্ধান্ত হয় মহাকাশচারী তার ক্ষমতা অনুযায়ী কিবলা নির্ধারণ করবে। সেটা চারটা স্টেপে প্রাধান্য পাবে। ১. কাবার দিকে মুখ করে ২. কাবার প্রজেকশনের দিকে মুখ করে ৩. পৃথিবীর দিকে মুখ করে ৪. সুবিধামত যে কোন দিকে মুখ করে। কিন্তু তবুও একটা সমস্যা থেকে যায়, ধরা যাক পৃথিবীর দিকে মুখ করেই নামাজ শুরু করল। কিন্তু ঘূর্ণনের কারনে নামাজের মধ্যেই মুখ অন্য দিকে হয়ে যেতে পারে, তখন? গাড়ি বা ট্রেনে চলার সময়ের মত এখানেও শুরুতে কিবলা ঠিক করে নিলেই হবে, পরে পরিবর্তন হলেও কোন সমস্যা নেই।
আশা করি কিবলা নিয়ে আপনাদের বিভ্রান্তি দূর হয়েছে। আল্লাহ্‌ আমাদের সঠিক পথে থাকার এবং গভীরভাবে চিন্তা করার তাওফিক দান করুক।


12:00 Share:
মিথ্যাবাদিরা বলে ইসলামে নাকি পশুকামিতা জায়েজ😹👿
জবাব:
ইসলামের সমালোচকরা সবচেয়ে বড় একটি জালিয়াতি করে এই বলে যে, ইসলাম নাকি পশুকামকে হালাল করেছে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না এই একটা বিষয়ই নাস্তিকদের অন্ধবিশ্বাসী প্রমাণ করতে যথেষ্ট। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে তারা যা পড়ে তাই এসে মুমিনদের সামনে বমি করে। এই ভ্রান্তি সর্বপ্রথম খ্রিষ্টানরা ছড়িয়েছে। তারা তাদের দাবির পক্ষে হাদিস দেখায় মাফ করবেন হাদিসের অপব্যাখ্যা দেয়। খুব চাতুরতার সাথে তারা এ বিষয়টি উপস্থাপন করে। একবার ভেবে দেখুন তো, আল্লহ বলছেন যে, ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়োও না। যে ধর্মে হস্তমৈথুনের মতো আত্মকামও জায়েজ নয়, সে ধর্মে কিভাবে পশুর সাথে সঙ্গম হালাল হয়? সামান্য কমন সেন্সও কি এদের ভিতরে কাজ করে না??
স্কিটসটে সবাই ইকটু খেয়াল করুন এই মিথ্যাবাদি ইসলামে পশুকামিতা জায়েজ প্রমান করার জন্য যেই হাদিস দিয়েছে সেই হাদিসটা আমি সম্পূর্ণ এখানে দিচ্ছি দেখেন
আব্দুল্লাহ্ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, পশুর সঙ্গে সঙ্গমকারী হাদ্দের আওতাভুক্ত নয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আত্বা-ও এরূপই বলেছেন। হাকাম বলেন, আমি মনে করি তাকে বেত্রাঘাত করা উচিত; কিন্তু তা হাদ্দের সীমা (১০০ বেত্রাঘাত) পর্যন্ত পৌছা উচিৎ নয়। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, সে যেনাকারীর সমতুল্য। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আসিম কর্তৃক বর্ণিত হাদীস ‘আমা ইবনু আবূ ‘আমর কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকে দুর্বল প্রামাণিত করে।(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৬৫)
এবার আপনারা বিচার করুন এখানে কোথায় পশুকামিতাকে জায়েজ বলা হয়েছে। বরং এখানে পশুকামিতার শাস্তুি কি হবে তা নিয়ে বিদ্যান গনের মতপার্থক্য ফুটে উঠেছে।
এবার আসেন দেখি ইসলামে পশুকামিতার শাস্তি কি?
উপরে যেই হাদিসটা দিলাম ঠিক তার পূর্বের হাদিসে স্পষ্ট করে বলা আছে যারা পুশুকামিতা করবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। কিন্তু এই মিথ্যা বাদিদের নজরে এটা পরলোনা, পরলো একটা অস্পষ্ট হাদিস তাও আবার অপব্যাখ্যা। হাদিসটা হলো এই:
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি পশুর সঙ্গে সঙ্গম করলে তাকে এবং পশুটিকেও তার সঙ্গে হত্যা করো। তিনি (ইকরিমা) বলেন, আমি তাকে (ইবনু আব্বাসকে) বললাম, পশুটির অন্যায় কি? তিনি বলেন, আমার মতে যে পশুর সঙ্গে সঙ্গম করা হয়েছে নিশ্চয়ই তিনি তার গোশত খাওয়া অপছন্দ করেছেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটি তেমন শক্তিশালী হাদীস নয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৬৪
হাদিসের মান: হাসান সহিহ)
এই হাদিসেই স্পষ্ট বলা আছে যারা পশুকামিতা করবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে!
পরিশেষে বলতেচাই তারা তো অন্ধবিশ্বাসী! যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন মিথ্যা অকপটে যারা মেনে নেয় আমি তাদের মুক্তমনা বলতে রাজি নই।ইসলামের বিরুদ্ধে বিপরীত শক্তির এরুপ মিথ্যাচার আগেও চলেছে, এখনো চলছে,হয়তো ভবিষ্যত্বেও চলবে।হয়তো তারা কখনো থামবে না!
ইসলাম কখনোই পশুকামকে হালাল করে নি। নারী ব্যতিত যৌন চাহিদা পূরণের জন্য অন্য কোনো মাধ্যম খোঁজা ধর্মীয় দৃষ্টিতে পাপ।(২৭:৫৫)
অবশেষে শুধু এটুকুই বলতে চাই, এমন কিছু প্রচার করবেন না, যা আপনার মুক্তমনা নামটাকে কলুষিত করে। নিজেদের নামের মর্যাদাটা তো টিকিয়ে রাখুন।


উত্তর দিয়েছেন
শাকিল খান
নাস্তিকদের জবাব

হাদিস অনুযায়ী পশু কামিতা ইসলামে জায়েজ!

Posted by Adam Simon  |  No comments

মিথ্যাবাদিরা বলে ইসলামে নাকি পশুকামিতা জায়েজ😹👿
জবাব:
ইসলামের সমালোচকরা সবচেয়ে বড় একটি জালিয়াতি করে এই বলে যে, ইসলাম নাকি পশুকামকে হালাল করেছে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না এই একটা বিষয়ই নাস্তিকদের অন্ধবিশ্বাসী প্রমাণ করতে যথেষ্ট। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে তারা যা পড়ে তাই এসে মুমিনদের সামনে বমি করে। এই ভ্রান্তি সর্বপ্রথম খ্রিষ্টানরা ছড়িয়েছে। তারা তাদের দাবির পক্ষে হাদিস দেখায় মাফ করবেন হাদিসের অপব্যাখ্যা দেয়। খুব চাতুরতার সাথে তারা এ বিষয়টি উপস্থাপন করে। একবার ভেবে দেখুন তো, আল্লহ বলছেন যে, ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়োও না। যে ধর্মে হস্তমৈথুনের মতো আত্মকামও জায়েজ নয়, সে ধর্মে কিভাবে পশুর সাথে সঙ্গম হালাল হয়? সামান্য কমন সেন্সও কি এদের ভিতরে কাজ করে না??
স্কিটসটে সবাই ইকটু খেয়াল করুন এই মিথ্যাবাদি ইসলামে পশুকামিতা জায়েজ প্রমান করার জন্য যেই হাদিস দিয়েছে সেই হাদিসটা আমি সম্পূর্ণ এখানে দিচ্ছি দেখেন
আব্দুল্লাহ্ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, পশুর সঙ্গে সঙ্গমকারী হাদ্দের আওতাভুক্ত নয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আত্বা-ও এরূপই বলেছেন। হাকাম বলেন, আমি মনে করি তাকে বেত্রাঘাত করা উচিত; কিন্তু তা হাদ্দের সীমা (১০০ বেত্রাঘাত) পর্যন্ত পৌছা উচিৎ নয়। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, সে যেনাকারীর সমতুল্য। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আসিম কর্তৃক বর্ণিত হাদীস ‘আমা ইবনু আবূ ‘আমর কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকে দুর্বল প্রামাণিত করে।(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৬৫)
এবার আপনারা বিচার করুন এখানে কোথায় পশুকামিতাকে জায়েজ বলা হয়েছে। বরং এখানে পশুকামিতার শাস্তুি কি হবে তা নিয়ে বিদ্যান গনের মতপার্থক্য ফুটে উঠেছে।
এবার আসেন দেখি ইসলামে পশুকামিতার শাস্তি কি?
উপরে যেই হাদিসটা দিলাম ঠিক তার পূর্বের হাদিসে স্পষ্ট করে বলা আছে যারা পুশুকামিতা করবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। কিন্তু এই মিথ্যা বাদিদের নজরে এটা পরলোনা, পরলো একটা অস্পষ্ট হাদিস তাও আবার অপব্যাখ্যা। হাদিসটা হলো এই:
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি পশুর সঙ্গে সঙ্গম করলে তাকে এবং পশুটিকেও তার সঙ্গে হত্যা করো। তিনি (ইকরিমা) বলেন, আমি তাকে (ইবনু আব্বাসকে) বললাম, পশুটির অন্যায় কি? তিনি বলেন, আমার মতে যে পশুর সঙ্গে সঙ্গম করা হয়েছে নিশ্চয়ই তিনি তার গোশত খাওয়া অপছন্দ করেছেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটি তেমন শক্তিশালী হাদীস নয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৬৪
হাদিসের মান: হাসান সহিহ)
এই হাদিসেই স্পষ্ট বলা আছে যারা পশুকামিতা করবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে!
পরিশেষে বলতেচাই তারা তো অন্ধবিশ্বাসী! যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন মিথ্যা অকপটে যারা মেনে নেয় আমি তাদের মুক্তমনা বলতে রাজি নই।ইসলামের বিরুদ্ধে বিপরীত শক্তির এরুপ মিথ্যাচার আগেও চলেছে, এখনো চলছে,হয়তো ভবিষ্যত্বেও চলবে।হয়তো তারা কখনো থামবে না!
ইসলাম কখনোই পশুকামকে হালাল করে নি। নারী ব্যতিত যৌন চাহিদা পূরণের জন্য অন্য কোনো মাধ্যম খোঁজা ধর্মীয় দৃষ্টিতে পাপ।(২৭:৫৫)
অবশেষে শুধু এটুকুই বলতে চাই, এমন কিছু প্রচার করবেন না, যা আপনার মুক্তমনা নামটাকে কলুষিত করে। নিজেদের নামের মর্যাদাটা তো টিকিয়ে রাখুন।


উত্তর দিয়েছেন
শাকিল খান

20:00 Share:
নাস্তিকদের দাবী, হাদিসে নারীদেরকে 'কুকুর,গাধা' বলে গালি দেওয়া হয়েছে!!
জবাবঃ আসুন সেই হাদিসটা পর্যবেক্ষন করি, হাদিসটা হল এইঃ
"যখন ব্যক্তি নামায পড়ে, আর তার সামনে হাওদার পিছনের লাকড়ির মত বা হাওদার মাঝের লাকড়ির ‎মত কোন কিছু না হয়, তখন কালো কুকুর, গাধা, বা মহিলা তার নামায ভেঙ্গে দেয়”। (প্রাসঙ্গিক অংশ)
তিরমিযী শরীফ, হাদিস ‎নং-৩৩৮, ৩৪৭)‎
-ব্যাখ্যঃ হাদীছের অর্থ হ’ল- সালাতের নেকী কম হয়, সম্পূর্ণ ছালাত বাতিল হয় না। কারণ এতে ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট হয় (তুহফাতুল আহওয়াযী ২/২৫৯; বলূগুল মারাম হা/২২৮-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
★'নামাজ' হল মুসলমানদের প্রধান ইবাদত। নামাজ একগ্রাতার সাথে আদায় করতে হয়। নামাজে যত গভীর মনোযোগ, গুরুত্ব সহকারে আদায় করা হয় তোতই সওয়াব আর স্বাদ পাওয়া যায়। নামাজের মনোযোগ টা যেন অন্য কোথায় না সরে যায় সেই কারনগুলোর মধ্যে একটা এই হাদিস।
উল্লেখ-' আরেকটা হাদিস আছে যে হাদিাটার মর্ম কথা হল-
"নামাজির ব্যাক্তির সামনে দিয়া অতিক্রম করা নিষিদ্ধ, যদি কেহ করে তাহলে তা কবিরা গুনাহ"।
এই হাদিসে নারী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে প্রযজ্য। এখানেও বিষয় লক্ষ্যনীয়, নামাজের সামনে দিয়ে কেহ গেল নামাজে সমস্য হয়।
★এবার আসি মূল বিষয়ে।
উক্ত হাদিসে 'নারী জাতিকে' খাটো করা হয়নি। গাধা ও কুকুরের সাথে তুলনাও করা হয়নি। বরং তাদের স্বাতন্ত্রতা এবং আকর্ষনীয়তার কথা ‎ব্যক্ত করা হয়েছে। উক্ত হাদিসে মূলনীতি শিখানো হয়েছে যে, কি কি বিষয় নামায ব্যাঘাত ঘটাতে পারে? ‎তিনটি বিষয় নামাযের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে হাদিসে উদ্ধৃত হয়েছে। এই তিনটি বিষয় ভিন্ন তিনটি ‎কারণে নামাযের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তিনটির কোনটিই একটি আরেকটির মত নয়। সম্পূর্ণই আলাদা। ‎
১/ কালো কুকুর,
কালো কুকুর দেখতে ভয়ংকর। অর্থাৎ এটি দেখলে ভীতির সঞ্চার হয়। ভীত হয়ে গেলে ‎মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করে। এ কারণে একে নামায ভঙ্গের কারণ হয়। ‎তাছারা দূর্গন্ধ, হাক-ডাকের কারনেও ডিস্টার্ব হতে পারে।
২/ গাধা,গাধা হল ঘৃণার বস্তু এবং গাধার শব্দটাও ভয়ংকর। ঘৃণিত বস্তু দেখলেও মানুষের মাঝে মনযোগিতা হ্রাস পায়। এবং শব্দর কারনেও সমস্যা হয়; তাই এটিও ‎নামায বিনষ্টের কারণ হয়।
৩/ 'নারী, নারী হল আকর্ষনীয়। তারপ্রতি মানুষের স্বভাবজাত আকর্ষন থাকে। নারীর কোমনীয়তা, স্বাতন্ত্র ‎সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করে। আর আকৃষ্ট করে এমন চমকপ্রদ বস্তুও মানুষকে গাফেল করে দেয়। এ ‎কারণে নারীর সামনে আগমণকেও নামায ভঙ্গের কারণ হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। ‎এটা চিরো সত্য যে, নারী প্রাকিতৃক ভাবেই হল সৌন্দর্য্যের 'প্রতিক'। প্রাকৃতিক ভাবেই পুরুষ মাত্র, মেয়েলি এনার্জির প্রতি আকৃষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। আজকের বিজ্ঞানও তাই বলছে-' পুরুষরা 'নারীদের' প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়, মোহিত হয়, দূর্বল হয়ে পরে। এটা চির সত্য; বিধায় হাদিসে বলা হয়েছে নারীদের দেখলে পুরুরষদের নামাজে সমস্যা হতে পারে। কারন তার সৌন্দর্য্যর প্রতি তার মনোযোগ চলে যাবে এতে নামজের একগ্রতা কমে যাবে।
এখানে লক্ষণীয় হল-'কুকুরকে' ভয়ের কারণে আর 'গাধাকে' ঘৃণার কারণে, আর 'নারীকে' সৌন্দর্য ও ‎আকর্ষনীয়তার কারণে নামায ব্যাঘাতের কারণ বলা হয়েছে। ‎ নারীকে আকর্ষনীয়, সৌন্দর্যমন্ডিত বলে উপস্থাপন করাটা কি নারীকে খাটো করা? -অবশ্যই নয়। বরং এটা ‎তাকে সম্মান জানানো। আর তার অনুপম বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা। ‎
★উল্লেখ্য এই হাদিসটা 'মা' আয়েশা (রাঃ) সামনে বর্ননা করা হলে তিনি আপত্তি তুলে বলেনঃ
"আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি, সালাত আদায় করছেন আর আমি তাঁর ও কিবলাহর মাঝে চৌকির উপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতাম"। (প্রাসঙ্গিক অংশ)
অর্থাৎ নবী সাঃ এর নামজে কোন সমস্যা হত না।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৮/ সলাত৫১১.)(৩৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৭)
এথেকে আর একটা বিষয় বেড় হয়-' এটা সবার জন্য, সর্ববস্হায় পর্যজ্য নয়; অবস্হার আর ব্যাক্তি অবস্হান বুঝে বিবেচ্য হবে। বিষেশ করে "স্বামি স্ত্রীর" ক্ষেত্রে সমস্য হওয়ার কথা নয়। যা, আয়েশা (রাঃ) স্পষ্ট করেছেন। কারন এমনো হয়েছে -'আয়েশা (রাঃ) পা লম্বা করে শুয়ে থাকতেন। এবং নবী সাঃ তার পা বরাবর নামাজ আদায় করতেন, যখন সেজদার সময় হত, তখন নবী সাঃ আয়েশা রাঃ কে খোচা দিতেন অমনি তিনি পা সরিয়ে ফেলতেন।
-এখানে তিনটা বিষয় সাতন্ত্র ভিন্ন। যেমন ধরুনঃ কোন মেয়েকে জিজ্ঞাষা করা হল-' তুৃমি কাকে ভয় পাও? জবাবে সে বলল-' আমার আব্বু, কুকুর, এবং তেলাপোক।
তাহলে কি সে তার 'বাবা'কে কুকুর,তেলাপোকা বলল? -না, বরং তিনটা ভিন্ন সতন্ত্র বিষয়ে বলেছে; বাবাকে সম্মানের জন্য।
কুকুরকে ভয়ের জন্য, এবং তেলাপোকাকে ঘৃনার জন্য বলা হয়েছে।
সুতরাং নারীকে অপমান করা হয়নি; বরং তার সৌন্দর্যের প্রতি ইংগীত করা হয়েছে।
আশা করি উত্তর পাওয়া গেছে।


উত্তর দিয়েছেন
সাদ্দাম হোসাইন পাভেল
নাস্তিকদের জবাব

হাদিসে)নারীকে কুকুর,গাধার সমপর্যায়ের বলা হয়েছে।

Posted by Adam Simon  |  No comments

নাস্তিকদের দাবী, হাদিসে নারীদেরকে 'কুকুর,গাধা' বলে গালি দেওয়া হয়েছে!!
জবাবঃ আসুন সেই হাদিসটা পর্যবেক্ষন করি, হাদিসটা হল এইঃ
"যখন ব্যক্তি নামায পড়ে, আর তার সামনে হাওদার পিছনের লাকড়ির মত বা হাওদার মাঝের লাকড়ির ‎মত কোন কিছু না হয়, তখন কালো কুকুর, গাধা, বা মহিলা তার নামায ভেঙ্গে দেয়”। (প্রাসঙ্গিক অংশ)
তিরমিযী শরীফ, হাদিস ‎নং-৩৩৮, ৩৪৭)‎
-ব্যাখ্যঃ হাদীছের অর্থ হ’ল- সালাতের নেকী কম হয়, সম্পূর্ণ ছালাত বাতিল হয় না। কারণ এতে ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট হয় (তুহফাতুল আহওয়াযী ২/২৫৯; বলূগুল মারাম হা/২২৮-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
★'নামাজ' হল মুসলমানদের প্রধান ইবাদত। নামাজ একগ্রাতার সাথে আদায় করতে হয়। নামাজে যত গভীর মনোযোগ, গুরুত্ব সহকারে আদায় করা হয় তোতই সওয়াব আর স্বাদ পাওয়া যায়। নামাজের মনোযোগ টা যেন অন্য কোথায় না সরে যায় সেই কারনগুলোর মধ্যে একটা এই হাদিস।
উল্লেখ-' আরেকটা হাদিস আছে যে হাদিাটার মর্ম কথা হল-
"নামাজির ব্যাক্তির সামনে দিয়া অতিক্রম করা নিষিদ্ধ, যদি কেহ করে তাহলে তা কবিরা গুনাহ"।
এই হাদিসে নারী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে প্রযজ্য। এখানেও বিষয় লক্ষ্যনীয়, নামাজের সামনে দিয়ে কেহ গেল নামাজে সমস্য হয়।
★এবার আসি মূল বিষয়ে।
উক্ত হাদিসে 'নারী জাতিকে' খাটো করা হয়নি। গাধা ও কুকুরের সাথে তুলনাও করা হয়নি। বরং তাদের স্বাতন্ত্রতা এবং আকর্ষনীয়তার কথা ‎ব্যক্ত করা হয়েছে। উক্ত হাদিসে মূলনীতি শিখানো হয়েছে যে, কি কি বিষয় নামায ব্যাঘাত ঘটাতে পারে? ‎তিনটি বিষয় নামাযের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে হাদিসে উদ্ধৃত হয়েছে। এই তিনটি বিষয় ভিন্ন তিনটি ‎কারণে নামাযের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তিনটির কোনটিই একটি আরেকটির মত নয়। সম্পূর্ণই আলাদা। ‎
১/ কালো কুকুর,
কালো কুকুর দেখতে ভয়ংকর। অর্থাৎ এটি দেখলে ভীতির সঞ্চার হয়। ভীত হয়ে গেলে ‎মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করে। এ কারণে একে নামায ভঙ্গের কারণ হয়। ‎তাছারা দূর্গন্ধ, হাক-ডাকের কারনেও ডিস্টার্ব হতে পারে।
২/ গাধা,গাধা হল ঘৃণার বস্তু এবং গাধার শব্দটাও ভয়ংকর। ঘৃণিত বস্তু দেখলেও মানুষের মাঝে মনযোগিতা হ্রাস পায়। এবং শব্দর কারনেও সমস্যা হয়; তাই এটিও ‎নামায বিনষ্টের কারণ হয়।
৩/ 'নারী, নারী হল আকর্ষনীয়। তারপ্রতি মানুষের স্বভাবজাত আকর্ষন থাকে। নারীর কোমনীয়তা, স্বাতন্ত্র ‎সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করে। আর আকৃষ্ট করে এমন চমকপ্রদ বস্তুও মানুষকে গাফেল করে দেয়। এ ‎কারণে নারীর সামনে আগমণকেও নামায ভঙ্গের কারণ হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। ‎এটা চিরো সত্য যে, নারী প্রাকিতৃক ভাবেই হল সৌন্দর্য্যের 'প্রতিক'। প্রাকৃতিক ভাবেই পুরুষ মাত্র, মেয়েলি এনার্জির প্রতি আকৃষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। আজকের বিজ্ঞানও তাই বলছে-' পুরুষরা 'নারীদের' প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়, মোহিত হয়, দূর্বল হয়ে পরে। এটা চির সত্য; বিধায় হাদিসে বলা হয়েছে নারীদের দেখলে পুরুরষদের নামাজে সমস্যা হতে পারে। কারন তার সৌন্দর্য্যর প্রতি তার মনোযোগ চলে যাবে এতে নামজের একগ্রতা কমে যাবে।
এখানে লক্ষণীয় হল-'কুকুরকে' ভয়ের কারণে আর 'গাধাকে' ঘৃণার কারণে, আর 'নারীকে' সৌন্দর্য ও ‎আকর্ষনীয়তার কারণে নামায ব্যাঘাতের কারণ বলা হয়েছে। ‎ নারীকে আকর্ষনীয়, সৌন্দর্যমন্ডিত বলে উপস্থাপন করাটা কি নারীকে খাটো করা? -অবশ্যই নয়। বরং এটা ‎তাকে সম্মান জানানো। আর তার অনুপম বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা। ‎
★উল্লেখ্য এই হাদিসটা 'মা' আয়েশা (রাঃ) সামনে বর্ননা করা হলে তিনি আপত্তি তুলে বলেনঃ
"আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি, সালাত আদায় করছেন আর আমি তাঁর ও কিবলাহর মাঝে চৌকির উপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতাম"। (প্রাসঙ্গিক অংশ)
অর্থাৎ নবী সাঃ এর নামজে কোন সমস্যা হত না।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৮/ সলাত৫১১.)(৩৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৭)
এথেকে আর একটা বিষয় বেড় হয়-' এটা সবার জন্য, সর্ববস্হায় পর্যজ্য নয়; অবস্হার আর ব্যাক্তি অবস্হান বুঝে বিবেচ্য হবে। বিষেশ করে "স্বামি স্ত্রীর" ক্ষেত্রে সমস্য হওয়ার কথা নয়। যা, আয়েশা (রাঃ) স্পষ্ট করেছেন। কারন এমনো হয়েছে -'আয়েশা (রাঃ) পা লম্বা করে শুয়ে থাকতেন। এবং নবী সাঃ তার পা বরাবর নামাজ আদায় করতেন, যখন সেজদার সময় হত, তখন নবী সাঃ আয়েশা রাঃ কে খোচা দিতেন অমনি তিনি পা সরিয়ে ফেলতেন।
-এখানে তিনটা বিষয় সাতন্ত্র ভিন্ন। যেমন ধরুনঃ কোন মেয়েকে জিজ্ঞাষা করা হল-' তুৃমি কাকে ভয় পাও? জবাবে সে বলল-' আমার আব্বু, কুকুর, এবং তেলাপোক।
তাহলে কি সে তার 'বাবা'কে কুকুর,তেলাপোকা বলল? -না, বরং তিনটা ভিন্ন সতন্ত্র বিষয়ে বলেছে; বাবাকে সম্মানের জন্য।
কুকুরকে ভয়ের জন্য, এবং তেলাপোকাকে ঘৃনার জন্য বলা হয়েছে।
সুতরাং নারীকে অপমান করা হয়নি; বরং তার সৌন্দর্যের প্রতি ইংগীত করা হয়েছে।
আশা করি উত্তর পাওয়া গেছে।


উত্তর দিয়েছেন
সাদ্দাম হোসাইন পাভেল

16:00 Share:
Get updates in your email box
Complete the form below, and we'll send you the best coupons.

Deliver via FeedBurner

Labels

Contact Form

Name

Email *

Message *

Text Widget

Recent News

About Us

Your Ads Here
back to top